“ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।"- বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে?

বক্তা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' ছোট গল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিটির বক্তা হল মৃত্যুঞ্জয়।


উদ্দিষ্ট পাশবিক স্বার্থপরতার বিশ্লেষণ : পঞ্চাশের মন্বন্তরকালে হঠাৎই একদিন ফুটপাথে অনাহারে-মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয় অপরাধবােধে দীর্ণ হয়ে পড়ে। তার প্রিয় বন্ধু নিখিলের এতে মন খারাপ হয়। তবুও সে ভাবে যে, সব মানুষের সকল সহানুভূতি একত্রিত করে অনাহারীদের খিদের আগুনে ঢাললেও তা নিভবে না, উলটে তা ইন্ধনই পাবে। তার মতে, ভিক্ষা দানের মতাে পাপকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে সৎকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয় বলেই মানুষের অন্নের দাবি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এরপর মাইনের দিন মৃত্যুঞ্জয় যখন তার মাইনের সব টাকা নিখিলের মাধ্যমে ত্রাণ তহবিলে দান করে দেয়, তখন আর নিখিল স্থির থাকতে পারে না। পরিবারের প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে সে মৃত্যুঞ্জয়কে জানায় যে, মন্বন্তরকালে ভূরিভােজ অন্যায় হলেও উপােস করে মৃত্যুবরণ করাও একেবারেই উচিত নয়। তাই বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু খাদ্যের প্রয়ােজন, ততটুকুই সে গ্রহণ করে। নিখিল আরও জানায় যে, যতদিন অবধি আত্মরক্ষার উপযােগী ন্যূনতম খাদ্য সে জোগাড় করতে পারবে, ততদিন অবধি সে সেই খাদ্য গ্রহণ করবে। দেশের সমস্ত লােক মরে গেলেও সে অন্যকে সেই আত্মরক্ষার উপযােগী খাবার দিতে পারবে না। সমাজধর্মের দিক থেকেই বলা যায় যে, দশজনকে হত্যা করার চেয়ে নিজে উপােস করে মৃত্যুবরণ করা আরও বেশি অপরাধ। নিখিলের এই ভাবনাকেই মৃত্যুঞ্জয় 'পাশবিক স্বার্থপরতা' বলে অভিহিত করেছে।


মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।- মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল? 


কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।—মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করাে। 


দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? 


ভুরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।— বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? 


তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হযে গেছে।—কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী? 


মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।- মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? 


কারো বুকে নালিশ নেই কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে। ভাবনাসূত্রটি বিশ্লেষণ করাে। 


কারো বুকে নালিশ নেই, কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।— কারাে বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কার, কীভাবে এ কথা মনে হয়েছে? এই নালিশ ও প্রতিবাদ না থাকার কারণ কী? 


দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী? 


ফুটপাথে অনাহারে-মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কীভাবে সম্পূর্ণ পালটে গেল, তা কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ধীরে যেভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা, তারপর মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধূলিমলিন সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়।—মন্তব্যটির আলােকে কে বাঁচায়, কে বাঁচে গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে। 


কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্পের নিখিল চরিত্রটি পর্যালোচনা করাে। 


কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোটগল্পের টুনুর মা চরিত্র পর্যালোচনা করাে।