"দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।"- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী?

মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবর্তন: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' ছোটগল্প থেকে উদ্ধৃতিটি সংকলিত হয়েছে। অনাহারে মৃত্যু দেখার কিছুদিন পরই অফিসের মাইনের তারিখ আসে। সে-দিন মৃত্যুঞ্জয় তার মাইনের পুরাে টাকাটা নিখিলের মাধ্যমে রিলিফফান্ডে দান করে দেয়। সে-দিনের পর থেকেই মৃত্যুঞ্জয় কেমন যেন হয়ে যেতে থাকে। অফিসে আসতে দেরি করে, কাজে ভুল করে, প্রায়ই চুপচাপ বসে বসে ভাবে, তারপর একসময় বেরিয়ে যায়। বাড়িতেও তাকে বিশেষ একটা পাওয়া যায় না। দিনরাত শহরের ফুটপাথ ধরে সে হেঁটে বেড়ায়। বড়াে গাছের নীচে, ডাস্টবিনের ধারে বা খােলা ফুটপাথে যেসব দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ পড়ে থাকে, তাদের শুধু দাঁড়িয়ে থেকে লক্ষ করে সে। এইসব অনাহারীরা সন্ধ্যা থেকেই শুয়ে থাকে, কিন্তু অনেক রাতে, দোকানপাট বন্ধ যাওয়ার পর হামাগুড়ি দিয়ে সামনের কোনাে রােয়াকে উঠে সেখানে শুয়ে পড়ে। এরাই ভোর চারটের সময় লঙ্গরখানায় গিয়ে খাবারের জন্য লাইন দেয়। সকালের দিকে মৃত্যুঞ্জয় তাই বিভিন্ন পাড়ার লঙ্গরখানায় গিয়ে অন্নপ্রার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করে।


মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবর্তনের কারণ : মন্বন্তরকালে নিজের চোখে ফুটপাথে ঘটা অনাহার-মৃত্যুর দৃশ্য দেখে ভীষণ রকমের মানসিক আঘাত পেয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়। একজন মানুষ না-খেতে পেয়ে মরার সময় কীরকম কষ্ট পায়, খিদের যন্ত্রণা না মৃত্যু যন্ত্রণা কোনটা বেশি কষ্টদায়ক এসব প্রশ্ন তাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। মন্বন্তরকালে মৃত্যুঞ্জয় সপরিবারে চার বেলা খেয়ে চলেছে এবং ত্রাণকার্যেও কখনও এগিয়ে যায়নি বলে নিজেকে ধিক্কার দেয় মৃত্যুঞ্জয়। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের বাঁচাতে তাই সে মাইনের সব টাকাটা ত্রাণ তহবিলে দান করে দেয়। এমনটা করেও তার অপরাধবােধ না কমায় সে অমন হয়ে গিয়েছিল।


ফুটপাথে অনাহারে-মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে সম্পূর্ণ পালটে গেল, তা কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ধীরে যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।—মন্তব্যটির আলােকে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে। 


কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্পের নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করাে। 


কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটগল্পের টুনুর মা চরিত্র পর্যালোচনা করাে। 


ধিক। শত ধিক আমাকে।- বক্তা কে? বক্তার চরিত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে। 


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটগল্পে মন্বন্তর জনিত অনাহার এবং অনাহার-মৃত্যুর সম্বন্ধে নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের ভাবনাচিন্তাগুলি লিপিবদ্ধ করাে। 


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটগল্পের সম্বন্ধে সমালোচক বলেছেন যে, এটি মৃত্যুঞ্জয়ের বিকারের সার্থক শিল্পরূপ—মন্তব্যটি পর্যালোচনা করে। 


ছোট গল্প হিসেবে কে বাঁচায়, কে বাঁচে কতখানি সার্থক তা আলােচনা করাে। 


...মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস বলে।- নিখিল কার সম্পর্কে এরকম ভেবেছে? এই ভাবনার প্রসঙ্গ কি? তার ভাবনা যথার্থ ছিল কি না উল্লেখ করাে। 


মহাশ্বেতা দেবী রচিত ভাত ছোট গল্পের বড় বাড়ি-র চার পুত্র ও পুত্রবধূর পরিচয় দাও। 


তার বিয়ে হয়নি।- তার বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? তার বিয়ে না হওয়ার কারণ কী? 


মেজ বউ উনােন পাড়ে বসেছে।—উনার পাড়ে বসে মেজোবউ কোন্ কাজ করছিল এবং কেন? বাড়ির বড়ােবউয়ের কাজ কী?