বৈদিক-ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ শিক্ষার বৈসাদৃশ্যগুলি লেখাে।

বৈদিক ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ শিক্ষার বৈসাদৃশ্য


বৈদিক-ব্রাহ্মণ্য

  1. এই শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা ছিল গুরুকুলকেন্দ্রিক।

  2. এই শিক্ষায় চতুরাষ্রম ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়।

  3. এই শিক্ষা ছিল বেদাশ্রয়ী ও বর্গাশ্রমভিত্তিক। ব্রাহ্মপ্য শিক্ষায় বেদকে অন্ত্রান্ত বলে মনে করা হত।

  4. এই শিক্ষা সর্বজনীন ছিল না। বিশেষত, শূদ্রদের জন্য শিক্ষার দ্বার বন্ধ থাকত।

  5. বৈদিক ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুকুল ছিল গুরুর সম্পত্তি।

  6. এই শিক্ষা ছিল গুরুকেন্দ্রিক, গুরুর কথাই ছিল শেষ কথা।

  7. সংস্কৃত ভাষা ছিল এই শিক্ষার মাধ্যম।

  8. বৈদিক ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় সমাপ্তি অনুষ্ঠান সমাবর্তন ছিল শিক্ষা শেষে ঘরে ফেরার অনুষ্ঠান।

  9. বৈদিকব্রাহ্মণ্য শিক্ষায় বেদ, বেদাঙ্গ, গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হত।

  10. এই শিক্ষা বেশ জটিল প্রকৃতির ছিল।

  11. এই শিক্ষা ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

  12. এই শিক্ষাব্যবস্থায় নারীশিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হত।


বৌদ্ধ শিক্ষা

  1. এই শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা ছিল সংঘভিত্তিক বা বিহারকেন্দ্রিক।

  2. এই শিক্ষার ক্ষেত্রে চতুরাশ্রম ব্যবস্থার প্রচলন ছিল না।

  3. এই শিক্ষায় এগুলি লক্ষ করা যায় না।

  4. এই শিক্ষা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই উন্মুক্ত ছিল।

  5. বৌদ্ধ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ছিল বিহার| এই বিহার ছিল সংঘের কর্তৃত্বাধীন।

  6. এই শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুর পাশাপাশি শিষ্যদের কথাও শােনা হত। এই শিক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক।

  7. এই শিক্ষার মাধ্যম ছিল প্রাকৃত।

  8. বৌদ্ধ শিক্ষার শেষে অনুষ্ঠিত উপসম্পদা ছিল চিরকালীন গৃহত্যাগের অনুষ্ঠান।

  9. বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থায় সেবাধর্ম, লােকশিক্ষা ও চিকিৎসাশাস্ত্রের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হত।

  10. এই শিক্ষা ছিল তুলনামূলক ভাবে সহজসরল।

  11. ভারতের বাইরেও নানা দেশে বৌদ্ধ শিক্ষার প্রসার ঘটেছিল।

  12. এই শিক্ষাব্যবস্থায় নারীশিক্ষার বিষয়টি ছিল অবহেলিত।


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যে বৈশিষ্ট্যগুলি আধুনিক শিক্ষায় গ্রহণযােগ্য সেগুলি আলােচনা করাে।


মহাকাব্যের যুগের শিক্ষার বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে। ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার যে-কোনাে দুটি অনুষ্ঠান ও তার গুরুত্ব উল্লেখ করাে।


বৈদিক যুগের শিক্ষাদান পদ্ধতির সঙ্গে তােমার পরিচিতি দাও। বৈদিক-ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ শিক্ষার সাদৃশ্যগুলি উল্লেখ করাে।


বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

অথবা, প্রাচীন ভারতের যে-কোনাে একটি শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষাব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

অথবা, বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থার যে-কোনাে একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলােচনা করাে।


প্রাচীন ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।