"আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত…" -উক্তিটি কার? মন্তব্যটি নাটকের ক্ষেত্রে কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করাে।
বক্তা: শম্ভু মিত্রের 'বিভাব' নাটকে আলােচ্য উক্তিটি করেছেন সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলি।
নাটকের প্রেক্ষিতে মন্তব্যটির গুরুত্ব : আলােচ্য 'বিভাব' নাটকে দেখা যায়, শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে এসেছিলেন এবং তার সেই আগমনের কারণ ছিল 'হাসির খােরাক' জোগাড় করা। বক্স অফিসের চাহিদার কথা ভেবে নাট্যদলের সম্পাদক একটি হাসির নাটক মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই সূত্র ধরে হাসির উপকরণ খুঁজতে নাটকের অন্যতম চরিত্র শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে হাজির হলে অমর গাগুলি এই মন্তব্যটি করেন। এই প্রসঙ্গটির মধ্য দিয়ে নাটক তার মূল বিষয়ে প্রবেশ করে বলেই মন্তব্যটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরপর শম্ভু মিত্র, অমর গাঙ্গুলি এবং বউদি তৃপ্তি মিত্র একের পর এক প্রেমের দৃশ্য তৈরি করে হাস্যরস সৃষ্টির চেষ্টা করেন। কিন্তু সেইসব দৃশ্য স্বতঃস্ফূর্ত হয় না। এককথায়, নাটকে হাস্যরস সৃষ্টির যে কৃত্রিম প্রচেষ্টা, তার নানা রূপকেই মূলত ব্যঙ্গ করা হয় এই নাট্যদৃশ্যে। শুধু তাই নয়, এই দৃশ্যে বাঙালি দর্শকদের জোর করে হাসার চেষ্টার প্রতিও ব্যঙ্গ থাকে। ক্ষুধার্ত মানুষদের মিছিলে পুলিশের গুলি আর মানুষের হাহাকার ও গােঙানির আওয়াজ শুনে শম্ভু মিত্র যখন বলেন—"কী অমর—এবার হাসি পাচ্ছে?" তখন জীবনকে অস্বীকার করে কাল্পনিক আনন্দ খুঁজে নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদই যেন ঘােষিত হয়। আর এই বক্তব্যের মধ্যেই থেকে যায় নাটকের প্রায় প্রথম পর্বে করা অমর গাঙ্গুলির উদ্ধৃত মন্তব্যটি।
অথবা, নান্দনিকতার সঙ্গে জনপ্রিয়তার বিপরীতধর্মিতা বিভাব নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে আলােচনা করাে।
তা হলে আপনার হাসি জীবনে কোনােদিন পাবে না। -এই উক্তিটি কার? কেন তিনি এমন কথা বলেছেন?
...কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই। -বক্তার এই মন্তব্যটির কারণ আলােচনা করাে।
জীবন কোথায়? -কে, কাকে বলেছেন? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন?