মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছােটোগল্প অবলম্বন করে বড়ােপিসিমার চরিত্র আলােচনা করাে।

বড়ােপিসিমার চরিত্র: মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল বড়ােপিসিমা। তাঁর প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্যগুলি হল -


ঈম্বরভক্তি : বড়ােপিসিমা হলেন এ গল্পে উল্লিখিত বড়াে বাড়ির অবিবাহিতা, প্রৌঢ়া কন্যা। প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বুড়ােকর্তার যখন স্ত্রীবিয়ােগ ঘটে, তখন তিনি সংসার সামলানাের কারণেই তার এই বিবাহযােগ্য কন্যার বিয়ে দেননি। বড়ােপিসিমা পিতার এই সিদ্ধান্তে অবশ্য অখুশি ছিলেন না। তিনি শিবকেই পতি হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন।


সংসার-আসক্তি ও কর্তৃত্বপরায়ণতা : পিতৃবিয়ােগের আগে পর্যন্ত বড়ােপিসিমা সংসারের হেঁশেল দেখেছেন, ভাড়াটে বাড়িতে মিস্তিরি লাগিয়েছেন এবং তার বাবার সেবা করেছেন। পিতার মৃত্যুর পর বিবাহিত দাদা সংসারের কর্তা হলেও সে-অভ্যাস তার পালটায়নি। এই আধিপত্য থেকেই বাড়ির বউদের তিনি অনায়াসে তাচ্ছিল্য করেন। বড়ােবাড়ির এই অনূঢ়া প্রৌঢ়াকে আমরা লুকিয়ে বাদার চাল বিক্রি করে দিতেও দেখি। সামান্য ক্ষোভ থাকলেও এই বৃদ্ধবয়সেও তিনি তার পৈতৃক বাড়ির সব কিছুর দেখভাল করতেন অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে। দাদার শেষযাত্রাকে সুসম্পন্ন করার জন্য সবদিকেই তার সজাগ দৃষ্টি ছিল।


সংস্কারাচ্ছন্ন : সংস্কারাচ্ছন্ন এই প্রৌঢ়া তান্ত্রিকের হােমযজ্ঞ করাকে অনুচিত মনে করেননি। যজ্ঞ সত্ত্বেও বুড়ােকর্তা মারা গেলে তাকে বিষােদ্গার করতে দেখা যায় তান্ত্রিক এবং বাড়ির ছােটোবউয়ের বাবার ওপর। কারণ তিনিই এই তান্ত্রিককে নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া, এ গল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছবকে তিনিই বাড়িতে কাজে লাগিয়েছেন। সুতরাং, বড়পিসিমা এ গল্পের একটি উল্লেখযােগ্য এবং সক্রিয় চরিত্র।

মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে উচ্ছবের গ্রামের মানুষদের পরিচয় দাও। 


মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে ভাত-এর প্রসঙ্গ কীভাবে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে, তা আলােচনা করাে। 


মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছছাটোগল্পের বড়াে বাড়ির বড়াে পিসিমাকে আমরা কীভাবে কর্তৃত্ব করতে দেখি? 


মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছােটোগল্পে উচ্ছবের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে। 


ভাত ছােটোগল্পটির বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় লেখাে। 


মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ভাত গল্পটির নামকরণের সার্থকতা আলােচনা করাে। 


দাঁতগুলাে বের করে সে কামটের মতােই হিংস্র ভঙ্গি করে।- কে, কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করাে। 


মহাশ্বেতা দেবীর ভাত রচনাটি ছােটোগল্প হিসেবে কতখানি সার্থক, তা আলােচনা করাে। 


বাসিনী এনেছে। বাদায় থাকে অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি।- বাসিনী কে? ও কাকে এনেছে? তার ভাতের আহিংকে এতখানি কেন? 


আবার জমে গেল।—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আড্ডা কীভাবে আবার জমে গেল তা লেখাে। 


সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার।- বাজারটি কোথায় অবস্থিত ছিল? এই বাজারটির বর্ণনা দাও। 


ভারতবর্ষ গল্প অবলম্বনে বাজারের চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের আড্ডার পরিচয় দাও।