'আগুন জ্বলল আবার’—'শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত দু-ধরনের আগুনের পারস্পরিক তুলনা করাে।
জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় দুটি উপলক্ষ্যে দুবার আগুন জ্বালানাের কথা বলা হয়েছে।
প্রথমবার আগুন জ্বালানাের বর্ণনা: প্রথম যে আগুনের পরিচয় আমরা পাই, তা হল-
"হিমের রাতে শরীর উম রাখবার জন্য দেশােয়ালিরা
সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে-”
সুতরাং, এই আগুনের উদ্দেশ্য হল শীতের কাতরতায় উষ্মতা পাওয়া। এ আগুন তাই ধ্বংসের প্রতীক নয়, প্রাণরক্ষার প্রচেষ্টাই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে।
বনভূমির স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে অক্ষুন্ন রেখে এ আগুন জীবনরক্ষার উষ্ম অনুভবে পূর্ণ। মােরগফুলের মতাে লাল টক্টকে সেই আগুনে সারারাত নিজেদের বাঁচিয়েছে 'দেশেয়ালি’ মানুষগুলাে।
দ্বিতীয়বার আগুন জ্বালানাের বর্ণনা : কিন্তু কবিতার শেষপ্রান্তে এসে কবি যখন বলেন, 'আগুন জ্বলল আবার', তখন সেই আগুন কিন্তু অন্য এক দ্যোতনা নিয়ে প্রকাশিত হয়। এই দ্বিতীয় আগুনটি সম্বন্ধে কতািয় বলা হয়েছে-
"সূর্যের আলােয় তার রং কুকুমের মতাে নেই আর;
হয়ে গেছে রােগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতাে।"
এই আগুন কাম-ক্রোধ-লােভ-মােহমদ-মাৎসর্যরূপ ষড়রিপু উদ্রেককারী এবং সেই কারণেই প্রকৃতির স্বাভাবিক সৌন্দর্যময়তার বিপরীত দিকে তার অবস্থান। এই আগুনে তাই দগ্ধ হয় নিরীহ এক হরিণের শরীর, তৈরি হয় 'উষ্ম লাল হরিণের মাংস'।
আগুনের প্রতীকী অর্থ : সুতরাং, 'শিকার' কবিতায় সারারাত ধরে জ্বলা প্রথম আগুন হল প্রকৃতিময়তার প্রতীক, প্রাণময়তার প্রতীক, আর ভােরবেলা জ্বালানাে দ্বিতীয়বারের আগুন হল প্রকৃতি বিরুদ্ধতার প্রতীক, প্রাণহননের প্রতীক।
শিকার কবিতায় কবি ভােরের প্রকৃতি ও জীবনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।
অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের প্রথম পর্যায়ের যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে।
শিকার কবিতায় কবির রচনাভঙ্গির যে বিশিষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।
শিকার কবিতায় ভাের শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে।
অথবা, শিকার কবিতায় যে দুটি ভােরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
শিকার কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের যে মানসিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে তা আলােচনা করাে।
জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতায় যে নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।
অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের মনােরম বর্ণনার সঙ্গে আছে নির্মম হত্যা বর্ণনা করাে।