বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে উপেন্দ্রনাথ ব্রম্মচারীর অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে উপেন্দ্রনাথ ব্রম্মচারীর অবদান

স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রম্মচারী ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জুন জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার নিবাস ছিল হুগলি জেলার মহেশতলায়, পিতা নীলমণি ব্ৰয়চারী ছিলেন রেলওয়ের চিকিৎসক। উপেন্দ্রনাথ ব্রম্মচারী কালাজ্বরের ওষুধ 'ইউরিয়া স্টিমাইন’-এর আবিষ্কারক হিসেবে ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছেন। গণিতে প্রথম শ্রেণির অনার্স-সহ বিএ পাস করার পর তিনি রসায়নে এম এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। উপেন্দ্রনাথ মেডিসিন ও সার্জারিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এম বি পাস করেন এবং গুডিভ ও ম্যাকলাউড পদক লাভ করেন।


পরবর্তীকালে তিনি শরীরতত্ত্বে পি এইচ ডি উপাধি, কোটস পদক, গ্রিফিথ পুরস্কার ও মিন্টো পদক পান। এরপর কিছুকাল তিনি ঢাকা মেডিকেল স্কুলে প্যাথােলজি ও মেটেরিয়া মেডিকার শিক্ষক ছিলেন। আই এম এস না হওয়া সত্ত্বেও স্বীয় প্রতিভা ও কর্মদক্ষতার গুণে উপেন্দ্রনাথ ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অতিরিক্ত চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত হন। সরকারি কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কারমাইকেল মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ-রসায়ন বিভাগেও তিনি অধ্যাপনা করেন।


তিনি ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাক ওয়াটার ফিভার এবং রসায়নশাস্ত্র বিষয়ে ব্যাপক ও গভীর গবেষণা করেছেন। তার চিকিৎসাবিষয়ক রচনাবলির মধ্যে 'ট্রিটিজ অন কালাজ্বর' বিখ্যাত। তিনি বিলাতের রয়্যাল সােসাইটি অব মেডিসিনের সভ্য ছিলেন। ইন্দোরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের (১৯৩৬) সভাপতি ও বহু ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'নাইট' উপাধি লাভ করেন। ব্রহ্মচারী রিসার্চ ইন্সটিটিউট স্থাপনের মধ্যে দিয়ে তিনি দেশি ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মােচন করেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী পরলােক গমন করেন।


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ডা. মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান আলােচনা করাে। 


চিকিৎসাবিজ্ঞানে ড. মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে লালমাধব মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বনবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চুনীলাল বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গিরীন্দ্রশেখর বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােলকচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিবচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে সীতানাথ ঘােষের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।