"আগুন জ্বলল আবার...”— 'আবার’ শব্দটি প্রয়ােগের তাৎপর্য কী? এখানে এই ঘটনা কীসের ইঙ্গিত দেয়?

'আবার' শব্দপ্রয়ােগের তাৎপর্য: জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় আগুনের চিত্রকল্পটি দুবার ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমবার দেশােয়ালি মানুষেরা শীতের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য এই আগুন জ্বালিয়েছিল। মােরগফুলের মতাে সেই লাল আগুন ভাের হওয়ার পরেও জ্বলছিল। কিন্তু সকালের আলােয় রােগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতাে স্লান হয়ে যাওয়া সেই আগুনেই ছিল ভােরের ইঙ্গিত, জীবনের জেগে ওঠার আভাস। দ্বিতীয়বার এই আগুনের প্রসঙ্গ ফিরে এসেছে কবিতার শেষে। সুন্দর বাদামি হরিণ সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিশ্চিন্ত ভােরে বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু শিকারির গুলি নদীর জলে আবেশ খোঁজা তার ক্লান্ত শরীরকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। এরপরেই আবার আগুন জ্বলেছিল। কিন্তু সেখানে জীবনের জাগরণ ছিল না। ছিল জীবন নাশের আয়ােজন। জ্বলন্ত আগুনে 'উষ্ণ লাল' হরিণের মাংস তৈরি হয়ে আসে। 'আবার' শব্দটির সাহায্য এই দ্বিতীয়বারের আগুন জ্বলার কথাই বলা হয়েছে।


ঘটনার ইঙ্গিতময়তা : দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলার ঘটনা শুধু একটা হরিণশিকারের কাহিনি নয়। নির্মল প্রকৃতির বুকে নাগরিক সমাজের যে আগ্রাসন তারও প্রতীক এই ঘটনা। তার সঙ্গে সিগারেটের ধোঁয়া, টেরিকাটা মাথা—এসব মিলে নাগরিক নৃশংসতার যে আয়ােজন হয়, প্রকৃতির সারল্য আর নিজস্বতা হারিয়ে যায় সেই অন্ধ মানবসভ্যতার কাছে। সেই ইঙ্গিতই যেন দেখা যায় প্রশ্নোধ্ত পঙ্ক্তিতে।


উষ্ম লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল। —মাংসলােভী মানুষের যে হিংস্রতার পরিচয় শিকার কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করাে। 


শিকার কবিতায় কবি হরিণটিকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে। 


আগুন জ্বলল আবার—শিকার কবিতায় উল্লিখিত দু-ধরনের আগুনের পারস্পরিক তুলনা করাে। 


শিকার কবিতায় কবি ভােরের প্রকৃতি ও জীবনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের প্রথম পর্যায়ের যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


সােচ্চারে বলা নেই কোথাও, কিন্তু খেয়াল করলেই বােঝা যায়, কবিতাটির দুটি ভাগ আছে।- শিকার কবিতাটি অবলম্বনে এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 


শিকার কবিতায় কবির রচনাভঙ্গির যে বিশিষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


শিকার কবিতায় ভাের শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় যে দুটি ভােরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, ভাের এই শব্দটিই যেন শিকার কবিতার দুটি অংশে প্রবেশের দুটি চাবি; যা এই কবিতার শুরুতে এবং মাঝে উচ্চারিত হয়েছে।- শিকার কবিতার বিষয়বস্তু আলােচনা করে উদ্ধৃত বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। সেই পরিবেশ কোন্ ঘটনায় করুণ হয়ে উঠল? 


শিকার কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের যে মানসিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে তা আলােচনা করাে। 


জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতায় যে নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের মনােরম বর্ণনার সঙ্গে আছে নির্মম হত্যা বর্ণনা করাে। 


মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে/অলস সূর্য দেয় এঁকে—অলস সূর্য কী এঁকে দেয়? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে। এই দৃশ্য কবিচেতনায় কোন্ ভাবনার জন্ম দেয়? 


আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়।- কীসের কথা বলা হয়েছে? এর ফলে কী ঘটে? এই অবস্থায় কবি কীসের প্রত্যাশা করেন? 


সেই উজ্জ্বল স্তন্ধতায়/ ধোয়ার ক্রিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে/শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।—মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।