বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে 'অব্যবহিত উপাদান’-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে।

বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা

আমরা জানি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত যে-কোনাে অর্থপূর্ণ শব্দসমষ্টিই হল গঠন। অন্যদিকে যখন কোনাে একটি গঠন একটি বৃহত্তর গঠনের অংশ, তখন সেইটাই সেই বৃহত্তর গঠনের গঠনগত উপাদান।


বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের এই ধারণার নিরিখে বাক্যের অন্তর্গত উপবাক্য ও পদগুচ্ছ একদিকে যেমন এক-একটি গঠন, অন্যদিকে এরা বাক্যের এক-একটি গঠনগত উপাদানও বটে। কিন্তু একটি বাক্য শুধুই গঠন, কারণ সমগ্র বাক্যটি সেই বাক্যের অংশ নয়। তাই সমগ্র বাক্যটিকে বাক্যের গঠনগত | উপাদান বলা যায় না। আমরা যেমন একজন মানুষকে তার অঙ্গ বলতে পারি না, তেমনি একটা গােটা বাক্যকে তার গঠনগত উপাদান বলা যায় না।


'অব্যবহিত উপাদান'-এর স্বরূপ


বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে বাক্যকে ধাপে ধাপে ক্রমশ বড়াে থেকে সবচেয়ে ছােটো উপাদানে ভাগ করা হয়। যে কোনাে গঠনকে প্রথম ধাপে আমরা যে দুটি বা যে কটি বৃহত্তম অর্থপূর্ণ উপাদানে ভাগ করতে পারি তাদের 'অব্যবহিত উপাদান' (Immediate Constituent) বলে। যেমন "আমরা যখন ফুটবল খেলছিলাম তখন বাইচুং দর্শকাসনে বসেছিলেন।” বাক্যটিকে বিশ্লেষণ করতে গেলে একে আমরা প্রথম ধাপে সবচেয়ে বড়াে যে দুটি অংশে ভাগ করতে পারি তা হল

(১) আমরা যখন ফুটবল খেলছিলাম

(২) তখন বাইচুং দর্শকাসনে বসেছিলেন।


এই বৃহত্তম উপাদান দুটি হল সমগ্র বাক্যের অব্যবহিত উপাদান। এখন আমরা যদি ১নং গঠনটিকে দুটি বৃহত্তম উপাদানে ভাঙি, তাহলে আমরা পাব一

(১.১) আমরা (১.২) যখন ফুটবল খেলছিলাম


এখানে এই দুটি হল ১নং গঠন বা উপবাক্যের অব্যবহিত উপাদান। ১.২ নং পদসমষ্টিকে ভেঙে তারও দুটি অব্যবহিত উপাদান পাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য যে, 'আমরা' বা 'যখন ফুটবল খেলছিলাম' সমগ্র বাক্যের গঠনগত উপাদান হলেও এরা সমগ্র বাক্যের 'অব্যবহিত উপাদান' নয়, শুধুমাত্র ১নং উপবাক্যের অব্যবহিত উপাদান।


প্রকৃতপক্ষে 'অব্যবহিত উপাদান' বলতে বােঝায়, যে গঠনটি বিশ্লেষণ করা হয় তার বৃহত্তম উপাদান শুধু তারই অব্যবহিত উপাদান, তার চেয়েও বৃহত্তর কোনাে গঠনের অব্যবহিত উপাদান নয়।


উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে। 


বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও। 


বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। 

অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 

অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে। 


বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে। 


গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।  


শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ? 

অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? এই ক্ষেত্রে ফার্দিনান্দ (ফের্দিনা) দ্য সােস্যুর (Ferdinand De Saussure)-এর অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকারের? যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণ বলতে কী বােঝ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও। 


অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী বাক্যগঠন—এই দুই প্রকার গঠনগত প্রকৃতি পর্যালােচনা করাে। 


বিশেষ্যজোট, অনুসর্গজোট, ক্রিয়াজোট এবং ক্রিয়াবিশেষণজোট সম্পর্কে আলােচনা করাে।