"সংস্কৃত হিসাবে তিনি ঠিক কী বেঠিক সে বিবেচনা করবেন সংস্কৃত পণ্ডিতেরা, কিন্তু নামের দিক থেকে আমাদের একটা সামান্য আপত্তি আছে।”—নাট্যকারের এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।

কথামুখ: জনৈক ভদ্রলােক পুরােনাে নাট্যশাস্ত্র ঘেঁটে শম্ভু মিত্র রচিত নাটকের নাম দিয়েছিলেন 'বিভাব'। 'বিভাব' শব্দটির অর্থ হল মনের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া নয়টি রসানুভূতির কারণ।


লেখকের আপত্তির কারণ : নিজের নাট্যভাবনা ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই নামের বিরােধ খুঁজে পেয়েছেন স্বয়ং নাট্যকারই। তার মনে হয়েছে, তাদের নাটকের নাম হওয়া উচিত অভাব নাটক। কারণ প্রবল অভাব থেকেই তাদের এই নাটকের জন্ম।


আপত্তির কারণ বিশ্লেষণ : সেখানে ভালাে মঞ্চ নেই, নেই আলাে বা ঝালর ইত্যাদি মৎসজ্জার বিবিধ উপকরণ। থাকার মধ্যে শুধু আছে নাটক করার অদম্য ইচ্ছা। এর ওপর রয়েছে সরকারের চূড়ান্ত অসহযােগিতাও। এত কষ্ট করে সব কিছু জোগাড় করে অভিনয়ের ব্যবস্থা করা হলেও উঠে আসে খাজনার দাবি। পেশাদারি মঞ্চকে এই খাজনা দিতে হয় না, কিন্তু গ্রুপ থিয়েটারকে তা দিতে হয়। সরকারের এই বিমাতৃসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করে নাট্যকার এরপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান—"...আমরা তাে নাটক নিয়ে ব্যবসা করি না, তাই সরকার আমাদের গলা টিপে খাজনা আদায় করে নেন।"


শেষের কথা : এই চূড়ান্ত প্রতিকূলতায় গ্রুপ থিয়েটারের পক্ষে নিজের পায়ে দাঁড়ানাে অনেক সময়েই সম্ভব হয়ে ওঠে না। গ্রুপ থিয়েটারের প্রবল অভাব এবং সমস্যার জন্যই নাট্যকার নাটকটির নামের ক্ষেত্রেও আপত্তি জানিয়েছেন।


তাই অনেক ভেবেচিন্তে আমরা একটা প্যাচ বের করেছি। -কে, কোন্ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছেন তা আলােচনা করাে। 


আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত অভাব নাটক।- অভাবের চিত্র বিভাব নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখাে। 


বুদ্ধিটা কী করে এল তা বলি। -কোন বুদ্ধি এবং তা কীভাবে এল—নাট্যকারকে অনুসরণ করে আলােচনা করাে। 


তবে হ্যা, মানতে পারে, যদি সাহেবে মানে। যেমন রবি ঠাকুরকে মেনেছিল।—মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে। 


আর একবার এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলাম- কী দেখেছিলেন বর্ণনা করাে এবং তার কোনাে দূরবর্তী ছায়া কি বিভাব-এ দেখা যায়? 


আর একবার এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলাম -বক্তা মারাঠি তামাশায় কী দেখেছিলেন? বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে মারাঠি তামাশার কথা বলেছিলেন? 


এই পড়ে বুকে ভরসা এল—কারণ সাহেবে একে সার্টিফিকেট দিয়েছে। -কী পড়ে কেন বক্তার ভরসা এসেছিল? 


তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন।—আইজেনস্টাইন সাহেব কে? তিনি কাদের অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন? সেই অভিনয় দেখে তিনি কী লিখেছিলেন? 


আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত… -উক্তিটি কার? মন্তব্যটি নাটকের ক্ষেত্রে কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করাে। 


...এতে কোনাে গল্প নেই, কোনও—যাকে বলে হিউম্যান ইন্টারেস্ট নেই, কোনাে পপুলার অ্যাপিল নেই...—উক্তিটি কার? বক্তার এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 


পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে প্রেম।- এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে। নাট্যবিষয়ে এই মন্তব্যটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে। 


...আমাদের একটা লভ সিন করা উচিত। -বক্তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নাটকে যে দৃশ্যটি তৈরি হয়েছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করাে।