"গাছ আনাে, বাগানে বসাও।" -কাদের উদ্দেশে কবি এই আহ্বান জানিয়েছেন? কোথা থেকে গাছ তুলে আনার কথা বলেছেন কবি? পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ: 'আমি দেখি' কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সাধারণ নগরবাসীর উদ্দেশে এই আহ্বান জানিয়েছেন।
গাছের উৎসস্থল : শহরের বাইরের কোনাে গ্রাম্য জায়গা বা অরণ্য থেকে গাছ অর্থাৎ গাছের চারা তুলে আনার কথা বলেছেন কবি।
পক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ : 'আমি দেখি' কবিতায় মানুষের সঙ্গে গাছের নিবিড় সান্নিধ্যের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। মনুষ্যসভ্যতা যতই অগ্রসর হয়েছে, ততই মানুষ সেই অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখার অজুহাতে নির্বিচারে ছেদন করেছে গাছ। কিন্তু এর ফলে নাগরিক জীবনে নেমে এসেছে নানারকম অসুবিধা ও অসুখ। কংক্রিটের জঙ্গলে আবদ্ধ নগরবাসী কবিও তাই হয়ে পড়েছেন ক্লান্ত ও অবসন্ন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কবি তাই গ্রামীণ পরিবেশ থেকে গাছ তুলে এনে শহুরে পরিবেশে বসানাের আহ্বান জানিয়েছেন। কবির বক্তব্য, এমনটা করা হলেই তিনি বাঁচবেন, বাঁচবে শহরের মানুষ, বাঁচবে পৃথিবী। কিন্তু কবি তাঁর এই উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে শুধু সবুজ প্রকৃতির বিস্তারের আকাঙ্ক্ষাই প্রকাশ করেননি, বরং শহুরে মানুষের প্রকৃতিবিচ্ছিন্ন এবং প্রযুক্তিলগ্ন জীবনেরও সমালােচনা করেছেন। কবি যথার্থই অনুধাবন করেছেন যে, প্রকৃতির সন্তান মানুষ প্রকৃতি থেকে যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, ততই সে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে। একারণেই তিনি আহ্বান করেছেন প্রকৃতিদত্ত গাছ যেন মনুষ্যসৃষ্ট বাগানে রােপণ করা হয়।
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে/বিধির বিচার চেয়ে?- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
আমি তা পারি না।- কবি কী পারেন না? যা পারি কেবল- কবি কী পারেন?
অথবা, আমি তা পারি না।—বক্তা কী পারেন না? বক্তা কীভাবে তার কর্তব্য পালন করতে চান?
আমি তা পারি না।—কবি কী না পারার কথা বলেছেন? কেন তিনি এ কথা বলেছেন?
আমি তা পারি না।—কে পারেন না? না পারার বেদনা কীভাবে কবিকে আলােড়িত করেছে তা কবিতা অবলম্বনে লেখাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা অবলম্বনে কবির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলােচনা করাে।