গদ্যকবিতা হিসেবে 'মহুয়ার দেশ' কবিতাটির সার্থকতা আলােচনা করাে।
শুরুর কথা: "কালক্রমে টেকনিক নিয়ে যাবে নব্যকাব্যলােকে।"- কবিতার আঙ্গিক সম্পর্কে এরকমটাই ভাবতেন সমর সেন। জীবনের ক্লান্তি, অবসন্নতা, নাগরিক হতাশাকে প্রকাশ করতে গিয়ে গদ্যকবিতাই বারবার তার অবলম্বন হয়েছে। সম্ভবত অন্ত্যমিলের লঘু চলনে জীবনের ব্যাপ্তিকে যথাযথভাবে ধরা যাবে না বলেই কবি মিলহীনতার দিকে ঝুঁকেছিলেন।
পূর্ণযতির ব্যবহার : এই কবিতায় মাত্র বাইশটি পঙক্তি রয়েছে। দীর্ঘতম পর্ভূক্তি কুড়ি এবং হ্রস্বতম পক্তি ছ-মাত্রার। গদ্যকবিতার রীতি মেনে যতিচিহ্নের প্রয়ােগেও কোনাে সুনির্দিষ্ট রীতি কবি মানেননি। কখনও তিনটি পঙক্তির পরে যেমন পূর্ণতি ব্যবহার করেছেন, তেমনই কখনও পূর্ণতি দিতে সময় নিয়েছেন আটটি পক্তি। মাত্র পাঁচটি পূর্ণযতিতে সমগ্র কবিতাকে বেঁধেছেন কবি। অর্থাৎ স্পষ্টতই বোঝা যায়, প্রতিটি পূর্ণযতি কখনও একটি বক্তব্য, কখনও একটি চিত্রকল্পকে নির্মাণ করেছে।
চিত্রকল্পের ব্যঞ্জনধর্মিতা : সমর সেনের বিশিষ্টতা হল তার কবিতা নিছক বক্তব্যধর্মী হয়নি। একদিকে তিনি তৈরি করেছেন অসাধারণ চিত্রকল্প, যেমন- “মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে/অলস সূর্য দেয় এঁকে/গলিত সােনার মতাে উজ্জ্বল আলাের স্তম্ভ", অন্যদিকে সেই চিত্রকল্পের আশ্রয়ে কবিতাকে করে তােলেন ব্যঞ্জনাধর্মী।
কাব্যিক শব্দবন্ধের প্রয়ােগ : সমর সেন সহজ শব্দের প্রয়ােগ যেমন করেন, পাশাপাশি অসাধারণ কাব্যিক শব্দবন্ধও তৈরি করেন, যেমন—“অলস সূর্য’, ‘উজ্জ্বল স্তব্ধতা’, 'সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস' ইত্যাদি।
উপসংহার :এভাবেই নাগরিক ক্লান্তি আর তা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে কবি শিল্পসম্মতভাবে গদ্যকবিতার আশ্রয়ে অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তােলেন।
আমার দরকার শুধু গাছ দেখা- বক্তা কে? তার গাছ দেখা দরকার কেন?
বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন—কেন কবি এ কথা বলেছেন? এই অভাবপূরণের জন্য কবি কী চেয়েছেন?
শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়—কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য লেখাে।
চোখ তাে সবুজ চায়। /দেহ চায় সবুজ বাগান- কবির এই মন্তব্যটির সার্থকতা কবিতা অবলম্বনে আলােচনা করাে।
আমি দেখি।- পঙক্তিটি সমগ্র কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে।
আমি দেখি কবিতায় কবির নিজস্ব কবিস্বভাবের কী পরিচয় পাওয়া যায় আলােচনা করাে।
আমি দেখি কবিতাটির গঠনবৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।