“এসেছে সে ভােরের আলােয় নেমে;"- কেন সে নেমে এসেছে? তার পরিণতির আক্ষরিক ও রূপকার্থ বিশ্লেষণ করাে।

নেমে আসার কারণ: জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় 'ভাের' এর পটভূমিতে যখন চারপাশ উদ্ভাসিত, সকালের আলােয় শিশিরভেজা চারদিকের বন ও আকাশ যখন 'ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতাে ঝিলমিল করছে', সেই সময় একটি সুন্দর বাদামি হরিণকে ভােরের আলােয় নেমে আসতে দেখা যায়। সমস্ত রাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য হরিণটি 'নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতাে অন্ধকারে' সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল। তার ভােরের জন্য অপেক্ষার কারণ ছিল মুক্তির পরিসর খুঁজে পাওয়া।


পরিণতির বিশ্লেষণ


আক্ষরিক অর্থ : হরিণটির পরিণতি ছিল মর্মান্তিক। প্রথমে বন্দুকের গুলির শব্দ শােনা যায়। তারপরই নদীর জল যেন মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল হয়ে ওঠে। যে হরিণটি ভােরের আলােয় নদীতে নেমেছিল। নিজের ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে স্রোতের মতাে একটা আবেশ দেওয়ার জন্য, তাকেই দেখা যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে 'উষ্ণ লাল' মাংসপিণ্ডে রূপান্তরিত হতে।


রূপক অর্থ : এই পরিণতি এক গভীর সমাজবাস্তবতাকে নির্দেশ করে। প্রকৃতির বুকে নাগরিক সভ্যতার আগ্রাসনের নিদর্শন হয়ে থাকে হরিণের এই মৃত্যু। 'নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায়’ সিগারেটের ধোঁয়া আর 'টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা' নিশ্চিত করে দেয় নগরসভ্যতার বিকৃত লালসা মেটাতেই প্রাণ দিতে হয়েছে হরিণটিকে। হরিণটি আসলে সমগ্র প্রকৃতির প্রতীক, আসলে প্রকৃতিকেই এভাবে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে উদ্ধত মানবসভ্যতার কাছে।


সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে। এই আকাঙ্ক্ষা কি পূরণ হয়েছিল? 


আগুন জ্বলল আবার...— আবার শব্দটি প্রয়ােগের তাৎপর্য কী? এখানে এই ঘটনা কীসের ইঙ্গিত দেয়? 


উষ্ম লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল। —মাংসলােভী মানুষের যে হিংস্রতার পরিচয় শিকার কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করাে। 


শিকার কবিতায় কবি হরিণটিকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে। 


আগুন জ্বলল আবার—শিকার কবিতায় উল্লিখিত দু-ধরনের আগুনের পারস্পরিক তুলনা করাে। 


শিকার কবিতায় কবি ভােরের প্রকৃতি ও জীবনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের প্রথম পর্যায়ের যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


সােচ্চারে বলা নেই কোথাও, কিন্তু খেয়াল করলেই বােঝা যায়, কবিতাটির দুটি ভাগ আছে।- শিকার কবিতাটি অবলম্বনে এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 


শিকার কবিতায় কবির রচনাভঙ্গির যে বিশিষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


শিকার কবিতায় ভাের শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় যে দুটি ভােরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, ভাের এই শব্দটিই যেন শিকার কবিতার দুটি অংশে প্রবেশের দুটি চাবি; যা এই কবিতার শুরুতে এবং মাঝে উচ্চারিত হয়েছে।- শিকার কবিতার বিষয়বস্তু আলােচনা করে উদ্ধৃত বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। সেই পরিবেশ কোন্ ঘটনায় করুণ হয়ে উঠল? 


শিকার কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের যে মানসিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে তা আলােচনা করাে। 


জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতায় যে নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের মনােরম বর্ণনার সঙ্গে আছে নির্মম হত্যা বর্ণনা করাে। 


মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে/অলস সূর্য দেয় এঁকে—অলস সূর্য কী এঁকে দেয়? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে। এই দৃশ্য কবিচেতনায় কোন্ ভাবনার জন্ম দেয়?