'আমি দেখি' কবিতাটির গঠনবৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।
'আমি দেখি’ কবিতার গঠন বৈশিষ্ট্য
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তার সংযম ও পরিমিতিবােধ।
তৎসম শব্দের প্রয়ােগ: 'আমি দেখি' কবিতাটিতেও সহজসরল ভাষায় অন্ত্যজ শব্দের পাশে মাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে কবি অবলীলায় তৎসম শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেমন—“আরােগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার”
প্রকৃতি নির্ভরতা : তাঁর কবিতা প্রসঙ্গে ধ্রুবকুমার মুখােপাধ্যায় লিখেছেন—“শক্তির কবিতা গড়ে ওঠে নিসর্গের বুকে আশ্রয় কামনায়।" 'আমি দেখি' কবিতায় কবির প্রকৃতিনির্ভরতা প্রাধান্য পেয়েছে।
পক্তি বিন্যাস : গঠনগত দিক থেকে অসম মাত্রার পঙক্তিতে বিন্যস্ত এই কবিতাটিতে মােট পঙক্তি সংখ্যা যােলােটি। পাঁচটি পক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রথম স্তবক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তবকটির পঙক্তি সংখ্যাও তাই। শেষে একটি পঙক্তিতে বলা হয়েছে, “আমি দেখি”। এই শেষ পঙক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি জোরালো বক্তব্য রেখেছেন।
ভণিতার ব্যবহার না করা : এখানে কবির দেখাটা আর-পাঁচজনের একান্ত ইচ্ছার সঙ্গে মিলে যায়। আলােচ্য কবিতায় শহরের মতাে একটি অচেতন বস্তুতে মানবত্ব অর্পণ করেছেন কবি– "শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়।" শহরগুলাে যত বাড়ছে, নগরায়ণের দাবি মেনে ততই সবুজ ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়ােজনে সবুজ খুবই দরকার। তাই কোনােপ্রকার ভণিতা না করে কবির সরাসরি নির্দেশ—"গাছ আনন, বাগানে বসাও।" কবিতার শুরুতে, কবিতার মাঝে এবং কবিতার শেষে এই একই ভাব কবি ব্যক্ত করেছেন।
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে/বিধির বিচার চেয়ে?- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
আমি তা পারি না।- কবি কী পারেন না? যা পারি কেবল- কবি কী পারেন?
অথবা, আমি তা পারি না।—বক্তা কী পারেন না? বক্তা কীভাবে তার কর্তব্য পালন করতে চান?
আমি তা পারি না।—কবি কী না পারার কথা বলেছেন? কেন তিনি এ কথা বলেছেন?
আমি তা পারি না।—কে পারেন না? না পারার বেদনা কীভাবে কবিকে আলােড়িত করেছে তা কবিতা অবলম্বনে লেখাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা অবলম্বনে কবির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলােচনা করাে।