“রচনাগুলির মধ্য দিয়ে কমলাকান্তের একটা উজ্জ্বল ছবি, বর্ণ ও রেখায় মূর্তি পরিগ্রহ করিয়াছে।”—'কমলাকান্তের দপ্তর'-এর পাঠ্য প্রবন্ধাবলি অবলম্বনে কমলাকান্ত চরিত্রের ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দাও।

কমলাকান্তের দপ্তর' প্রথমে ১২৮০-৮২ সালের বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় পঁয়ত্রিশ বৎসর বয়সে তিনি এই দপ্তরগুলি রচনা করতে শুরু করেন। অন্তরের তাগিদেই তিনি এই সময় ‘কমলাকান্তের দপ্তর'-এর মতো রসগর্ভ রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন।


বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কমলাকান্তের দপ্তর'-এর ভাব ও রচনারীতির ওপর কয়েকটি ইংরেজি রচনার প্রভাব বহুল উল্লিখিত। কোনো-কোনো সমালোচক কমলাকান্ত চক্রবর্তীর মধ্যে অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত ইংরেজ রচনাকার এডিসনের গ্রাম্য, ভদ্রলোক রোজার ডি কভর্লি, ‘কমলাকান্তের দপ্তর’-এর গ্রন্থ সম্পাদক ও টীকাকার ভীষ্মদেব খোসনবীশ, স্কটের ‘টেলস অব মাই ল্যাণ্ডলর্ড' উপন্যাসের জেডেডিয়াক্লেইশবোথাম, কমলাকান্তের আফিমের নেশার প্রতিক্রিয়ায় বিচিত্র স্বপ্ন ও কল্পনায় ডি কুইন্সির ‘দি কনফেশন্স অব অ্যান ইংলিশ ওপিয়াম্‌-ইটার' প্রভৃতির ছায়া লক্ষ্য করেছেন। কমলাকান্তের দপ্তরের ‘বিড়াল' শীর্ষক রচনাটির প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে লি হান্টের (Leigh Hunt) 'দি ক্যাট বাই দি ফায়ার'-এর (The Cat By the Fire) সাদৃশ্যেও কোনো কোনো সমালোচনায় উল্লিখিত হয়েছে।


কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্তের দপ্তরে এই সমস্ত রচনার প্রভাব যদি কিছু পড়ে থাকে তবে তা যৎসামান্য, তাকে গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন নেই। এই রচনায় ডি কুইন্সির Confession of an English Opium Eater-এর প্রভাবই সর্বাধিক উল্লিখিত। বঙ্কিমচন্দ্র যদি এই রচনাটির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকেন, তবে তিনি তার আফিমের নেশাঘটিত স্বপ্নকল্পনার বিবরণ থেকে একটা মডেল বা আদর্শ পেয়েছিলেন মাত্র। ডি কুইন্সি নিজে ছিলেন অহিফেনসেবী, সেই অহিফেন-প্রসাদে একের পর এক বিলীয়মান স্বপ্নাভিজ্ঞতাই ছিল তাঁর 'কনফেশান অব অ্যান ইংলিশ ওপিয়াম ইটার’-এর ভিত্তি। এই রচনায় একটির পর একটি আফিমের স্বপ্ন মিলিয়ে যাওয়ার যে আফিমের নেশাপ্রসূত স্নায়বিক-মানসিক ভাব-বর্ণনা পাই, তার মধ্যে লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ছাপ অত্যন্ত স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষ। অন্যদিকে কমলাকান্ত ও তার আফিমের নেশাঘটিত স্বপ্ন-কল্পনা সম্পূর্ণরূপেই বঙ্কিমচন্দ্রের কল্পনার সৃষ্টি, সুতরাং এদিক থেকেও দুটি রচনার মধ্যে তুলনা চলে না। ডি কুইন্সির রচনায় এই সর্বনাশা নেশার জন্য অনুশোচনা, অতৃপ্তি, উৎকণ্ঠা ও আশংকাকে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, এই অংশটি তার উদাহরণ: “I seemed every night to descend into chasms and sunless abysses, depths below depths, from which, it seemed hopeless that I could ever reascend." কমলাকান্তের মানসিকতা, জীবনরসিকতা পরিহাসকৌতুকপ্রিয়তা, স্বাদেশিকতা প্রভৃতি ডি কুইন্সির অহিফেনসেবীর এই মানসিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত। কমলাকান্ত বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনবোধের প্রতিরূপ হয়েও যেভাবে তার ওই সমস্ত ব্যক্তিচরিত্রগত বৈশিষ্ট্যে একটি প্রাণবন্ত চরিত্র হয়ে উঠেছে, তাতে আমরা তাঁর মৌলিক কল্পনা ও সৃষ্টির অবিসংবাদিত প্রমাণই পাই।


ভবঘুরে, আফিমের নেশাখোর কমলাকান্ত চক্রবর্তী কমলাকান্তের দপ্তরে একটি বাস্তব ও জীবন্ত চরিত্ররূপেই উদ্ভাসিত হয়েছে। সে নসীরামবাবুর আশ্রিত, ‘পতঙ্গ’ শীর্ষক রচনার এই অংশে আমরা তার সেই পরিচয় পাই : “বাবুর বৈঠকখানায় সেজ জ্বলিতেছে–পাশে আমি, মোসায়েবি ধরনে বসিয়া আছি। বাবু দলাদলির গল্প করিতেছেন, – আমি আফিম চড়াইয়া ঝিমাইতেছি। দলাদলিতে চটিয়া মাত্রা বেশী করিয়া ফেলিয়াছি।” এই বর্ণনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, কমলাকান্ত প্রতিদিন নসীরামবাবুর বৈঠকখানায় মোসায়েবের মতো উপস্থিত থাকে, কিন্তু সে আত্মসচেতনা সম্পূর্ণরূপে বিসর্জন দিয়ে মনেপ্রাণে বাবুর মোসায়েবে পরিণত হতে পারেনি বলেই বাবুর দলাদলির গল্প উপভোগ করতে এবং তাতে সায় দিতে পারেনি, তাতে চটে গিয়ে আফিমের মাত্রা বেশী করে ফেলেছে। কমলাকান্ত এই সমাজ সংসারে থেকেও তার বন্ধন থেকে মুক্ত, তার শেষ আশ্রয় আফিমের নেশা, সেই সূত্রেই তো এই ভবঘুরে অর্ধোন্মাদ ও নেশাখোর মানুষটি সামাজিক-সাংসারিক জীবনের সমস্ত ক্ষুদ্রতা সংকীর্ণতার গণ্ডি পেরিয়ে মিথ্যাচারের আবরণ ভেদ করে সত্যের জ্যোতির্ময় রূপ দেখতে পেয়েছে। কমলাকান্ত ঔদরিক, সে বিষয়ে এই স্বীকারোক্তিতে সে বিন্দুমাত্র লজ্জিত হয়নি : “মানি, পাকের ঘরে আমার মন পড়িয়া থাকিত। যেখানে পোলাও, কাবাব, কোতার সুগন্ধ, যেখানে ডেকচী-সমরুঢ়া অন্নপূর্ণার মৃদু মৃদু ফুটফুট-বুটবুট-টকবকো ধ্বনি, সেইখানেই আমার মন পড়িয়া থাকিত।”


‘কমলাকান্তের দপ্তর’-এর প্রায় প্রতিটি সংখ্যা বা রচনাই তার কৌতুক পরিহাস নির্ঝরের মতোই স্বতঃস্ফূর্ত ধারায় প্রবাহিত হয়েছে। প্রসন্ন গোয়ালিনীর সঙ্গে তার গব্যরসাত্মক প্রণয়ের এই বিবরণ কৌতুকরসসিক্ত: প্রসন্ন মোটাসোটা, গোলগাল বয়সে চল্লিশের নীচে, দাঁতে মিসি, হাসিভরা মুখ, কপালের একটি ছোটো উকি টিপের মতো দেখাত, সে রসের হাসি পথে ছড়াতে ছড়াতে যেত। প্রসন্নের প্রতি কমলাকান্তের অনুরাগের অনেক কারণ ছিল। প্রথমত, প্রসন্ন তাকে নির্জল দুধ সস্তা দামে দেয়, দ্বিতীয়ত, সে কখনো কখনো ক্ষীর, সর ও ননী তাকে বিনামূল্যে দিয়ে যায়; তৃতীয়ত, কমলাকান্ত তাকে একদিন তাঁর দপ্তরের কয়েকটি প্রবন্ধ পড়ে শুনিয়েছিল, সে বসে শুনেছিল। এত গুণে কোন লেখক ব্যক্তি বশীভূত না হয়ে পারে। তাছাড়া, আর একটি গুণের কথাও ‘আমার মন' প্রবন্ধে কমলাকান্ত উল্লেখ করেছে: ‘প্রসন্নের গুণের কথা আর অধিক কি বলিব— সে আমার কথায় আফিম ধরিয়াছিল।” কমলাকান্তের ব্যক্তিত্ব এই জীবনরসরসিকতায় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে, তার ব্যক্তিসত্তার বৈশিষ্ট্যের পরিচয় আমাদের গভীরভাবে আকর্ষণ করে।


কমলাকান্ত নিজেকে নিয়েও পরিহাস-কৌতুক করেছে। সে নসীরাম বাবুর গৃহে আশ্রয় লাভের পর থেকে প্রসন্নের কাছ থেকে ক্ষীর, সর, দই, দুধ ও ননী খেয়ে আসছে। আহারকালে সে মনে করত, প্রসন্ন শুধু পরলোকে সদ্‌গতির কামনায় অনন্ত পুণ্য সঞ্চয় করেছে, সে অত্যন্ত সুচতুরা; সে ভোজনের পর প্রতিদিন প্রসন্নর পরকালে অক্ষয় স্বর্গ এবং ইহকালে মৌতাত বৃদ্ধির জন্য দেবতার কাছে বর প্রার্থনা করত। কমলাকান্তের এই আত্মপ্রসঙ্গ অত্যন্ত কৌতুকাবহ। “কিন্তু এক্ষণে হায়! মানব-চরিত্র কি ভীষণ স্বার্থপরতায় কলঙ্কিত! এক্ষণে সে মূল্য চাহিতেছে।"—তার এই ক্ষোভের প্রকাশও কম কৌতুককর নয়। অতঃপর কমলাকান্ত বলেছে, প্রথম দিন প্রসন্ন যখন মূল্য চাইল তখন সে রসিকতা করে উড়িয়ে দিল, দ্বিতীয় দিন বিস্মিত হল, তৃতীয় দিন গালি দিল। প্রসন্ন দুধ দই বন্ধ করে দিতে কমলাকান্ত বলে, সে এতদিনে বুঝতে পারল, মানবজাতি অত্যন্ত স্বার্থপর, ভক্তি প্রীতি স্নেহ প্রেম ইত্যাদি সমস্ত আকাশ কুসুম “হায়! মনুষ্যজাতির কি হইবে! হায়, অর্থলুব্ধ গোয়ালা জাতিকে কে নিস্তার করিবে! হায়! প্রসন্ন নামে গোয়ালার করে গোরু চুরি যাবে।” কমলাকান্ত সমাজ সংসারে নির্লিপ্ত, সর্ববন্ধনমুক্ত বলেই নিজেকে নিয়ে এভাবে পরিহাস করতে এবং সেই পরিহাসের মধ্যে দিয়ে মানুষের সুবিধাবাদী মনোভাব ও স্বার্থপরতাকে ব্যঙ্গ করতে পেরেছে।


জীবনরসরসিকতায়, কৌতুক পরিহাসে, কল্পনায়, মননশক্তিতে, মানবিকতায় ও স্বদেশপ্রেম কমলাকান্তের ব্যক্তিত্ব একটি সজীব ও হৃদয়গ্রাহী মূর্তি পরিগ্রহ করে বলেই তার সমস্ত উক্তি, চিন্তা-বিশ্লেষণ, স্বপ্নকল্পনা আমাদের হৃদয়-মনকে গভীরভাবে আলোড়িত করে। ‘আমার মন' প্রবন্ধে কমলাকান্ত যখন বলে—“আমি মরিয়া ছাই হইব, আমার নাম পর্যন্ত লুপ্ত হইবে, কিন্তু আমি মুক্তকণ্ঠে বলিতেছি, একদিন মনুষ্য মাত্রে আমার এই কথা বুঝিবে যে মনুষ্যের স্থায়ী সুখের অন্য মূল নাই। এখন যেমন লোকে উন্মত্ত হইয়া ধনমান ভোগাদির প্রতি ধাবিত হয়, একদিন মনুষ্যজাতি সেইরূপ উন্মত্ত হইয়া পরের সুখের প্রতি ধাবমান হইবে। আমি মরিয়া ছাই হইব, কিন্তু আমার এ আশা একদিন ফলিবে। ফলিবে, কিন্তু কতদিনে! হায়, কে বলিবে কতদিনে!” কমলাকান্তের মানব প্রীতির আবেগ উক্তিটির শেষ অংশে বেদনার হাহাকারে ধ্বনিত হয়ে আমাদের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করে। ‘পতঙ্গে’ নসীরাম বাবুর বৈঠকখানায় সেজের আলোর চারপাশে একটি পতঙ্গকে চো বো শব্দে ঘুরতে দেখে কমলাকান্তের কল্পনাশক্তি উদ্দীপিত হয়েছে, সে প্রতিটি মানুষকে পতঙ্গ বলে অনুভব করেছে : “এখন হইতে আমার বোধ হইতে লাগিল যে মনুষ্য মাত্রেই পতঙ্গ। সকলেরই একটি বহ্নি আছে— সকলেই সেই বহ্নিতে পুড়িয়া মরিতে চাহে, সকলেই মনে করে, সেই বহ্নিতে পুড়িয়া মরিতে তাহার অধিকার আছে—কেহ মরে, কেহ কাচে বাধিয়া ফিরিয়া আসে। জ্ঞান-বহ্নি, ধন-বহ্নি, মান-বহ্নি, রূপ-বহ্নি, ধৰ্ম্ম-বহ্নি, ইন্দ্রিয়-বহ্নি, সংসার বহ্নিময়।" কমলাকান্ত অসাধারণ চরিত্র ও জীবনের পরিবেশের বাস্তবতার জন্যই এই কল্পনা এত মনোজ্ঞ ও মানব জীবনের গভীর ভাষ্য বলে মনে হয়।


কমলাকান্তের ব্যক্তিত্ব বা চরিত্রের আর একটি বৈশিষ্ট্য স্বাদেশিকতা ও স্বদেশের জন্য গভীর বেদনাবোধ। আফিমের নেশার প্রসাদে কমলাকান্ত দেখতে পেয়েছে, দিগন্ত ব্যপ্ত করে প্রবহমান কালস্রোতে সে ভেলায় ভেসে যাচ্ছে, “অনন্ত, অকুল, অন্ধকারে, বাত্যাবিক্ষুব্ধ তরঙ্গসঙ্কুল সেই স্রোত মধ্যে মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রগণ উদয় হইতেছে, নিবিতেছে, আবার উঠিতেছে। আমি নিতান্ত একা একা বলিয়া ভয় করিতে লাগিল নিতান্ত একা—মাতৃহীন-মা! মা! করিয়া ডাকিতেছি—আমি এই কাল সমুদ্রে মাতৃসন্ধানে আসিয়াছি। কোথা মা! কই আমার মা? কোথায় কমলাকান্ত প্রসুতি বঙ্গভূমি। এ ঘোর কাল সমুদ্রে কোথায় তুমি?" পরাধীনতার অন্ধকারের মাঝখানে কমলাকান্তের এই দেশজননীর মূর্তি সন্ধানের গভীর বেদনাময় আবেগ তার সত্তার মর্মমূল থেকে উৎসারিত হয়েছে বলেই আমরা অনুভব করি, সেইজন্যই দেশজননীর এই ঐশ্বর্যময় মূর্তির ধ্যান আমাদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব বিস্তার করে :... “সেই তরঙ্গসঙ্কুল জলরাশির উপরে দুরপ্রান্তে দেখিলাম—সুবর্ণমণ্ডিতা, এই সপ্তমীর শারদীয়া প্রতীমা। জলে হাসিতেছে, ভাসিতেছে, আলোক বিকীর্ণ করিতেছে। এই কি মা? হাঁ, এই মা। চিনিলাম, এই আমার জননী জন্মভূমি—এই মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিণী অনন্তরত্নভূষিতা......।”


ড: শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কমলাকাত্তের চরিত্র সৃষ্টি সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন : “রচনাগুলির মধ্যে দিয়া কমলাকান্তের একটা অতি উজ্জ্বল ছবি বর্ণ ও রেখায় মূর্তি পরিগ্রহ করিয়াছে—কমলাকান্ত Dickens-এর Pickwick-এর ন্যায় আমাদের হৃদয়ে চিরপরিচিত, প্রিয়বন্ধুর আসন অধিকার করিয়াছে।...প্রবন্ধগুলির মধ্যে ইতস্ততঃ-বিক্ষিপ্ত আত্মপরিচয়ের ইংগিতগুলি লেখকের কলাকৌশলে যথাযথ বিন্যস্ত হইয়া একটা পূর্ণাঙ্গ, জীবন্ত সৃষ্টির রূপ ধরিয়াছে। অহিফেনাসক্তি ও ঔদরিকতা, সাংসারিক নির্লিপ্ততা, নসীরামবাবুর পরিবারে প্রতিপাল্যের ন্যায় আশ্রয় গ্রহণ, তাহার কল্পনা প্রবণতা, তাহার লৌকিক ব্যবহারে ও বৈষয়িক চিন্তাধারায় অসংগতি, প্রসন্ন গোয়ালিনীর প্রতি তাহার গব্যরস ও কাব্যরসে মিশ্রিত অর্ধ-প্রণয়ীর সরস মনোভাব, তাহার গ্রাম্যজীবনের পরিবেশ হইতে দার্শনিক চিন্তার খোরাক সংগ্রহ.....–এই সমস্তই কমলাকান্তকে জীবনের বৈদ্যুতিক শক্তিতে পূর্ণ রক্ত-মাংসের মানুষরূপে আমাদের সম্মুখে দাঁড় করাইয়াছে।"