বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন ধরের অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলরতন ধরের অবদান

ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের মন্ত্রীসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জীবনরতন ধরের অগ্রজ নীলরতন ধর ভারতবর্ষে ভৌতরসায়নের প্রথম গবেষক ছিলেন।


যশােহর জেলা স্কুল, কলকাতার রিপন কলেজের (বর্তমান সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) পর নীলরতন ধর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নশাস্ত্রে বিএসসি পাস করেন। এমএসসি পাঠরত অবস্থাতেই আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অধীনে তার গবেষণা জীবনের শুরু। প্রফুল্লচন্দ্রের ইচ্ছানুযায়ী তিনি নাইট্রেটের ভৌত গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের মিলিত গবেষণার ফসল দেশ বিদেশের নানা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নীলরতন বিশেষত নাইট্রেটের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা সম্পর্কে গবেষণা করেন। এই গবেষণার সুবাদে তিনি ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের স্টেট স্কলারশিপ পেয়ে চার বছরের জন্য ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে উচ্চতর গবেষণার জন্য যান। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পিরিয়াল কলেজ থেকে অনুঘটক সংক্রান্ত গবেষণা করে তিনি ডিএসসি উপাধি লাভ করেন।


এরপর তিনি একে একে প্যারিসের সােরবন বিশ্ববিদ্যালয়ের 'স্টেট ডক্টরেট অব সায়েন্স', Fellow of the Institute of the Chemistry of Great Britain and Ireland (F.R.C.I.), National Institute of Science, National Academy of Science R Indian Chemical Society-র ফেলাে নির্বাচিত হন। তিনি প্রথম এবং একমাত্র ভারতীয় রসায়নবিদ হিসেবে লন্ডনের বাের্ড অব এডুকেশনের সুপারিশে ইন্ডিয়ান এডুকেশন,সার্ভিস পেয়ে এলাহাবাদের ম্যুর সেন্ট্রাল কলেজে ভৌত ও অজৈব রসায়নের অধ্যাপক এবং কালী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভৌতরসায়ন শাস্ত্রের অবৈনিতক অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি শীলা ধর ইন্সটিটিউট নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। তিনি ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সােসাইটি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, চিত্তরঞ্জন সেবাসদন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানকে অকুষ্ঠভাবে অর্থসাহায্য করেছেন।


অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়ে সার তৈরি করে এদেশের কৃষি ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলেন তিনি। জৈবিক সারের পক্ষে আমৃত্যু সওয়াল করেছেন। এলাহাবাদে তাঁর অধীনে ক্যাটালিসিস, কলােয়েড, বায়ােকেমিস্ট্রি এবং আলােকরশ্মির রসায়ন প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব নিয়ে বহু গবেষণা হয়, যা Journal of Indian Chemical Society, Journal of Physical Chemistry প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও। 


রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য মানুষজনের বিজ্ঞানচর্চার পরিচয় দাও। 


বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে অক্ষয়কুমার দত্তের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে |  

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদানন্দ রায়ের অবদান আলােচনা করাে।


বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থের রচয়িতা কে? বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে তার অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে। 


বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। প্রত্যেক ধরনের খেলার নাম উল্লেখ করাে। 


বাঙালির কুস্তিচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অথবা, আমাদের মহাকাব্যে কুস্তি কী নামে পরিচিত ছিল? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তিচর্চার পরিচয় দাও। 


বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো। 


বাঙালির ক্রীড়া ঐতিহ্যে ফুটবলের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল? এই পর্বের ফুটবলের সঙ্গে কোন্ বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাম জড়িয়ে আছে? বাংলার ফুটবলের কোন্ ঘটনা, কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিল?