"আমি তা পারি না।"—কে পারেন না? না পারার বেদনা কীভাবে কবিকে আলােড়িত করেছে তা কবিতা অবলম্বনে লেখাে।
উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি: 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতার কবি মৃদুল দাশগুপ্ত স্বয়ং তাঁর না-পারার কথা বলেছেন।
কবির না-পারার বেদনা : সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শােষণ বঞ্চনার প্রতিবিধান চেয়ে ঈশ্বরের কাছে আবেদন করা অর্থাৎ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা কবির পক্ষে সম্ভব নয়। বেদনা আর বিক্ষোভ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তাঁর মনে। নিখোঁজ মেয়েটির ছিন্নভিন্ন শরীর জঙ্গলে পেয়ে কবির মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। এই জ্বলে ওঠাটাকেই যথার্থ কবিধর্ম বা মানবধর্ম বলে মনে করেন তিনি। দেশবাসীর এই বিপন্ন অবস্থায় ক্রন্দনরতা দেশজননীর পাশে থাকা, নিহত সহনাগরিক ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে ক্রোধের জন্ম হওয়া—এসবই একজন কবির কাছে প্রত্যাশিত। অন্যথায় লেখা, গান গাওয়া কিংবা ছবি আঁকা অর্থাৎ শিল্পীর নান্দনিক প্রয়াসগুলি অর্থহীন হয়ে যায়। শাসকের শােষণে জীবনের অপচয় দেখে প্রতিবাদ না করলে মানুষের ভালােবাসা, দায়বদ্ধতা কিংবা মূল্যবোেধ—এ সবই অর্থহীন হয়ে পড়ে। ঈশ্বরের বিচারের আশায় বসে থেকে বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া কবির কাছে তাই অমানবিক লাগে। চারপাশের নারকীয় অত্যাচার, সন্ত্রাসের রাজত্ব কবির মনে যে বেদনার জন্ম দেয় তা ক্রোধের আগুনে রূপান্তরিত হয়—"....কবিতায় জাগে/ আমার বিবেক, আমার বারুদ/বিস্ফোরণের আগে।" এভাবেই কবিতাটিতে আলােড়িত কবিসত্তার বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, প্রত্যাঘাতের স্বপ্নের প্রকাশ লক্ষ করা যায়।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা অবলম্বনে কবির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলােচনা করাে।
তাই অনেক ভেবেচিন্তে আমরা একটা প্যাচ বের করেছি। -কে, কোন্ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছেন তা আলােচনা করাে।
আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত অভাব নাটক।- অভাবের চিত্র বিভাব নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখাে।
বুদ্ধিটা কী করে এল তা বলি। -কোন বুদ্ধি এবং তা কীভাবে এল—নাট্যকারকে অনুসরণ করে আলােচনা করাে।
তবে হ্যা, মানতে পারে, যদি সাহেবে মানে। যেমন রবি ঠাকুরকে মেনেছিল।—মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।