বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে।

আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের চর্চায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হল বাক্যের- (১) অধােগঠন বা অন্তর্গঠন এবং (২) অধিগঠন বা বহির্গঠন। অধােগঠনকে ইংরেজিতে বলা হয় Deep Structure এবং অধিগঠনকে বলা হয় Surface Structure.


বাক্যের গঠনের এই ধারণা দুটির প্রবক্তা হলেন নােয়াম চমস্কি। তার মতে প্রতি বাক্যের দুটি স্তর থাকবেই, একটি অন্বয়গত গঠনের স্তর এবং অন্যটি অর্থের স্তর বা অন্তর্লীন স্তর। অন্বয়গত গঠনের স্তরটি হল অধিগঠন এবং অর্থের স্তরটিকে তিনি অধােগঠন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।


ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করলে এরকম দাঁড়ায় যে, বাক্যের রূপান্তরের পূর্ববর্তী স্তরে থাকে অবােগঠন বা অন্তলীন অর্থের স্তর। এরপর বাক্যের রূপান্তরিত ধাপটি হল তার অধিগঠন। নীচে দুটি বাক্যের সাহায্যে অধােগঠন ও অধিগঠনের ধাপটি দেখানাে হল

(১) আমরা জিতব বলে খেলতে নেমেছি।

(২) আমরা জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বলে খেলতে নেমেছি।


বাক্য দুটির মধ্যে ২নং বাক্যটি ১নং বাক্যের মূল অর্থটি বহন করছে তাই এটি একটি অধােগঠন (Deep Structure)। বিপরীতক্রমে ১নং বাক্যটি অন্বয়গত গঠনের বহিঃস্তর, তাই এটি একটি অধিগঠন।


অনেক সময় আমরা যে বাক্য বলি তাতে অনেক অস্পষ্টতা থাকে। সেক্ষেত্রে বাক্যের অধিগঠন ও অধােগঠনের স্তরটি নির্ণয় করতে পারলে এই বােধের অস্পষ্টতা দূর হয় বলে মনে করেন ভাষাবিজ্ঞানী নােয়াম চমস্কি। যেমন

“জ্বর গায়ে ডাক্তার স্কুলে যেতে বারণ করেছেন।”


এটা যদি একটি অধিগঠন হয়, তবে এই বাক্যের মূল ভাব বা অর্থ নিয়ে একটা দোলাচল থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে এর দুরকম অপােগঠন হতে পারে। যেমন一

(১) জ্বরটি ছোঁয়াচে বলে ডাক্তার স্কুলে যেতে বারণ করেছেন।

(২) জ্বর আরও বেড়ে যেতে পারে বলে ডাক্তার স্কুলে যেতে বারণ করেছেন।


তাহলে বােঝাই যাচ্ছে, বাক্যের অধিগঠন দেখেই তার মূল অর্থ বােঝা যায় না। কিন্তু আমরা যদি বাক্যের অধােগঠন বা বাক্যের অন্তর্লীন অর্থটি সম্বন্ধে অবহিত থাকি, তাহলে বাক্যের অধিগঠন বা বাইরের রূপটি যেমনই হােক না কেন বাক্যের মূল বক্তব্যটিকে ধরতে পারি। সেদিক থেকে বলা যায় যে, ভাব প্রকাশের সময় আমরা বিশেষ ভাবটিকে অক্ষুন্ন রেখে নানারকম অধিগঠন রূপে তাকে প্রকাশ করতে পারি। আমরা মনের বিশেষ ভাব অর্থাৎ বাক্যের অবােগঠনটি সেক্ষেত্রে অপরিবর্তিতই থাকে।


গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও। 


বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। 

অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 

অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে। 


বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে। 


গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।  


শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ? 

অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? এই ক্ষেত্রে ফার্দিনান্দ (ফের্দিনা) দ্য সােস্যুর (Ferdinand De Saussure)-এর অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকারের? যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণ বলতে কী বােঝ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও। 


অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী বাক্যগঠন—এই দুই প্রকার গঠনগত প্রকৃতি পর্যালােচনা করাে। 


বিশেষ্যজোট, অনুসর্গজোট, ক্রিয়াজোট এবং ক্রিয়াবিশেষণজোট সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে? শব্দার্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়টি সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে এবং এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা লেখাে। 

অথবা, শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 

অথবা, শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে।