সহ রূপমূল বা Allomorph সম্বন্ধে যা জান সংক্ষেপে লেখাে।

সহ রূপমূল

দুই বা তার বেশি রূপমূলের ধ্বনিগত ও অর্থগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে একাধিক রূপমূল একই অর্থ প্রকাশ করে। এই শ্রেণির রূপমূলগুলিকে সহরূপ (Allomorph) বলে।


সেদিক থেকে দেখতে গেলে সহরূপ হল রূপমূলের পরিবর্তনীয়, বৈচিত্র্যময় রূপ, যা রূপমূলের বিশেষ পরিবেশে ব্যবহৃত হয়। যেমন রা, গুলাে, গুলি ইত্যাদি।


রা, গুলি, গুলাে—এই সহরূপমূলগুলির গঠনের ক্ষেত্রে ধ্বনিগত পার্থক্য থাকলেও এগুলাে একই ধরনের অর্থ প্রকাশ করে বলে এরা স্বতন্ত্র রূপমূল রূপে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়নি।


বিভিন্ন ভাষায় সহরূপমূলগুলাে বিভিন্ন রূপমূলক এবং ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিবেশে ব্যবহৃত হতে পারলেও, বাংলায় বহুবচন নির্দেশক সহরূপমূলগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক কোনাে পরিবেশ নেই, কিন্তু রূপমূলক পরিবেশ বিদ্যমান। যেমন—‘গুলাে’ ও 'গুলি' এই সহরূপমূল দুটি মানুষ-সহ অন্যান্য প্রাণী বা অপ্রাণীবাচক বিশেষ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে (লােকগুলাে, বইগুলি), কিন্তু রা’ সহরূপমূলটি শুধুমাত্র মনুষ্যবাচক বিশেষ্যের সঙ্গে যুক্ত হয় (মহিলারা, মেয়েরা, লােকেরা)।


এবার ইংরেজিতে কয়েকটি বহুবচন নির্দেশক পদ নিয়ে আলােচনা করা যাক cats, crosses, oxen, এইসব পদে বহুবচন বােধক প্রত্যয় হল যথাক্রমে s, es, en । কিন্তু এদের মধ্যে ধ্বনিগত মিল নেই। তা সত্ত্বেও এরা একই রূপমূল। কারণ, এদের অর্থ এক এবং পরস্পরের পরিপূরক অবস্থানে রয়েছে বলে এরা একের জায়গায় অন্যটি বসতে পারে না। cat-এর সঙ্গে যেমন 'en যােগ হতে পারে না, তেমনি ox-এর সঙ্গে ‘s’ বা 'es' যুক্ত হতে পারে না। এদের অবস্থান শর্তাধীন। এরা তাই একই রূপমূলের অবস্থানগত বৈচিত্র্য। ভাষাবিজ্ঞানীরা এই রকমের বৈচিত্র্যকেই 'সহরূপমূল' বা Allomorph বলে চিহ্নিত করেছেন।


সহরূপমূলের রূপভেদ হিসেবে শূন্য রূপমূলের ভূমিকা নির্দিষ্ট করাে। 


বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের রূপবৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে। 


প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়ােগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের কটি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও। 


সমন্বয়ী ও নিম্পাদিত রূপমূল সম্পর্কে লেখাে। 


আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান অনুযায়ী বাক্য বিশ্লেষণ করে বাক্যের গঠনের ধারণাটি সুস্পষ্ট করাে। 


বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে। 


উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে। 


বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও। 


বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। 

অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 

অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে। 


বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে। 


গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।