“এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি?"- কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে? বক্তার এই অপরাধবােধের কারণ কী?

উদ্দিষ্ট অপরাধের পরিচয়: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পে মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যাওয়ার পথে ফুটপাথে এক অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। নিজেদের চারবেলা পেট ভরে খাওয়া এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের মৃত্যু বিষয়ে উদাসীনতাকে মৃত্যুঞ্জয়ের অপরাধ বলে মনে হয়।


অপরাধবােধের কারণ : মানুষের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা মৃত্যুঞ্জয়ের সমস্ত চেতনাকে আচ্ছন্ন করে তােলে। শারীরিক কষ্টবােধের সঙ্গে মানসিক যন্ত্রণা তীব্র হয়ে ওঠে। বন্ধু ও সহকর্মী নিখিল তাকে বলেছে- "মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা-তাপস"। এই আদর্শের কারণেই সে মৃত্যুযন্ত্রণা, ক্ষুধার যন্ত্রণা ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে শুরু করে। তারা ভালােভাবে বেঁচে আছে, অথচ কিছু মানুষ না খেয়ে মরে গেল- এই বেদনা ও বৈষম্যে সে ভাবিত হয়। আর সব জেনেশুনেও সে যে চারবেলা পেট ভরে খেয়েছে তা তাকে গ্লানিজর্জর করে তােলে। আদর্শবােধের তীব্র তারণা। সব মিলিয়ে নিজের ব্যক্তিগত এবং শ্রেণিগত উদাসীনতা মৃত্যুঞ্জয়কে অনুশােচনায় বিদ্ধ করে। যখন একদিকে লােকের অভাবে যথেষ্ট ত্রাণকার্য চালানাে যাচ্ছে না- সেই সময়ে কিছু লোক সময় কাটানাের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না- এই আচরণ মৃত্যুঞ্জয় মেনে নিতে পারেনি। নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছে সে। আদর্শবােধের তীব্র তাড়নাই মৃত্যুঞ্জয়কে অপরাধী করে তুলেছে।


নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এ ভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।- কোন প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে? 


সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষয় গম্ভীর হয়ে আছে।—কোন দিনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ কেন বিষয় গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল? 


ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।- বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে? 


মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।- মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল? 


কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।—মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করাে। 


দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছে? মন্তব্যটির কারণ কী? 


ভুরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।— বক্তা কে? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে? 


তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হযে গেছে।—কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী? 


মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।- মৃত্যুঞ্জয় কে? তার বাড়ির অবস্থা শােচনীয় কেন? 


কারো বুকে নালিশ নেই কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।- মন্তব্যটির প্রসঙ্গ আলােচনা করাে। ভাবনাসূত্রটি বিশ্লেষণ করাে। 


কারো বুকে নালিশ নেই, কারাে মনে প্রতিবাদ নেই।— কারাে বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কার, কীভাবে এ কথা মনে হয়েছে? এই নালিশ ও প্রতিবাদ না থাকার কারণ কী? 


দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।- মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী?