"অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।”- নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে কেন প্রশ্ন করেছিল? মৃত্যুঞ্জয় কেন অন্য কথা বলে?

নিখিলের প্রশ্নের প্রেক্ষাপট: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পে ফুটপাথে অনাহার-মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের মধ্যে এক তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। এই দৃশ্য তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে তুলেছিল। সমস্ত বিষয়টা খতিয়ে দেখে নিখিলের মনে হয়েছিল, ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে মৃত্যুঞ্জয় আসলে স্পষ্ট ধারণা করতেই পারছে না। মৃত্যুঞ্জয় হয়তাে ফুটপাথের মানুষগুলির জীবনযাপনের বীভৎসতা, ক্ষুধা অথবা মৃত্যুর রূপ বােঝার চেষ্টা করছে। "না খেয়ে মরা কী ও কেমন?"- এ প্রশ্নের উত্তরও সে খুঁজে চলেছে। তাই সমস্ত বিষয়টি ভালােভাবে জেনে নেওয়ার জন্যই নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে প্রশ্ন করেছিল।


মৃত্যুঞ্জয় 'অন্য কথা' বলার কারণ : নিখিল যখন এই প্রশ্নগুলি মৃত্যুঞ্জয়ের সামনে রাখে, তখন জবাবে সে অন্য কথা বলে। সে পালটা নিখিলকে জিজ্ঞাসা করে যে, সে নিজে দিব্যি খেয়েপরে বেঁচে রয়েছে অথচ একটা লোক না খেয়ে মরে গেলে অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী। সে নিজে চারবেলা খাচ্ছে আর কিছু মানুষ একবেলাও খেতে পাচ্ছে না এই বৈষম্য তাকে কাতর করে তােলে। একদিকে সে তার ধরাবাঁধা জীবনে দৈনন্দিন কাজ শেষ করে নিশ্চিন্ত অবসর কাটায়, অন্যদিকে লোকের অভাবে ত্রাণকার্য সঠিকভাবে চালানাে যায় না এ কথা মনে হতেই মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার দেয়।


মরে গেল। না খেয়ে মরে গেল।- বক্তা কে? এর মধ্য দিয়ে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে উঠেছে? 


এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি?- কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে? বক্তার এই অপরাধবােধের কারণ কী? 


নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এ ভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।- কোন প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে? 


সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষয় গম্ভীর হয়ে আছে।—কোন দিনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ কেন বিষয় গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল? 


ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।- বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে? 


মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।- মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল? 


কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।—মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করাে। 


দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? 


ভুরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।— বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? 


তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হযে গেছে।—কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী? 


মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।- মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? 


কারো বুকে নালিশ নেই কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে। ভাবনাসূত্রটি বিশ্লেষণ করাে।