বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি আলােচনা করাে।

বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি

পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হয়েছে প্রায় 10 থেকে 20 লক্ষ বছর আগে। 1800 খ্রিস্টাব্দের আগে পৃথিবীর যা জনসংখ্যা ছিল, তার প্রায় 70 থেকে ৪০ শতাংশেরই সঠিক কোনো হিসেব নেই। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কলিন ক্লার্ক বলেছেন যে, অতীতের জনসংখ্যা নিয়ে কোনাে মন্তব্য করা অনুচিত, কারণ প্রধানত অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই ওই জনসংখ্যা হিসেব করা হয়েছে। সুতরাং দূর-অতীত পৃথিবীর জনসংখ্যা কখন কত বেড়েছে—এ সম্পর্কে যাবতীয় হিসেব অনুমানভিত্তিক (তবে যথেষ্ট যুক্তিনির্ভর)। প্রাচীনকাল এবং পরবর্তী সময়ের যেসব তথ্যাদি সংগৃহীত হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে জনবিজ্ঞানীরা অতীতের জনসংখ্যা এবং তার বৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যেসব অনুমান করেছন, সেগুলি হল


[1] 10,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে : জিশুখ্রিস্টের জন্মের 10,000 বছর আগে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল প্রায় 53.2 লক্ষ।


[2] 6,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে : এই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে হয় প্রায় ৪ কোটি 65 লক্ষ (দশ হাজার থেকে ছয় হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে পৃথিবীতে কৃষিব্যবস্থার প্রচলন হয়। ফলে জনসংখ্যা হঠাৎই এতটা বেড়ে যায়)।


[3] 1 খ্রিস্টাব্দে : দীর্ঘ প্রায় 6,000 বছর পরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় 25 কোটিতে পৌঁছায়।


[4] 1650 খ্রিস্টাব্দে : খ্রিস্টের জন্মের পরবর্তী সময়েও পৃথিবীর জনসংখ্যা খুব ধীর গতিতে বাড়তে থাকে। তাই 1650 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা হয় প্রায় 54.5 কোটি।


[5] 1750 খ্রিস্টাব্দে : এই সময় পর্যন্তও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধীর গতি অব্যাহত ছিল। তাই 1650 খ্রিস্টাব্দ থেকে পরের 100 বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা 54.5 কোটি থেকে বেড়ে হয় প্রায় 72.84 কোটি (1750 খ্রিস্টাব্দে)।


[6] 1800 খ্রিস্টাব্দে : 1750 খ্রিস্টাব্দের পর থেকেই জনসংখ্যার অভাবনীয় দ্রুত বৃদ্ধি আরম্ভ হয়। ফলে 1800 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা হয় প্রায় 90.56 কোটি (50 বছরে প্রায় 18 কোটি)।


[7] 1850 খ্রিস্টাব্দে : পরের 50 বছরে জনসংখ্যা আরও 26.54 কোটি বেড়ে হয় প্রায় 117,10 কোটি (1850 খ্রিস্টাব্দে)।


[8] 1900 খ্রিস্টাব্দে : 1850-1900-এই 50 বছরে জনসংখ্যা আরও 43.70 কোটি বেড়ে প্রায় 160.80 কোটিতে পৌঁছায়।


[9] 1950 খ্রিস্টাব্দে : এইভাবে দ্রুত বাড়তে বাড়তে 1950 এ. খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা হয় 248.60 কোটি (সুতরাং বিগত শতাব্দীর প্রথমার্ধে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় 90 কোটি বৃদ্ধি পায়)।


[10] 2012 খ্রিস্টাব্দে : জনসংখ্যার এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধি আরও দ্রুত হয়ে 2012 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা পৌঁছে গেছে 708 কোটিতে। সুতরাং, বিগত 62 বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় 459 কোটি।


পরিব্রাজন কাকে বলে? পরিব্রাজনের ফলাফল সমূহ আলােচনা করাে।


জনসংখ্যা পিরামিড বা বয়ঃলিঙ্গ গঠন কী? উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতিগত তারতম্য আলােচনা করাে।


জনবিস্ফোরণ কাকে বলে? ভারতে দ্রুতহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলি আলােচনা করাে।


শূন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা স্থিতিশীল জনসংখ্যার ধারণা দাও। উন্নত দেশগুলিতে অতি স্বল্পহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলি উল্লেখ করাে।


জনসংখ্যার বৃদ্ধি কাকে বলে? জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত সমস্যাগুলি আলােচনা করাে।


কাম্য জনসংখ্যা, জনস্বল্পতা ও অতি-জনাকীর্ণতার ধারণাগুলি ব্যাখ্যা করাে।


জনঘনত্ব ও মানুষ-জমি অনুপাতের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করাে। 'মানুষ-জমি অনুপাত একটি গতিশীল ধারণা'-ব্যাখ্যা করাে।


মানুষ-জমি অনুপাত ধারণাটি ব্যাখ্যা করাে। অথবা, মানুষ-জমি অনুপাত বলতে কী বােঝায় ? কৃষিজ দ্রব্য উৎপাদনের ওপর এর প্রভাব লেখাে।


জনঘনত্ব কাকে বলে এবং তা কীভাবে নির্ণয় করা হয়? জনঘনত্ব বণ্টনের ওপর দুটি অর্থনৈতিক উপাদানের প্রভাব আলােচনা করাে।


পৃথিবীর প্রায় জনবসতিহীন অঞ্চলগুলির নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য লেখাে। জনঘনত্বের বণ্টনের ওপর দুটি প্রধান প্রাকৃতিক উপাদানের প্রভাব আলােচনা করাে।


ভারতে অত্যধিক জনঘনত্বযুক্ত অঞ্চলগুলির বণ্টন আলােচনা করাে। পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণ কী?


ভারতের জনসংখ্যা বণ্টন নির্ধারণের প্রাকৃতিক কারণগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। ভারত কি অতি-জনাকীর্ণ দেশ ? ব্যাখ্যা দাও।


Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)