"মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে/অলস সূর্য দেয় এঁকে”—অলস সূর্য কী এঁকে দেয়? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে। এই দৃশ্য কবিচেতনায় কোন্ ভাবনার জন্ম দেয়?
অঙ্কিত বিষয়: কবি সমর সেনের 'মহুয়ার দেশ' কবিতায় 'অলস সূর্য' সন্ধ্যার জলস্রোতে এঁকে দেয় গলিত সােনার মতাে উজ্জ্বল আলাের স্তম্ভ।
মন্তব্যের ব্যাখ্যা : সন্ধ্যার অস্তগামী সূর্য কবির কল্পনায় হয়েছে 'অলস সূর্য'। কবির মনে হয়েছে দিনের অবসান যেন সূর্যের আলস্যকেই নিশ্চিত করেছে। নদীর জলে প্রতিফলিত সূর্যের রশ্মিকে কবির মনে হয়েছে গলিত সােনার মতাে উজ্জ্বল আলাের স্তম্ভ। সূর্যের এই আলাে যেন জলের অন্ধকারের ধূসর ফেনায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এইভাবে নাগরিক জীবনের ধূলিধূসর পরিবেশেও অস্তগামী সূর্য সৌন্দর্যের মায়াময় আবেশ তৈরি করে।
কবির ভাবনা : শহরজীবনে সৌন্দর্যের এই আবহ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। দূষণক্লান্ত শহরে তাই ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস শীতের দুঃস্বপ্নের মতাে ঘুরে ফিরে আসে। আর এর সূত্র ধরেই কবির মন পৌছে যায় অনেক, অনেক দূরে মেঘমদির মহুয়ার দেশে। সেখানে পথের দুধারে ছায়া-ফেলা দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য আর রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলােড়িত করা দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস কবিকে আচ্ছন্ন করে রাখে। নগরজীবনে ক্লান্ত-অবসন্ন কবি কামনা করেন— “আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া ফুল,/নামুক মহুয়ার গন্ধ।”
ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়/কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।- মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতার মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতায় কবি নগরজীবনের যে ছবি তুলে ধরেছেন তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
সমর সেনের মহুয়ার দেশ কবিতাটির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলােচনা করাে।
মহুয়ার দেশ কবিতায় কবি মহুয়ার দেশের যে চিত্র অঙ্কন করেছেন তার পরিচয় দাও।
মহুয়ার দেশ কবিতাটি অবলম্বন করে সমর সেনের কবিমানসের পরিচয় দাও।