মুসলিম যুগে শিক্ষার অসুবিধাগুলি কী কী ছিল?

মুসলিম যুগে শিক্ষার অসুবিধা

অন্যান্য শিক্ষাব্যবস্থার মতাে ইসলামীয় শিক্ষার ক্ষেত্রেও সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও ছিল। সেগুলি হল一

(১) সর্বজনীনতার অভাব: এই শিক্ষা প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন ছিল না।


(২) হিন্দুদের অবহেলা: হিন্দুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শিক্ষায় অবহেলিত হত।


(৩) মাতৃভাষার অবহেলা: ইসলামীয় শিক্ষায় মাতৃভাষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হত না।


(৪) নারীশিক্ষার অবহেলা: নারীশিক্ষাও এই শিক্ষাব্যবস্থায় অনেকাংশে অবহেলিত ছিল।


(৫) অনুপযুক্ত পাঠক্রম: ইসলামীয় পাঠক্রম যুগােপযােগী ছিল না।


(৬) শিক্ষকের তদারকির অভাব: এ যুগে শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা নজর দিতেন না।


(৭) মনােবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব: মুসলিম শিক্ষায় মনােবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ছিল।


(৮) দৈহিক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা: এই শিক্ষায় দৈহিক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা ছিল, যা কাম্য নয়।


(৯) লেখাপড়ায় সমন্বয়ের অভাব: লেখার সঙ্গে পড়ার সঠিক সমন্বয়সাধনের ব্যবস্থা ইসলামীয় শিক্ষায় ছিল না।


(১০) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভাব: এ যুগে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব ছিল।


(১১) সর্বাঙ্গীণ বিকাশে অবহেলী: ইসলামীয় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের প্রতি ঠিকমতাে নজর দেওয়া হত না।


(১২) মৌখিক পদ্ধতির উপযোগিতার অভাব: ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞানবিকাশের ক্ষেত্রে মৌখিক পদ্ধতি সবক্ষেত্রে উপযােগী হত না।


বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

অথবা, প্রাচীন ভারতের যে-কোনাে একটি শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষাব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

অথবা, বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার যে-কোনাে একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলােচনা করাে।


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।


বৈদিক-ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ শিক্ষার বৈসাদৃশ্যগুলি লেখাে।


ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।

অথবা, ভারতে মধ্যযুগীয় শিক্ষার পাঁচটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলােচনা করাে।


মুসলিম যুগে শিক্ষার সুবিধাগুলি কী কী ছিল?