"আমি দেখি।"- পঙক্তিটি সমগ্র কবিতার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে।
"আমি দেখি" পঙ্ক্তিটির তাৎপর্য: শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের 'আমি দেখি’ কবিতাটি প্রকৃতিপ্রেমী কবির ব্যক্তিগত ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। যদিও সেইসঙ্গে যুক্ত থাকে তার সমাজ সম্পর্কিত মনােভাবও। দূষিত নাগরিক জীবনের অংশীদার কবি চেয়েছেন তার বাগানে গাছ বসানাে হােক, কারণ শরীর এবং মনের সতেজতার জন্য গাছের সবুজের খুব দরকার। এই সবুজ তাঁর আরােগ্যকে নিশ্চিত করবে।
কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে আছে জঙ্গলে বহুদিন না যেতে পারার জন্য কবির আক্ষেপ। শহরে গাছ কেটে ফেলাই হল কবির চোখে শহরের অসুখ। নগরসভ্যতার বিকাশের সঙ্গেই এই 'সবুজের অনটন' নিশ্চিত হয়ে যায়। ফলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা যখন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কবির কাতর অনুরােধবাগানে গাছ বসানাে হােক। কবির চোখ এবং দেহ এই সবুজ চায়। অর্থাৎ সবুজের জন্য একইসঙ্গে কবির শারীরিক ও মানসিক চাহিদা। তীব্রতর হয়েছে। কবির সবুজ গাছে ভরা বাগান দেখার বাসনা প্রকাশিত হয়েছে 'আমি দেখি' কথাটির মধ্য দিয়ে। 'আমি' -উত্তমপুরুষে একবচনের ব্যবহার স্পষ্ট করে কবির নিজেকে, আর 'দেখি' স্পষ্ট করে সেই নিজের উপভােগের ক্ষেত্রকে। কবিতার নামকরণে তাে বটেই, শেষ পক্তিতেও এই শব্দবন্ধের ব্যবহার যেন কবির মনের বাসনাকে তীব্রতর করে তােলে।
আমি দেখি কবিতায় কবির নিজস্ব কবিস্বভাবের কী পরিচয় পাওয়া যায় আলােচনা করাে।
আমি দেখি কবিতাটির গঠনবৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে/বিধির বিচার চেয়ে?- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
আমি তা পারি না।- কবি কী পারেন না? যা পারি কেবল- কবি কী পারেন?
অথবা, আমি তা পারি না।—বক্তা কী পারেন না? বক্তা কীভাবে তার কর্তব্য পালন করতে চান?
আমি তা পারি না।—কবি কী না পারার কথা বলেছেন? কেন তিনি এ কথা বলেছেন?
আমি তা পারি না।—কে পারেন না? না পারার বেদনা কীভাবে কবিকে আলােড়িত করেছে তা কবিতা অবলম্বনে লেখাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।