মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছােটোগল্পে উচ্ছবের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।
দুর্ভাগ্যপীড়িত: মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছােটোগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র উৎসব নাইয়া নিম্নবর্গীয় সমাজব্যবস্থার একজন প্রতিনিধি। ভাগ্যের ফেরে মাতলার বন্যায় বউ-ছেলেমেয়েকে হারায় সে। ভেসে যায় তার মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ উৎসবের জীবন থেকে সব কিছু কেড়ে নিলেও কেড়ে নিতে পারেনি তার আদিম প্রবৃত্তিকে, যে প্রবৃত্তির নাম খিদে। তাই প্রিয়জন হারানাের শােক কাটিয়ে ওঠার আগেই তার মধ্যে জেগে ওঠে ভাতের জন্য হাহাকার।
মমতা ও ভালােবাসাপ্রিয় : হাভাতে উৎসবের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আগে পর্যন্ত তার মধ্যেও কোমলতার স্পর্শ ছিল। তাই সতীশ মিস্তিরির তিন ধানে মড়ক লাগলে ধানের প্রতি পরম মমতায় কেঁদে ভাসায় এই গরিব ভাগচাষি। ভেসে যাওয়া ঘরের চালের নীচ থেকে পরিচিত স্বর শােনার আশায় নাওয়াখাওয়া ভুলে বসে থাকে উৎসব। অসম্ভব জেনেও পাগলের মতাে বলতে থাকে, "রাকাড় অ চল্লুনীর মা!"
মানবিকতা : পরম আকাঙ্ক্ষিত ভাতের স্পর্শে 'প্রেত' উচ্ছবের ভিতর থেকে জেগে ওঠে 'মানুষ' উৎসব। তাই বড়াে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ডেকচির ভাত খেতে খেতে সে মনে মনে সেই ভাত তুলে দেয় বউ-ছেলেমেয়ের মুখে... "চনুনী রে! তুইও খা, চন্নুনীর মা খাও, ছােটো খাকা খা, আমার মধ্যে বসে তােরাও খা!"
সর্বহারা বঞ্চিত : আসলে উৎসবের মতাে বঞ্চিত, প্রান্তিক মানুষদের সমাজজীবনে ব্যক্তিনামেরও কোনাে মূল্য নেই। তাই আমরা দেখি তার নিরুৎসব জীবনে সে আর উৎসব থাকেনি, তার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্ছব নাইয়া।
ভাত ছােটোগল্পটির বিষয়বস্তু নিজের ভাষায় লেখাে।
মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ভাত গল্পটির নামকরণের সার্থকতা আলােচনা করাে।
মহাশ্বেতা দেবীর ভাত রচনাটি ছােটোগল্প হিসেবে কতখানি সার্থক, তা আলােচনা করাে।
আবার জমে গেল।—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আড্ডা কীভাবে আবার জমে গেল তা লেখাে।
সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার।- বাজারটি কোথায় অবস্থিত ছিল? এই বাজারটির বর্ণনা দাও।
ভারতবর্ষ গল্প অবলম্বনে বাজারের চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের আড্ডার পরিচয় দাও।
ভারতবর্ষ ছােটোগল্পটিতে অকাল-দুর্যোগ সম্বন্ধে যে আলােচনা করা হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে।
সেই সময় এল এক বুড়ি।—লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।
তােরা মর, তােদর শতগুষ্টি মরুক।- কে মন্তব্যটি করেছে? মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলােচনা করাে।