"সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষয় গম্ভীর হয়ে আছে।”—কোন দিনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ কেন বিষয় গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল?

উদ্দিষ্ট দিন: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' ছোট গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় মন্বন্তরের সময় কালে যেদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে ফুটপাথে একটি অনাহার মৃত্যুর বীভৎস দৃশ্য দেখেছিল, সেই দিনটির কথাই প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে।


মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষন্ন ও গম্ভীর হয়ে ওঠার কারণ : এতকাল অবধি মৃত্যুঞ্জয় না-খেতে-পেয়ে মরার কথা কেবল শুনেছিল বা পড়েছিল। মন্বন্তরের সময় প্রায়শই ফুটপাথে অনাহার-মৃত্যু ঘটলেও মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনে প্রথমবারের জন্য সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল।


মৃত্যুর বীভৎসতা : মৃত্যুঞ্জয় ছিল ন্যায়নীতিবােধসম্পন্ন, অনুভূতিশীল, সাদাসিধে ভালো মানুষ। মানব সভ্যতার নষ্ট হয়ে যাওয়া যে সুপ্রাচীন ঐতিহ্য আদর্শবাদ তার কল্পনায় এবং সাধনায় মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সঁপে দিয়েছিল। জীবনে প্রথম ফুটপাথে অনাহার মৃত্যুর বীভৎস দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার পরে মৃত্যুঞ্জয়ের মনে এই অনাহার-মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জেগে ওঠে।


উদাসীন জীবন যন্ত্রণা : খিদের যন্ত্রণা না মৃত্যু যন্ত্রণা কোন্টা বেশি কষ্টকর তা নিয়েও তার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। তার মনে হয় তার মতাে স্বচ্ছল মধ্যবিত্তদের দরিদ্র মানুষের জীবন যন্ত্রণা সম্পর্কে উদাসীনতাই হয়তাে এর কারণ। এই মৃত্যুর ঘটনাটা মৃত্যুঞ্জয়কে এমন আহত করেছিল, অপরাধবােধে দীর্ণ করে দিয়েছিল যে, তারপর থেকেই সে বিষয় ও গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল।


ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।- বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে? 


মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।- মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল? 


কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।—মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করাে। 


দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? 


ভুরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।— বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? 


তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হযে গেছে।—কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী? 


মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।- মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? 


কারো বুকে নালিশ নেই কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে। ভাবনাসূত্রটি বিশ্লেষণ করাে। 


কারো বুকে নালিশ নেই, কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।— কারাে বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কার, কীভাবে এ কথা মনে হয়েছে? এই নালিশ ও প্রতিবাদ না থাকার কারণ কী? 


দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী? 


ফুটপাথে অনাহারে-মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে সম্পূর্ণ পালটে গেল, তা কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ধীরে যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।—মন্তব্যটির আলােকে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে। 


কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্পের নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করাে।