পরিব্রাজন কাকে বলে? পরিব্রাজনের ফলাফল সমূহ আলােচনা করাে।

পরিব্রাজন

বসবাস, জীবিকা, খাদ্য সংগ্রহের জন্য বা বাধ্যতামূলকভাবে স্থায়ী বা আস্থায়ীরূপে মানুষের স্থান থেকে স্থানান্তরে বিচরণ প্রক্রিয়াকে পরিব্রাজন বলে। পরিব্রাজন মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। অতি প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত মানুষ প্রতিনিয়ত খাদ্য, নিরাপত্তা, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, আনন্দ ও সাংস্কৃতিক প্রয়ােজনে স্থান থেকে স্থানান্তরে বিচরণ করে চলেছে। পরিব্রাজন গ্রাম থেকে শহরে এবং শহর থেকে গ্রামে হতে পারে।


পরিব্রাজনের ফলাফল


পরিব্রাজনের ভৌগােলিক গুরুত্ব স্থান ও কাল নির্ভর। পরিব্রাজনের বিভিন্ন প্রভাবগুলি নীচে আলােচনা করা হল一


[1] জনঘনত্বের তারতম্য : জনসংখ্যা কম আছে এরকম কোনাে অঞ্চলে অন্তঃপরিব্রাজনের (In-migration) ফলে শ্রমের জোগান বাড়ে এবং সম্পদের উন্নয়ন ঘটে। কৃষি, খনিজ, শিল্প-সংক্রান্ত কার্যকলাপের উন্নতি ঘটে। ফলে ঐ অঞ্চলে জীবনযাত্রা ও অর্থনীতির মানােন্নয়ন ঘটে। আবার, অত্যধিক জনসংখ্যাযুক্ত অঞ্চলে অন্তঃপরিব্রাজন বেশি হলে ত তীব্র বেকার সমস্যার সৃষ্টি হয়। খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি পড়ে। বাসস্থান, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, পানীয় জল সরবরাহ এবং নিকাশি ব্যবস্থা প্রভৃতিতে চাপ পড়ে।


[2] জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন : জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য পরিব্রাজনের কারণে প্রভাবিত হয়। যেমন—জন্মহার, মৃত্যুহার, স্ত্রী-পুরুষের অনুপাত ও শিক্ষিতের শতকরা হার প্রভৃতি।


[3] সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর প্রভাব : পরিব্রাজনের ফলে বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, রীতিনীতি ও সামাজিক অনুশাসনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মায়। এ ছাড়া, এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সংযােগের সুযােগ বাড়ে। সংস্কৃতির মেলবন্ধন দেখা যায়।


[4] নতুন জনবসতির সৃষ্টি : পরিব্রাজনের ফলে বিদেশ থেকে আসা মানুষজন সাধারণত নতুন জনবসতি স্থাপন করে। ফলে দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক কাজকর্মের সম্ভাবনা বাড়ে।


বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বণ্টনের ওপর পরিব্রাজনের প্রভাব আলােচনা করাে।


ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি আলােচনা করাে।


উন্নয়নশীল দেশের বয়ঃলিঙ্গ পিরামিডের বৈশিষ্ট্য লেখাে। অগ্রগামী ও পশ্চাদগামী জনসংখ্যা বলতে কী বােঝ? উন্নত দেশের জনসংখ্যা পিরামিড সম্বন্ধে আলােচনা করাে।


Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)