"...আমাদের একটা লভ সিন করা উচিত।" -বক্তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নাটকে যে দৃশ্যটি তৈরি হয়েছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করাে।
কথামুখ: 'বিভাব' নাটকে দেখা যায়, শম্ভু মিত্র তাঁর নাট্যদলের সম্পাদকের ইচ্ছা অনুসারে হাসির নাটকের রসদ খুঁজতে সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে আসেন। সেখানে উপস্থিত তৃপ্তি মিত্র সাধারণ মানুষের গ্রহণযােগ্যতার কথা ভেবে তাদের একটি প্রেমের দৃশ্য তৈরি করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
লভ সিন-এর পরিকল্পনা : প্রথমেই ঘরের কাল্পনিক চেয়ার টেবিলগুলাে সরিয়ে দৃশ্যের উপযুক্ত পটভূমি তৈরি করা হয়। তারপর শঙ্কু মিত্রকে নায়ক, আর বউদি তৃপ্তি মিত্রকে নায়িকার ভূমিকায় নির্বাচন করা হয়। অমর গাঙ্গুলি এতে খানিকটা অপ্রস্তুত হলেও পরে বিষয়টি মেনে নেন। তৃপ্তি মিত্রের নির্দেশনায় মঞ্টিকেই রাস্তা ভেবে নিয়ে সেখানে কলেজ থেকে আসা নায়িকার সঙ্গে নায়কের ধাক্কাধাক্কির দৃশ্যের পরিকল্পনা করা হয়।
লভ সিন-এর উপস্থাপনা : ধাক্কা লাগার পরে এক পা পিছিয়ে গিয়ে "কেয়া আপ দেখতে নেহি…" বলে নায়িকা তৃপ্তি মিত্র শম্ভু মিত্রের গালে একটা চড় কষিয়ে দেন। শম্ভু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলি এই আকস্মিক চড়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। শম্ভু মিত্র একে 'জখমি লভ সিন’ বলে চিহ্নিত করেন। নেপথ্য থেকে হারমােনিয়াম সহযােগে একটি মেয়ের কণ্ঠে কিছুটা ন্যাকামির ভঙ্গিতে মালতী লতা দোলে রবীন্দ্রসংগীতটি শােনা যায়।
ইতিকথা : কিন্তু শেষপর্যন্ত শম্ভু মিত্র ও অমর গাঙ্গুলি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছােন যে, তাদের মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ হাসি সৃষ্টি সম্ভব হচ্ছে না। এভাবেই এই দৃশ্য পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটে।
অথবা, নান্দনিকতার সঙ্গে জনপ্রিয়তার বিপরীতধর্মিতা বিভাব নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে আলােচনা করাে।
তা হলে আপনার হাসি জীবনে কোনােদিন পাবে না। -এই উক্তিটি কার? কেন তিনি এমন কথা বলেছেন?
...কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই। -বক্তার এই মন্তব্যটির কারণ আলােচনা করাে।
জীবন কোথায়? -কে, কাকে বলেছেন? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন?
এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে? -সমগ্র নাট্যকাহিনির নিরিখে মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।