"উষ্ম লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল।” —মাংসলােভী মানুষের যে হিংস্রতার পরিচয় 'শিকার কবিতায় প্রতিফলিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করাে।

মানুষের হিংস্রতার পরিচয


প্রাককথন: জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতার পটভূমিতে আছে এক নির্মল ‘ভাের'।

প্রকৃতির রূপ : সেখানে 'আকাশের রং' ঘাসফড়িঙের দেহের মতাে কোমল নীল। টিয়ার পালকের মতাে সবুজ পেয়ারা ও নােনার গাছ। সকালের আলােয় টলমলে শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশ ঝিলমিল করছে। এই অসামান্য ভােরেই বেঁচে থাকার পরিসর খুঁজেছিল সুন্দর বাদামি হরিণ।

হরিণের বেঁচে থাকার উল্লাস : সারারাত এক বন থেকে অন্য বনে পালিয়ে চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে এই ভােরের আলােয় হরিণটি বেঁচে থাকার উল্লাস উপভােগ করতে চেয়েছিল। সে ভােরের আলােয় ছিড়ে খেয়েছিল কচি বাতাবিলেবুর মতাে সবুজ সুগন্ধি ঘাস আর 'নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে' নেমেছিল রাতজাগার ক্লান্তি মেটাতে।

নাগরিক মানুষের লালসা : ভােরের আলােয় হরিণটি যখন জীবনের উল্লাস খুঁজে নিচ্ছিল, ঠিক তখনই ভেসে আসে বন্দুকের গুলির শব্দ আর নদীর জল হরিণের রক্তে হয়ে ওঠে 'মচকাফুলের পাপড়ির মতাে লাল'। নাগরিক মানুষের লালসা মেটাতে নিষ্পাপ হরিণটি 'উষ্ম লাল' মাংসে পরিণত হয়।

উপসংহার : নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে অনেক পুরােনাে শিশিরভেজা গল্প আর সিগারেটের ধোঁয়ায় সভ্যতার যে চিহ্ন দেখা যায় তাতে স্পষ্ট হয় সভ্যসমাজের নৃশংসতায় চিরকালের ঘুমের দেশে নিম্পাপ জীবনের হারিয়ে যাওয়ার কাহিনিই।

শিকার কবিতায় কবি হরিণটিকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে। 


আগুন জ্বলল আবার—শিকার কবিতায় উল্লিখিত দু-ধরনের আগুনের পারস্পরিক তুলনা করাে। 


শিকার কবিতায় কবি ভােরের প্রকৃতি ও জীবনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের প্রথম পর্যায়ের যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


সােচ্চারে বলা নেই কোথাও, কিন্তু খেয়াল করলেই বােঝা যায়, কবিতাটির দুটি ভাগ আছে।- শিকার কবিতাটি অবলম্বনে এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 


শিকার কবিতায় কবির রচনাভঙ্গির যে বিশিষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


শিকার কবিতায় ভাের শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলােচনা করাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় যে দুটি ভােরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, ভাের এই শব্দটিই যেন শিকার কবিতার দুটি অংশে প্রবেশের দুটি চাবি; যা এই কবিতার শুরুতে এবং মাঝে উচ্চারিত হয়েছে।- শিকার কবিতার বিষয়বস্তু আলােচনা করে উদ্ধৃত বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। সেই পরিবেশ কোন্ ঘটনায় করুণ হয়ে উঠল? 


শিকার কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের যে মানসিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটেছে তা আলােচনা করাে। 


জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতায় যে নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা, শিকার কবিতায় ভােরের মনােরম বর্ণনার সঙ্গে আছে নির্মম হত্যা বর্ণনা করাে। 


মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে/অলস সূর্য দেয় এঁকে—অলস সূর্য কী এঁকে দেয়? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে। এই দৃশ্য কবিচেতনায় কোন্ ভাবনার জন্ম দেয়? 


আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়।- কীসের কথা বলা হয়েছে? এর ফলে কী ঘটে? এই অবস্থায় কবি কীসের প্রত্যাশা করেন? 


সেই উজ্জ্বল স্তন্ধতায়/ ধোয়ার ক্রিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে/শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।—মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে। 


অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ- কবি মহুয়ার দেশ-এর কী বর্ণনা দিয়েছেন? এই মহুয়ার দেশ কীভাবে কবির চেতনাকে প্রভাবিত করেছে, তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।