"অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ”- কবি 'মহুয়ার দেশ'-এর কী বর্ণনা দিয়েছেন? এই 'মহুয়ার দেশ’ কীভাবে কবির চেতনাকে প্রভাবিত করেছে, তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
কবি প্রদত্ত মহুয়ার দেশের বর্ণনা: অন্য একটি কবিতায় সমর সেন লিখেছিলেন—“বৃষ্টির আভাসে করুণ পথে ধুলাে উড়ছে, এমন দিনে সে ধুলাে মনে শুধু আনে/সাঁওতাল পরগণার মেঘমদির আকাশ।" আলােচ্য কবিতাতেও দেখা যায় কবির কাছে 'মহুয়ার দেশ' হল 'মেঘমদির'। সেখানে সবসময় পথের দু-পাশে ছায়া ফেলে রহস্যময় দেবদারু গাছেরা। রাত্রির নিঃসজ্গ নির্জনতাকে আলােড়িত করে 'দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস'।
কবির চেতনায় 'মহয়ার দেশ'
অবসন্নতা থেকে মুক্তি : মহুয়ার দেশ কবিতায় কবি সমর সেন নগরজীবনের ক্লান্তিকর অবসন্নতা থেকে মুক্তি খোঁজেন। কবির চেতনায় আসে মেঘমদির সুদূর মহুয়ার দেশ।
প্রকৃতির অনুষল : গ্রামজীবনের নির্মল প্রকৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে কবির কল্পনায় মাদকতাময় মহুয়া ফুলের আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে। যে কবি লিখেছিলেন— একদা শালবনে কেটেছে রােমান্টিক দিন", তাঁর কবিতায় মহুয়ার দেশ' হয়ে ওঠে বিবর্ণ শহরজীবনে ক্লান্ত মানুষের বেঁচে থাকার আশ্রয়। তার ক্লান্তির উপরে মহুয়া ফুল ঝরে পড়ুক, নামুক মহুয়ার গন্ধ”—এটাই কবির আকাঙ্ক্ষা হয়ে ওঠে। যন্ত্রসভ্যতার বিপন্নতাই:কিন্তু তার স্বপ্নের মহুয়ার দেশেও হানা দেয়। যন্ত্রসভ্যতা। কবির কানে আসে মহুয়া বনের ধারের কয়লাখনির প্রবল শব্দ, শিশিরভেজা সবুজ সকালেও কবি দেখতে পান মানুষের শরীরে লেগে-থাকা ধুলাের কলঙ্ক। নিদ্রাহীন এইসব মানুষের চোখে ভিড় করে আসা যন্ত্রসভ্যতার বিপন্নতাই কবির কাছে চূড়ান্ত সত্য হয়ে দেখা দেয়।
ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়/কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।- মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতায় কবি নগরজীবনের যে ছবি তুলে ধরেছেন তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
সমর সেনের মহুয়ার দেশ কবিতাটির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতায় কবি মহুয়ার দেশের যে চিত্র অঙ্কন করেছেন তার পরিচয় দাও।
মহুয়ার দেশ কবিতাটি অবলম্বন করে সমর সেনের কবিমানসের পরিচয় দাও।
মহুয়ার দেশ কবিতাটিতে কবির যে রােমান্টিকতার প্রকাশ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতায় কবি সমর সেন কীভাবে নাগরিক জীবনের ক্লান্তি থেকে শান্তি পাওয়ার কথা বলেছেন?
গদ্যকবিতা হিসেবে মহুয়ার দেশ কবিতাটির সার্থকতা আলােচনা করাে।