'শিকার' কবিতায় কবির রচনাভঙ্গির যে বিশিষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।
'শিকার' কবিতায় কবির রচনাভঙ্গির বিশিষ্টতা
কথামুখ: মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া শিকার কবিতায় অরণ্যের বুকে মানুষের হরিণশিকার বা অমানবিক আত্মপ্রকাশকে বােঝাতে গিয়ে জীবনানন্দ অসাধারণ রচনাশৈলীর আশ্রয় নিয়েছেন।
চিত্রকল্পের প্রয়ােগ : প্রথমেই লক্ষ করার মতাে বিষয় হল চিত্রকল্পের অসামান্য প্রয়ােগ। "আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতাে কোমল নীল কিংবা “চারি দিকে পেয়ারা ও নােনার গাছ টিয়ার পালকের মতাে সবুজ”—এ যেন কথা দিয়ে ক্যানভাসে ছবি এঁকেছেন জীবনানন্দ। কখনও চিত্রকল্পেরই বিপরীত ভাবের মিশ্রণ ঘটিয়ে কবিতায় সৌন্দর্য সৃষ্টি করা হয়। ভােরবেলা আকাশে থাকা তারার সঙ্গে কবি মিলিয়ে দেন পাড়াগাঁর বাসরঘরে থাকা 'গােধূলিমদির মেয়েটি'-কে কিংবা 'মিশরের মানুষী'-কে যে তার বুকের থেকে মুক্তা নিয়ে রেখেছিল কবির নীল মদের গেলাসে। একদিকে নির্জনতা এবং অন্যদিকে বৈভবের মধ্যে ভোরের একটি মাত্র তারাই যেন ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠে।
শব্দসৃষ্টিতে ব্যঞ্জনা : চিত্রকল্পের পাশাপাশি শব্দ সৃষ্টির দ্বারা ব্যঞ্জনা তৈরিতেও জীবনানন্দ অসাধারণ। 'একটা অদ্ভুত শব্দ’—এখানে শব্দটি যে গুলির তার সরাসরি কোনাে উল্লেখ নেই এবং সেই শব্দ ‘অদ্ভুত' কারণ নির্মল অরণ্যে তা বেমানান। তারপরেই কবি হরিণের মৃত্যুকে স্পষ্ট করেছেন সংকেতময় ভাষা প্রয়ােগে—“নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল।”
শেষের কথা : এইভাবে চিত্রকল্প, শব্দ এবং অন্তর্নিহিত তাৎপর্য সৃষ্টির দক্ষতায় 'শিকার কবিতাটি কবির অসাধারণ রচনাভঙ্গির পরিচায়ক হয়ে উঠেছে।
শিকার কবিতায় ভাের শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে।
অথবা, শিকার কবিতায় যে দুটি ভােরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
শিকার কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের যে মানসিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে তা আলােচনা করাে।
জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতায় যে নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।
অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের মনােরম বর্ণনার সঙ্গে আছে নির্মম হত্যা বর্ণনা করাে।
ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়/কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।- মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।