"...শার্সিতে আটকানাে মৌমাছির মতো সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে।" -'মৌমাছি' বলতে এখানে কাকে বােঝানাে হয়েছে? উদ্ধৃতিটি ব্যাখ্যা করাে।

মৌমাছির প্রকৃত পরিচয়: এখানে মৌমাছি বলতে 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পের মুখ্য চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়কে বােঝানাে হয়েছে।


ব্যাখ্যা : মন্বন্তরের সময় একদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে ফুটপাথে একটি অনাহার জনিত মৃত্যুর দৃশ্য দেখে আবেগপ্রবণ মৃত্যুঞ্জয় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই মানসিক আঘাতের ফলে মৃত্যুঞ্জয় শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অফিসে গিয়ে নিজের কাজের ঘরে ঢুকে ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে সে। তারপর বাথরুমে গিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা যাবতীয় খাবার বমি করে ফেলে। বাথরুম থেকে ফিরে এসে কাচের গ্লাসে জল খেতে খেতে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে দেয়ালের দিকে। 'পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস' মৃত্যুঞ্জয়ের এই মৃত্যুদৃশ্য দেখার পর থেকেই বিবেক দংশন শুরু হয়। তার মনে অনাহার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জাগে। সে ভাবতে চেষ্টা করে খিদের জ্বালা আর মৃত্যু যন্ত্রণার মধ্যে কোন্টা বেশি কষ্টকর। সে আরও ভাবে যে, দরিদ্র মানুষের জীবনপ্রণালী সম্পর্কে তার উদাসীনতাই হয়তাে এইরকম মৃত্যুর কারণ। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান বা প্রায়শ্চিত্তের কোনাে যথাযথ উপায় সে খুঁজে পায় না। কঠোর বাস্তবের সমাধানহীন এক প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে বিভ্রান্ত মৃত্যুঞ্জয় শার্শিতে আটকে-পড়া মৌমাছির মতাে মাথা খুঁড়তে থাকে।



অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।- কার কথা বলা হয়েছে? তার মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার যে কারণ লেখক আলােচনা করেছেন এই প্রসঙ্গে সেটির বিবরণ দাও। 


অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।- নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে কেন প্রশ্ন করেছিল? মৃত্যুঞ্জয় কেন অন্য কথা বলে? 


মরে গেল। না খেয়ে মরে গেল।- বক্তা কে? এর মধ্য দিয়ে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে উঠেছে? 


এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি?- কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে? বক্তার এই অপরাধবােধের কারণ কী? 


নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এ ভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।- কোন প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে? 


সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষয় গম্ভীর হয়ে আছে।—কোন দিনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ কেন বিষয় গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল? 


ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।- বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে? 


মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।- মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল? 


কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।—মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করাে। 


দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? 


ভুরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।— বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে?