বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ম্যাডান থিয়েটারের গুরুত্ব নির্দেশ করাে।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ম্যাডান থিয়েটারের গুরুত্ব

বাংলা চলচ্চিত্র বিকাশের ক্ষেত্রে যার নাম সর্বাগ্রে উল্লেখিত হয় তিনি জামশেদজি ফ্রামজি ম্যাডান। তিনি বােম্বাইতে এলফিনস্টোন ড্রামাটিক ক্লাবে সহযােগীর কাজ করতেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতায় এসে বায়ােস্কোপ দেখানাের কাজ শুরু করেন।


১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রয়েল বায়ােস্কোপ কোম্পানির সুসময়ে ম্যাডান সাহেব দুহাজার টাকা ধার করে কলকাতা ময়দানে তাবু খাটিয়ে বায়ােস্কোপ প্রদর্শন শুরু করেন। ব্যাবসায়িক এবং সাংগঠনিক বুদ্ধিবলে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বায়ােস্কোপের জগতে প্রবাদপুরুষে পরিণত হন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'এলফিনস্টোন পিকচার প্যালেস' নামে একটি স্থায়ী চিত্ৰগৃহ প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দি ভাষায় তৈরি 'কালীয় মর্দন’ ফিল্মের স্বত্ব কিনে ম্যাডান তাতে বাংলা সাব টাইটেল জুড়ে প্রচুর টাকা উপার্জন করেন। এরপর ম্যাডান কোম্পানির ম্যানেজার রুস্তমজি ধােতিয়ালা ভারতীয় ছবি তৈরির পরিকল্পনা করেন। তিনিই হলেন পরিচালক। জ্যোতিষচন্দ্র সরকার হলেন সিনেমাটোগ্রাফার। তৈরি হল হিন্দি ভাষায় 'মহাভারত', 'বিষ়ু অবতার', 'নল-দময়ন্তী', 'ধ্রুবচরিত'।


এই সময় প্রিয়নাথ গাঙ্গুলির প্রস্তাবে ম্যাডান বাঙালি অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে ছবি তৈরি শুরু করে। পরিচালক রুস্তমজি ধােতিয়ালার হাতে তৈরি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের বাংলা কাহিনিচিত্র 'বিল্বমঙ্গল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর মুক্তি পায়। তৎকালীন অনেক সৃজনশীল মানুষ ম্যাডান কোম্পানির সংস্পর্শে আসেন। যেমন—মধু বসু, শিশিরকুমার ভাদুড়ি, নরেশচন্দ্র মিত্র প্রমুখ। এঁদের সাহায্যে ম্যাডান কোম্পানি প্রায় শতাধিক নির্বাক চিত্র নির্মাণ করে। যেমন—'জয়দেব’, 'কৃষ্ণকান্তের উইল', 'কপালকুণ্ডলা', 'সরলা', 'গিরিবালা', 'নৌকাডুবি', 'দুর্গেশনন্দিনী' প্রভৃতি। কাননদেবী, অমৃতলাল বসু, অহীন্দ্র চৌধুরী, ইন্দু মুখার্জি, লীলাবতী প্রমুখ ম্যাডানের ছবিতে অভিনয় করেছেন। বর্তমান ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়ােটি তৈরি করে ম্যাডান কোম্পানি। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ম্যাডান কোম্পানির উদ্যোগেই তৈরি হয় প্রথম বাংলা সবাক চিত্র ‘জামাইষষ্ঠী'।


বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নিউ থিয়েটার্সের অবদান কতখানি তা বুঝিয়ে দাও। 


বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঋত্বিক ঘটকের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মৃণাল সেনের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক মৃণাল সেনের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তপন সিংহের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা সিনেমার স্মরণীয় কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরিচয় দাও। 


বাংলা তথ্যচিত্রের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

অথবা, তথ্যচিত্র বলতে কী বােঝ? বাংলা তথ্যচিত্র সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে। 


ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে বােটানিক্যাল গার্ডেনের ভূমিকা ব্যক্ত করে। 


ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাতে এশিয়াটিক সােসাইটির অবদান কতখানি তা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও। 


ঔপনিবেশিক বাংলায় শ্রীরামপুর মিশন আধুনিক বিজ্ঞান-চর্চায় প্রচার ও প্রসারে কীভাবে অংশ নিয়েছিল তা পর্যালােচনা করাে। 


ঔপনিবেশিক বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত প্রসঙ্গে স্কুল বুক সােসাইটির ভূমিকা নির্ণয় করাে। 

হিন্দু কলেজে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছিল তা আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানচর্চার প্রেক্ষাপটে হিন্দু কলেজের অবদান সংক্ষেপে লেখাে।