ঔপনিবেশিক বাংলায় শ্রীরামপুর মিশন আধুনিক বিজ্ঞান-চর্চায় প্রচার ও প্রসারে কীভাবে অংশ নিয়েছিল তা পর্যালােচনা করাে।

শ্রীরামপুর মিশন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় বা কারিগরিবিদ্যায় বাঙালির উদ্যোগী হয়ে ওঠার আগে ইউরােপীয় লেখকেরা ঔপনিবেশিক দেশের মানুষকে আধুনিক শিক্ষাদীক্ষায় গড়ে তােলার কাজে ব্রতী হন। বাংলা ভাষায় শিক্ষার ক্রমবিকাশে ফেলিক্স কেরি, জন ক্লার্ক মার্শম্যান এবং রেভারেন্ড জন ম্যাকের কথা স্মরণীয়। বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান গ্রন্থ ব্যবচ্ছেদ বিদ্যা (১৮১৯) ফেলিক্স কেরির রচনা। বইটির বিষয় শারীরবিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যা। বাংলায় বিদ্যাহারাবলী নামে বিশ্বকোশ প্রকাশের সঙ্গে তার নাম যুক্ত আছে। গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে লেখক কবিরত্ন তর্কশিরােমণির সাহায্য নেন। মার্শম্যান লিখিত বহু গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযােগ্য জ্যোতিষ ও গােলাধ্যায়। তার সম্পাদিত দিগদর্শন ও সমাচার দর্পণ (১৮১৮) পত্রিকায় বিজ্ঞান আলােচনা নিয়মিত প্রকাশিত হত।


উইলিয়াম কেরি, পাশ্চত্য ধারায় যে বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত করেন, মার্শম্যান তাকেই বিস্তৃত করে তােলেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় শ্রীরামপুর কলেজে রসায়নের বীক্ষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিমিয়াবিদ্যার সার তার লেখা বাংলা ভাষায় রসায়নের প্রথম বই। বইটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লেখা। উইলিয়াম ওয়ার্ডের নেতৃত্বে শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোগে আধুনিক মুদ্রণ এবং কাগজ নির্মাণ শিল্পের বনিয়াদ গড়ে ওঠে। ক্রমে এদেশে কাগজের কল তৈরি শুরু হয়। এদেশে যন্ত্র যুগের সূচনায় শ্রীরামপুরের কাগজের কলে বাষ্পের ইঞ্জিনকে উৎপাদনের কাজে লাগানাে হয় ও ক্রমে বৃহৎ কাগজ শিল্প গড়ে ওঠে। আর এভাবেই পুথিনির্ভর সাহিত্য ও মৌখিক ধারা ক্রমশ ছাপা বইয়ের বৃহত্তর আত্মপ্রকাশের সামর্থ্য অর্জন করে


ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত প্রসঙ্গে স্কুল বুক সােসাইটির ভূমিকা নির্ণয় করাে। 


হিন্দু কলেজে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছিল তা আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানচর্চার প্রেক্ষাপটে হিন্দু কলেজের অবদান সংক্ষেপে লেখাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন সরকারের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাধাগােবিন্দ করের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে কাদম্বিনী বসুর অবদান আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলার চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে ড. কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচয় দাও। 

অথবা, বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে উপেন্দ্রনাথ ব্রম্মচারীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ডা. মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান আলােচনা করাে। 


চিকিৎসাবিজ্ঞানে ড. মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে লালমাধব মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বনবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চুনীলাল বসুর অবদান আলােচনা করাে।