বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের রূপবৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােকপাত করাে।

বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের রূপবৈচিত্র্য

কোনাে ভাষার শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন কীভাবে তার রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয়, সে সংক্রান্ত আলােচনা রূপতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা কোনাে শব্দকে যখন বাক্যে ব্যবহার করি, তখন শব্দের এক নতুন ভূমিকা শুরু হয়। বাক্যে ব্যবহারের পর শব্দ আর শব্দ থাকে না, তা পদ- এ পরিণত হয় (Parts of speech)।


বাংলা বাক্যে ভিন্ন ভিন্ন পদের ভূমিকা এবং পদগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিচার করে পদকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যেমন—নামপদ বা বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া এবং অব্যয়।


বাক্যের পদগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক প্রকাশ করার জন্য অথবা বাক্যের মধ্যে পদগুলির ভূমিকা চিহ্নিত করার জন্য শব্দের অঙ্গ হিসেবে যেসব রূপ যােগ করা হয়, সেগুলিকে বলে বিভক্তি। এই রূপগুলি যুক্ত হয়ে থাকার ফলে শব্দের রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয়।


অব্যয় পদের কোনাে রূপবৈচিত্র্য নেই, কারণ, অব্যয়ের সঙ্গে কোনাে বিভক্তি যােগ হয় না, শুধু বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয়। তার মধ্যে বিশেষ্য ও সর্বনামের বিভক্তি একই বিভাগে আলােচ্য, কারণ সর্বনাম বিশেষ্যের পরিবর্ত পদ। এই বিভাগকে বলা হয় কারকবিভক্তি। বিশেষণ যখন বিশেষ্যের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন তার সঙ্গে সাধারণত কোনাে কারকবিভক্তিই যুক্ত হয়। না। সুতরাং বিভক্তি যােগে রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয় প্রধানত নামপদ বা বিশেষ্য ও ক্রিয়া পদের। তাই বিভক্তি হল দু-প্রকার—(১) নামবিভক্তি এবং (২) ক্রিয়াবিভক্তি।


এই দুধরনের বিভক্তি যােগে যে রূপবৈচিত্র্য সাধিত হয়, তাই রূপতত্ত্বের প্রধান আলােচ্য বিষয়। বিশেষ্য ও ব্রিয়ার বূপবৈচিত্রাই বাংলা রূপতত্বে প্রধান স্থান অধিকার করে আছে। এদের যথাক্রমে শব্দরূপ ও ক্রিয়ারূপ বলে।


এই শব্দরূপ ও ক্রিয়ারূপ ছাড়াও বাংলা ভাষায় শব্দের রূপবৈচিত্র্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নেয় বচন, লিঙ্গ, পুরুষ, কারক, কাল, ভাব-প্রকার প্রভৃতি। এদেরকে একত্রে বলা হয় ব্যাকরণিক সংবর্গ।


এইসব ব্যাকরণিক সংবর্গ সব ভাষার রূপতত্ত্বকে সমানভাবে নিয়ন্ত্রণ করে না। এক-এক ভাষায় এদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা এক-এক রকম। তাই এই ব্যাকরণিক সংবর্গের ওপরই ভাষাবিশেষের রূপতত্ত্বের মূল বৈশিষ্ট্যগুলিও নির্ভর করে।


প্রত্যয় কাকে বলে? ব্যাবহারিক প্রয়ােগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়ের কটি ভাগ ও কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও। 


সমন্বয়ী ও নিম্পাদিত রূপমূল সম্পর্কে লেখাে। 


আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান অনুযায়ী বাক্য বিশ্লেষণ করে বাক্যের গঠনের ধারণাটি সুস্পষ্ট করাে। 


বাক্যের গঠন ও গঠনগত উপাদানের তুলনা করে বাক্যের অন্যতম গঠনগত উপাদান হিসেবে অব্যবহিত উপাদান-এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করাে। 


উত্তর আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ধারায় বাক্যবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পদগুচ্ছ সংগঠন ও তার সূত্রগুলি ব্যাখ্যা করাে। 


বাক্যগঠন তত্ত্ব অনুসারে অধিগঠন ও অধােগঠন প্রক্রিয়া কাকে বলে লেখাে এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ-সহ প্রত্যেকটি ভাগের পরিচয় দাও। 


বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। 

অথবা, ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ করাে। যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 

অথবা, বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগগুলি আলােচনা করাে। 


বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে। 


গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।  


শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ? 

অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? এই ক্ষেত্রে ফার্দিনান্দ (ফের্দিনা) দ্য সােস্যুর (Ferdinand De Saussure)-এর অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।