“বঙ্কিমের সমস্ত মনন আসিয়াছে কমলাকান্তের আধ-পাগল জীবন রহস্যের মধ্যে গভীর নিমজ্জিত বিশেষ মনোভঙ্গির তির্যক পথ বাহিয়া, যুক্তিধর্মী আলোচনার সকলের-চলা রাজপথ দিয়া নহে।”—এই মন্তব্যটি কমলাকান্তের দপ্তরের 'বিড়াল' প্রবন্ধটির প্রতি কতদূর প্রযোজ্য বিচার করো।

বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর বিভিন্ন প্রবন্ধে এমন সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা 'কমলাকান্তের দপ্তর'-এর অন্তর্ভুক্ত রচনাগুলিরও উপজীব্য বিষয়। উদাহরণ হিসেবে তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থ 'সাম্য'-এর উল্লেখ করা যায়। বঙ্কিমচন্দ্র যে সমস্ত ইউরোপীয় মনীষীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ রুশো অন্যতম। রুশো সাম্যবাদ বা সমানাধিকারের তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মানুষ স্বাধীন হয়েই জন্মগ্রহণ করে, কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রেই তাকে বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। মানুষ যেহেতু স্বাধীন হয়ে জন্মায়, তখন স্বল্পসংখ্যক প্রতিনিধি বা বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত শাসক শ্রেণির জনসাধারণকে শাসনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার কোনো অধিকার নেই—রুশোর বিখ্যাত ‘সোশ্যাল কন্ট্রাকট বা সামাজিক চুক্তি মতবাদ এই নীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত। বঙ্কিমচন্দ্র রুশোর চিন্তাধারায় যে কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন, 'সাম্য' গ্রন্থে তার পরিচয় ছড়িয়ে আছে। এই গ্রন্থের সূচনায় তিনি বলেছিলেন: “এই সংসারে একটি শব্দ সর্বদা শুনিতে পাই—অমুক বড় লোক—অমুক ছোট লোক। এটি কেবল শব্দ নহে। লোকের পরস্পর বৈষম্য জ্ঞান মনুষ্যমগুলীর কার্যের একটি প্রধান প্রবৃত্তির মূল। অমুক বড় লোক, পৃথিবীর যত ক্ষীর, সর, নবনীত সকলই তাহাকে উপহার দাও।... আর তুমি-তুমি বড় লোক নহ–তুমি সরিয়া দাঁড়াও, এ সামগ্রী কিছুই তোমার জন্য নয়। কেবল এই তীব্রঘাতী লোলায়মান বেত্র তোমার জন্য বড় লোকের চিত্তরঞ্জনার্থ তোমার পৃষ্ঠের সঙ্গে মধ্যে মধ্যে ইহার আলাপ হইবে।” ‘সাম্য’ ও ‘বিড়াল’-এর বক্তব্য বিষয় এক, শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও সাম্যের কোনো কোনো উক্তি এবং ‘বিড়াল’-এর সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা বিড়ালের উক্তি পর্যন্ত এক।


সমাজতন্ত্র ‘সাম্যে’র যেমন, তেমনি ‘বিড়ালে’রও মূল বক্তব্য বিষয়। কিন্তু দুটি রচনার মধ্যে পার্থক্য কত বিপুল। 'সাম্যে' লেখক যুক্তি-বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাজতন্ত্রের যৌক্তিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অন্যদিকে ‘বিড়ালে’ এই বক্তব্যকে সাধারণ প্রবন্ধের মতো প্রকাশ করা হয়নি, আমরা তাকে কমলাকান্তের আফিমের প্রসাদলব্ধ বিচিত্র, আপাত উদ্ভট কল্পনায়, খামখেয়ালে, সমাজতন্ত্রের প্রবক্তারূপে তার সমর্থনে বিড়ালের আবেগদীপ্ত ভাষণ এবং তার সঙ্গে ধনতন্ত্রের প্রতিনিধি ও বিড়ালের প্রতিপক্ষরূপে কমলাকান্তের বিতর্কের কল্পনায়, কৌতুক-পরিহাসে ও মননশীলতায় এক অভিনব ও অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক রসোজ্জ্বল রূপ পেতে দেখি। সেইজন্যই 'বিড়াল' আমাদের মনের ওপর এক গভীর ছাপ রেখে যায়।


‘সাম্যে’র মতো ‘কমলাকান্তের দপ্তরে’র ‘বিড়াল' রচনাটিতেও সমাজতন্ত্রবাদের যৌক্তিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, কিন্তু তার এই বক্তব্যকে পাণ্ডিত্যপূর্ণ, তথ্যনিষ্ঠ যুক্তি সমাবেশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা হয়নি। এখানে সমাজতন্ত্র সম্পর্কিত চিন্তা প্রত্যয় একান্ত অপ্রত্যাশিতভাবে এক খেয়ালী কল্পনার এলোমেলো বাতাসে ভেসে এসেছে। কিন্তু যখন সেই চিন্তাভাবনা এসে উপস্থিত হয়েছে, তখন আমরা সন্দেহাতীতরূপে উপলব্ধি করি, কোনো সমাজতত্ত্ববিদ বা অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ তাকে আমাদের হৃদয়ের এত গভীরে প্রোথিত করে দিতে পারতেন না, ‘সাম্য' প্রবন্ধেও বঙ্কিমচন্দ্র তা পারেননি। কোথায় খট্টাশায়িত, আফিমের নেশায় ঢুলুঢুলু-নেত্র নেপোলিয়নরূপে ওয়াটার্লু-যুদ্ধজয় ও ওয়েলিংটনের মার্জারত্ব-প্রাপ্তির আত্মপ্রসাদক্ষীত কল্পনায় বিভোর কমলাকান্ত এবং একদিকে দুগ্ধের মালিক প্রসন্ন গোয়ালিনী ও অন্যদিকে দুগ্ধপায়ী মার্জারের সঙ্গে তার প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাঘটিত সম্বন্ধ, আর কোথায় বা সমাজতন্ত্রের গভীর আলোচনা, তৎসম্পর্কিত বিতর্ক ও বঞ্চিত ক্ষুধার্ত দরিদ্রের ক্ষুধার জ্বালা দূর করার জন্য চৌর্যবৃত্তির অনুমোদন। উপক্রমণিকা ও উপসংহারের মধ্যে এই বিচিত্র ও অভাবনীয় অসঙ্গতি বঙ্কিমচন্দ্রের অনন্য সাধারণ রচনাকৌশলের মাহাত্ম্যেই সমাধান লাভ করেছে, আমরা কোথাও ছন্দপতনের বিশৃঙ্খলা বা আকস্মিক পীড়াদায়ক ছেদের আঘাত অনুভব করি না।


‘বিড়াল' আরম্ভ হয়েছে কমলাকান্তের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার এই দৃশ্যে: কমলাকান্ত তার শয়নকক্ষে চারপাই-এ বসে হুঁকো হাতে ঝিমোচ্ছে, অর্থাৎ আফিমের নেশায় তন্দ্রাচ্ছন্ন, একটু মিট মিট করে প্রদীপের ক্ষুদ্র আলো জ্বলছে, দেয়ালের ওপর তার চঞ্চল ছায়া প্রেতবৎ নৃত্য করছে। তার পরেই আমরা পাই তার একটি বিচিত্র ও উদ্ভট কল্পনা আহার প্রস্তুত হয়নি সেইজন্য সে হুঁকো হাতে নিমীলিতনেত্রে ভাবছিল, সে যদি নেপোলিয়ন হত তবে ওয়াটার্ন যুদ্ধে জয়ী হতে পারত কিনা। কমলাকান্তের মতো নসীরামবাবুর আশ্রয়জীবী একজন নিরীহ বাঙালি ব্রাহ্মণ সন্তানের প্রদীপের স্বল্প আলোয় আলোকিত গৃহকোণে খাটিয়ার ওপর উপবিষ্ট হয়ে হুঁকো হাতে বিশ্ববিখ্যাত বীর নেপোলিয়নের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ওয়াটালু যুদ্ধ জয়ের কল্পনার মধ্যে এমন একটা উদ্ভট অসংগতি আছে যে আমাদের হাস্যবেগ অসংবরণীয় হয়ে ওঠে। অথচ তাকে বিন্দুমাত্র অবাস্তব মনে হয় না, আফিমের নেশায় সবই তো সম্ভব। তার পরের কল্পনাটি আরো হাস্যকর এই সময় হঠাৎ মেও করে একটি শব্দ হতেই কমলাকান্তের মনে হল, ওয়েলিংটন হঠাৎ বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হয়ে তার কাছে আফিম ভিক্ষা করতে এসেছে—“প্রথম উদ্যমে, পাষাণবৎ কঠিন হইয়া বলিব মনে করিলাম যে, ডিউক মহাশয়কে ইতিপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়াছে, এক্ষণে আর অতিরিক্ত পুরস্কার দেওয়া যাইতে পারে না। বিশেষ অপরিমিত লোভ ভাল নহে। ডিউক বলিল ‘মেও।' ” এখানে কমলাকান্তের আত্মপ্রসাদক্ষীত কল্পনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, আমাদের মনে হাস্যবেগের বিপুল তরঙ্গ ফেনোচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।


কমলাকান্ত অতঃপর চোখ মেলে ভালো করে তাকিয়ে দেখে, ওয়েলিংটন নয়, একটি ক্ষুদ্র মার্জার, প্রসন্ন তার জন্য যে দুধ রেখে গিয়েছিল, নিঃশেষে উদরসাৎ করে দুগ্ধ পানে পরিতৃপ্ত মনের সুখ প্রকটিত করার জন্য মধুর স্বরে মেও বলে ডাকছে। কমলাকান্ত নিজের মনে বিচার করে দেখল, দুধ তার বাপের নয়, মঙ্গলার, দুইয়েছে প্রসন্ন। সে দুধে তার যে অধিকার, বিড়ালেরও তাই, সুতরাং সে রাগ করতে পারে না। তবে একটা চিরাচরিত প্রথা আছে যে বিড়ালে দুধ খেয়ে গেলে তাকে মারতে যেতে হয়। সে তার অবমাননা করে মনুষ্য সমাজে কুলাঙ্গাররূপে পরিচিত হবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়, এই মার্জারও তার স্বজাতিমণ্ডলে তাকে কাপুরুষ বলে উপহাস করতে পারে। সুতরাং পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়: “ইহা স্থির করিয়া, সকাতর চিত্তে, হস্ত হইতে হুঁকা নামাইয়া, অনেক অনুসন্ধানে এক ভগ্ন যষ্ঠি আবিষ্কৃত করিয়া সগর্বে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হইলাম।” কমলাকান্তের পৌরুষের এই চেষ্টাকৃত প্রদর্শনীও আমাদের মনকে হাস্যরসের তরঙ্গে প্লাবিত করে।


অতঃপর কমলাকান্ত দিব্যকর্ণ প্রাপ্ত হয়ে সমাজতন্ত্রের প্রবক্তারূপে বিড়ালের বক্তব্য শুনতে পেয়েছে। আমরা প্রস্তাবনার ঐ হাস্যরসাত্মক কল্পনা ও কমলাকান্তের পৌরুষের আস্ফালনের কৌতুকরস থেকে তার কল্পনায় ভর করে বিড়ালের কণ্ঠনিঃসৃত সমাজতন্ত্রের আলোচনায় সহজেই পৌঁছে যাই, বিড়ালকে সমাজতন্ত্রের এবং স্বয়ং কমলাকান্তকে ধনতন্ত্রের প্রতিনিধিতে রূপান্তরিত হতে দেখি। বিড়াল যখন বলে, “এ সংসারে ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস সকলই তোমরা খাইবে, আমরা কিছুই পাইব না কেন? তোমরা মানুষ, আমরা বিড়াল, প্রভেদ কি? তোমাদের ক্ষুৎপিপাসা আছে—আমাদের কি নাই?”—তখন আমরা দরিদ্র ও শোষিত সর্বহারা শ্রেণির একজন প্রতিনিধির ক্ষোভ ও প্রতিবাদের কণ্ঠকেই ধ্বনিত হতে শুনি। “দেখ, আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি? খাইতে পাইলে কে চোর হয়? দেখ, যাঁহারা বড় বড় সাধু, চোরের নামে শিহরিয়া উঠেন, তাঁহারা অনেকে চোর অপেক্ষাও অধার্মিক। তাহাদের চুরি করিবার প্রয়োজন নাই বলিয়াই চুরি করেন না। কিন্তু তাঁহাদের প্রয়োজনাতীত ধন থাকিতেও চোরের প্রতি মুখ তুলিয়া চাহেন না, ইহাতেই চোরে চুরি করে”–কমলাকান্তের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত বিড়ালের এই উক্তিতে ক্ষোভ ও বেদনার তীব্রতায় ধনীদের শোষণ ও বঞ্চনাই যে দরিদ্রদের চুরির মতো অপরাধের দিকে ঠেলে দেয় সেই সত্যের উদ্ঘাটন বাস্তবে ও জীবন্ত রূপ পেয়ে আমাদের হৃদয়মনকে আলোড়িত করে, ‘সাম্য' প্রবন্ধটি পাঠ করার সময় এই অভিজ্ঞতা আমাদের হয় না।


“তুমি কমলাকান্ত, দূরদর্শী, কেন না আফিংখোর, তুমিও কি দেখিতে পাও না যে, ধনীর দোষেই দরিদ্র চোর হয়? পাঁচ শত দরিদ্রকে বঞ্চিত করিয়া একজন পাঁচশত লোকের আহার্য সংগ্রহ করিবে কেন? যদি করিল, তবে সে তাহার খাইয়া যাহা বাহিয়া পড়ে, তাহা দরিদ্রকে দিবে না কেন? যদি না দেয়, তবে দরিদ্র অবশ্য তাহার নিকট হইতে চুরি করিবে; কেন না অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পৃথিবীতে কেহ আইসে নাই।” বিড়াল এখানে দরিদ্র, শোষিত সমাজের একজন মানুষ হিসাবে, ক্ষুধার জ্বালার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে একজন ধনীর যে পাঁচশ' জনের আহার্য সংগ্রহের কোনো অধিকার নেই এবং তার সেই সংগ্রহ জুগিয়ে অনাহারে মরবার জন্য দরিদ্র লোকেরা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেনি—সমাজতন্ত্রের সেই মূলতত্ত্বকে জীবনের বাস্তব সত্যরূপেই প্রকাশ করে, তার জন্যই আমরা তার এই বক্তব্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হই।


বিড়ালের এই কথাগুলি অত্যন্ত সোশিয়ালিস্টিক, সমাজবিশৃঙ্খলার মূল, যদি যার যত ক্ষমতা সে তত ধন সঞ্চয় করতে অথবা চোরের জ্বালায় নির্বিঘ্নে ভোগ করতে না পারে, তবে কেউ আর ধন সঞ্চয়ে যত্ন করবে না তাতে সমাজের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি হবে না-সমাজের মুষ্টিমেয় ধনীদের শোষণ ও বঞ্চনার ফলেই যে দরিদ্রদের ক্ষুধার্ত থাকতে হয়—বিড়ালের নির্দেশিত সেই বাস্তব সত্যের সম্মুখীন হয়ে ধনতন্ত্রের সমর্থনে কমলাকান্ত এই অত্যন্ত হাস্যকর, অসার ও দুর্বল যুক্তি উপস্থাপিত করেছে। সমাজের ধন বৃদ্ধির অর্থ ধনীর ধন বৃদ্ধি, ধনীর ধন বৃদ্ধি না হলে দরিদ্রের কী ক্ষতি এবং সে যদি খেতেই না পেল, তবে সমাজের উন্নতি নিয়ে কী করবে বিড়ালের এই বক্তব্যের কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে কমলাকান্ত তার কাছে পরাজিত হয়ে বিজ্ঞের মতো গম্ভীরভাবে এই উপদেশ দিয়েছে, এ সমস্ত অত্যন্ত নীতিবিরুদ্ধ কথা, তার আন্দোলনেও পাপ আছে, এই সমস্ত দুশ্চিন্তা ত্যাগ করে সে যেন ধর্মাচরণে মন দেয়। কমলাকান্তের এই উপদেশ দান সত্যিই হাস্যকর, তাতে বিড়ালের বক্তব্যের সমুচিত উত্তর দানে তার অক্ষমতা তথা সমাজতন্ত্রের যৌক্তিকতাই আমাদের কাছে চিত্তাকর্ষকভাবে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।


যুক্তিধর্মী আলোচনার সকলের-চলা রাজপথের পরিবর্তে বঙ্কিমচন্দ্রের সমাজতন্ত্র সম্পর্কিত আলোচনার মনন কমলাকান্তের আধ-পাগল, জীবন রহস্যের মধ্যে গভীর নিমজ্জিত বিশেষ মনোভঙ্গির তির্যক পথ বেয়ে এসেছে বলেই ‘বিড়ালে'র বক্তব্য আমাদের হৃদয়মনকে এত গভীরভাবে প্রভাবিত করে।