"...খিড়কি-সে কিউ উতার আয়া। চোট্টা হােঙ্গে জরুর-আরে-পাকড়াে।"—কে, কখন এই মন্তব্য করেছেন 'বিভাব' নাটকটি অবলম্বনে আলােচনা করাে।
শুরুর কথা: অভিনেতা ও নাট্যকার শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে হাসির দৃশ্য তৈরির প্রয়ােজনে তৃপ্তি মিত্রের নির্দেশনায় একটি 'প্রগ্রেসিভ লভ সিন' তৈরির চেষ্টা হয়। সেখানে নায়ক শম্ভু মিত্র হন একজন আত্মগােপনকারী রাজনৈতিক নেতা আর অমর গাগুলি হন, একজন পুলিশ।
পুলিশের আগমন : বউদি অর্থাৎ নায়িকা তৃপ্তি মিত্র ভয়ার্ত মুখে নায়ককে খবর দেন, রাস্তার মােড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ নিশ্চয়ই শম্ভু মিত্রকেই ধরতে আসছে। এই মুহূর্তেই তার পালিয়ে যাওয়া দরকার।
নায়কের পলায়ন : নায়ককে প্রথমে সিঁড়ি দিয়ে পালাতে বললেও পরে সাবধানতার খাতিরে তিনি শম্ভু মিত্রকে সিঁড়ি দিয়ে না নেমে জানলা দিয়ে পালাতে বলেন। তৃপ্তি মিত্রের 'বীর' সম্বাধনে উদ্দীপ্ত শম্ভু মিত্র প্রাথমিক দ্বিধা কাটিয়ে কল্পিত জানলা থেকে নীচে লাফিয়ে পড়ার ভঙ্গি করেন এবং উপরের দিকে অর্থাৎ বউদি তৃপ্তি মিত্রের দিকে তাকান।
পুলিশি সক্রিয়তা : সেই সময়ে 'পুলিশ' অমর গাঙ্গুলি নীচে দাঁড়িয়ে খৈনি খাচ্ছিলেন। জানলা দিয়ে শম্ভু মিত্রকে লাফিয়ে পড়তে দেখে তিনি। তাঁকে চোর ভেবে ধরতে উদ্যত হন এবং উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।
ইতিকথা : নাটকের সংলাপকে আরও জীবন্ত করার জন্য, পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানাের উদ্দেশ্যে খৈনি-খাওয়া পুলিশের মুখে এই ধরনের হিন্দি সংলাপ বিষয়ের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তা হলে আপনার হাসি জীবনে কোনােদিন পাবে না। -এই উক্তিটি কার? কেন তিনি এমন কথা বলেছেন?
...কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই। -বক্তার এই মন্তব্যটির কারণ আলােচনা করাে।
জীবন কোথায়? -কে, কাকে বলেছেন? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন?
এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে? -সমগ্র নাট্যকাহিনির নিরিখে মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে শম্ভু মিত্রের নাট্যভাবনার যে প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে নাট্যরীতির যে নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা আলােচনা করাে।
একাঙ্ক নাটক হিসেবে বিভাব কতখানি সার্থক তা আলােচনা করাে।