অব-উপনিবেশীকরণ (Short-Q&A)

অব-উপনিবেশীকরণ


উপনিবেশ কাকে বলে?

যখন কোনাে শক্তিশালী রাষ্ট্র তার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির জোরে এক বা একাধিক দুর্বল রাষ্ট্রের ওপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তখন দুর্বল রাষ্ট্রটিকে শক্তিশালী রাষ্ট্রটির উপনিবেশ (Colony) বলা হয়। একটি উপনিবেশের উদাহরণ হল, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে প্রায় ২০০ বছর ব্যাপী ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতবর্ষ।


অব-উপনিবেশীকরণ কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে এশিয়া, আফ্রিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের উপনিবেশগুলিতে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন জোরদার হয় এবং এর ফলে উপনিবেশগুলি একে একে স্বাধীনতা লাভ করতে শুরু করে। এই ঘটনা বি- উপনিবেশায়ন বা অব-উপনিবেশীকরণ নামে পরিচিত।


কে 'অব-উপনিবেশীকরণ' (Decolonisation) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন?

জার্মান বিশেষজ্ঞ মরিৎস জুলিয়াস বন ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম Decolonisation বা অব-উপনিবেশীকরণ' শব্দটি ব্যবহার করেন।


তৃতীয় বিশ্ব বলতে কী বােঝায়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলিকে তৃতীয় বিশ্ব বা তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলা হয়।


তৃতীয় বিশ্বের দুটি দেশের উদাহরণ দাও।

তৃতীয় বিশ্বের দুটি দেশের উদাহরণ হল ভারত ও আলজেরিয়া।


অব-উপনিবেশীকরণের দুটি রাজনৈতিক তাৎপর্য উল্লেখ করাে।

অব-উপনিবেশীকরণের দুটি রাজনৈতিক তাৎপর্য হল—[i] অব-উপনিবেশীকরণের মাধ্যমে বহু উপনিবেশ স্বাধীনতা লাভ করে তৃতীয় বিশ্বের উত্থান ঘটায়। [ii] অব- উপনিবেশীকরণের ফলে সাম্রাজ্যবাদের অগ্রগতি অনেকটাই মন্থর হয়ে পড়ে।


অব-উপনিবেশীকরণের দুটি অর্থনৈতিক তাৎপর্য উল্লেখ করাে।

অব-উপনিবেশীকরণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তাৎপর্য হল—[i] ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্রগুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই দুর্বল ছিল। [ii] ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করলেও পূর্বতন বহু উপনিবেশ আবার নয়া উপনিবেশবাদের শিকার হয়।


অতীত স্মরণ (Short-Q&A)

উনবিংশ ও বিংশ শতকে উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের প্রসার (Short-Q&A)

ঔপনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি: নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য (Short-Q&A)

সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া (Short-Q&A)

ঔপনিবেশিক ভারতের শাসন (Short-Q&A)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং উপনিবেশসমূহ (Short-Q&A)

ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ (Short-Q&A)


নয়া উপনিবেশবাদ কী?

ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত হওয়ার পরেও এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দুর্বল রাষ্ট্র নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রভৃতি প্রয়ােজনে ইউরােপ বা অন্যান্য স্থানের বৃহৎ শক্তিগুলির ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হয়। সুযােগ বুঝে বৃহৎ শক্তিগুলি সদ্য-স্বাধীন এসব দেশে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দান করে সেখানে নিজেদের আধিপত্য বৃদ্ধি করে। এই ঘটনা 'নয়া উপনিবেশবাদ' নামে পরিচিত।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কয়েকটি আঞ্চলিক সহযােগিতা সংস্থার নাম লেখাে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী কয়েকটি আঞ্চলিক সহযােগিতা সংস্থা হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত আসিয়ান (ASEAN = Association of South East Asian Nations), দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে নিয়ে গঠিত সার্ক (SAARC বা South Asian Association for Regional Cooperation), আরব দুনিয়ার বিভিন্ন দেশকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত আরব লিগ (Arab League) প্রভৃতি।


অব-উপনিবেশীকরণের দুটি সামাজিক তাৎপর্য উল্লেখ করাে।

অব-উপনিবেশীকরণের দুটি সামাজিক তাৎপর্য হল—[i] অব-উপনিবেশীকরণের ফলে জাতিবৈরিতা ও বর্ণবৈষম্যবাদের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। [ii] ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত দেশগুলির শাসনক্ষমতা একশ্রেণির শিক্ষিত ও ধনী এলিট গােষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়।


উপনিবেশ-বিরােধী মুক্তি আন্দোলনের দুটি কারণ উল্লেখ করাে।

উপনিবেশ-বিরােধী মুক্তি আন্দোলনের দুটি প্রধান কারণ ছিল—[i] ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির তীব্র শশাষণের ফলে উপনিবেশগুলির দারিদ্র তীব্রতর হয়। [ii] উপনিবেশগুলি পশ্চিম সংস্কৃতির বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবি করে।


উপনিবেশবাদের অবসানের দুটি কারণ লেখাে।

উপনিবেশবাদের অবসানের দুটি প্রধান কারণ ছিল- [i] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ায় তারা আর উপনিবেশগুলি ধরে রাখতে পারছিল না। [ii] উপনিবেশগুলিকে স্বাধীনতা প্রদানের উদ্দেশ্যে আমেরিকা ও রাশিয়া চাপ দিচ্ছিল।


ব্রিটেনের বিভিন্ন উপনিবেশগুলির নাম লেখাে।

পশ্চিমি শক্তিগুলির মধ্যে ব্রিটেনের সর্ববৃহৎ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ছিল। ভারত, বার্মা, সিংহল, মালয়, হংকং, পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, সাইপ্রাস, ফকল্যান্ডস, জিব্রাল্টার, ট্রান্স-জর্ডন, প্যালেস্টাইন প্রভৃতি দেশে এবং আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে ব্রিটেনের উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল।


ফ্রান্সের বিভিন্ন উপনিবেশগুলির নাম লেখাে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের অধিকারী ছিল ফ্রান্স। আফ্রিকার বিভিন্ন রাজ্য, ইন্দোচিন, পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি দ্বীপ, সিরিয়া প্রভৃতি দেশে ফ্রান্সের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।


অব-উপনিবেশীকরণের দুটি প্রভাব উল্লেখ করাে।

অব-উপনিবেশীকরণের উল্লেখযােগ্য দুটি প্রভাব হল—[i] অব-উপনিবেশীকরণের ফলে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক সংকট, গােষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রভৃতি তীব্র আকার ধারণ করে। [ii] ইউরােপের ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের উপনিবেশগুলি ত্যাগ করলে আমেরিকা ও রাশিয়া সদ্য-স্বাধীন দেশগুলিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে।


অব-উপনিবেশীকরণের পরবর্তী কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংকটের নাম লেখাে।

অব-উপনিবেশীকরণের পরবর্তী কয়েকটি উল্লেখযােগ্য আন্তর্জাতিক সংকট হল কোরিয়ার যুদ্ধ (১৯৫০-৫৩ খ্রি.), ভিয়েতনামের যুদ্ধ (১৯৫৬-১৯৭৫ খ্রি.), ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (১৯৬৫, ১৯৭১ খ্রি.), ভারত-চিন যুদ্ধ (১৯৬২ খ্রি.), আরব-ইজরায়েল ধারাবাহিক সংঘর্ষ, ইরাক-ইরান যুদ্ধ (১৯৮০-১৯৮৮ খ্রি.) প্রভৃতি।


দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম কী?

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম নেলসন ম্যান্ডেলা।


প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ দেশ হিসেবে কোন্ দেশ স্বাধীনতা লাভ করে?

গােল্ড কোস্ট বা ঘানা প্রথম কৃয়াঙ্গ দেশ হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে।


ঔপনিবেশিক আলজেরিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ফরাসিদের বসবাস সম্পর্কে কী জান?

ঔপনিবেশিক আলজেরিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ফরাসি বাসিন্দাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ লক্ষ। আলজেরিয়ার ধনী ও প্রভুত্বকারী এই শ্বেতাঙ্গরা সেখানকার ১/৩ অংশ কৃষিজমির মালিক ছিল। তারা আলজেরিয়ার ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকে সমর্থন করে।


আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রভাগে কোন্ জঙ্গি জাতীয়তাবাদী দলটি ছিল এবং এর প্রধান নেতা কে ছিলেন?

আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল 'ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট' (FLN) নামে একটি জঙ্গি জাতীয়তাবাদী দল। এই দলের প্রধান নেতা ছিলেন বেন বেল্লা।


আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?

আলজেরিয়া ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।


বেন বেল্লা কে ছিলেন?

স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন আহম্মদ বেন বেল্লা।


আলজেরিয়া দখলকারী মার্শাল বুগাে কোন্ দেশের সেনাপতি ছিলেন?

আলজেরিয়া দখলকারী মার্শাল বুগাে ফরাসি সেনাপতি ছিলেন।


ফরাসি অভিযানের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার প্রতিরােধ বাহিনীর দুজন নেতার নাম লেখাে।

ফরাসি অভিযানের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার প্রতিরােধ বাহিনীর দুজন নেতা ছিলেন আহমেদ বেন বেল্লা এবং আল-কাদির।


মাকটার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?

মাকটার যুদ্ধ ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে আলজেরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আব্দ্ আল-কাদির-এর বাহিনী ও ফরাসি বাহিনীর মধ্যে হয়েছিল।


সিক্কাক-এর যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল এবং এই যুদ্ধে কে পরাজিত হয়?

সিক্কাক-এর যুদ্ধ ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে আলজেরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আব্দ আল-কাদির-এর বাহিনী ও ফরাসি বাহিনীর মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধে আল-কাদিরের বাহিনী পরাজিত হয়।


আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামী দুটি বিপ্লবী সংগঠনের নাম লেখাে।

আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামী দুটি বিপ্লবী সংগঠন ছিল ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট এবং আলজেরিয়ান ন্যাশনাল মুভমেন্ট।


কোন দেশে কাদের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ বা FLN প্রতিষ্ঠিত হয়?

আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ বা FLN প্রতিষ্ঠিত হয়।


কবে, কোন্ চুক্তির দ্বারা আলজেরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে?

১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে (১৮ মার্চ) ইভিয়ান চুক্তির দ্বারা আলজেরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।


কোন্ দেশের বিপ্লবীরা 'ত্রিপােলি কর্মসূচি ঘােষণা করেছিল?

আলজেরিয়ার বিপ্লবীরা 'ত্রিপােলি কর্মসূচি' ঘােষণা করেছিল।


আলজেরিয়া কাদের উপনিবেশ ছিল?

আলজেরিয়া ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল।


[Book Download - ক্লিক করুন]


ইন্দোনেশিয়া কবে স্বাধীনতা লাভ করে?

১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে।


কোন্ কোন্ দ্বীপ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া গড়ে উঠেছে?

জাভা, সুমাত্রা, বাের্নিও-সহ অসংখ্য ছােটো ছােটো দ্বীপ নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ইন্দোনেশিয়া বা পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ গড়ে উঠেছে।


ইন্দোনেশিয়া কাদের উপনিবেশ ছিল এবং তাদের কাছ থেকে জাপান কবে ইন্দোনেশিয়া দখল করে নেয়?

ইন্দোনেশিয়া হল্যান্ডের উপনিবেশ ছিল। জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে হল্যান্ডের কাছ থেকে ইন্দোনেশিয়া দখল করে নেয়।


হারমান উইলেম ডিন্ডেলস কে ছিলেন ?

হারমান উইলেম ডিন্ডেলস ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ডাচ গভর্নর জেনারেল।


ইন্দোনেশিয়ায় জাপানের দুটি পদক্ষেপ উল্লেখ করাে।

হল্যান্ডের কাছ থেকে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ইন্দোনেশিয়া দখল করে জাপান- [i] ইন্দোনেশিয়ার রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়। [ii] ইন্দোনেশিয়ায় ডাচ ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।


ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সংগঠনের নাম লেখাে।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ছিল বুদি উতামা, সারেকাত ইসলাম, কমিউনিস্ট দল প্রভৃতি।


স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ইন্দোনেশিয়ার কোন্ অঞ্চলে প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই সরকারের দায়িত্বে কারা ছিলেন?

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও জাভায় প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. সুকর্ণ এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হাত্তা।


ড. সুকর্ণ কে ছিলেন?

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদীর নেতা তথা স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. সুকর্ণ।


স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সুতান জাহরির।


আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার বিকাশ ও জাতির সংগঠনের ধারাকে ক-টি পর্যায়ে ভাগ করা যায় ও কী কী?

আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার বিকাশ ও জাতির সংগঠনের ধারাকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়, যথা—[i] প্রথম পর্যায় (১৯০০-১৯৪৫ খ্রি.), [ii] দ্বিতীয় পর্যায় (১৯৪৫-১৯৫০ খ্রি.) ও [iii] তৃতীয় পর্যায় (১৯৫০ খ্রি. থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত)।


ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দুইটি সমস্যার নাম কী কী?

ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দুটি সমস্যা ছিল—উদ্বাস্তু সমস্যা ও ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন সমস্যা।


পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের শােষণের দুটি উদাহরণ দাও।

পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের শােষণের দুটি উদাহরণ হল—[i] পাক সরকার পূর্ব পাকিস্তানে শিল্পায়ন না ঘটিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে পিছিয়ে রাখার চক্রান্ত করে। [ii] পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা দেশের জাতীয় স্তরে উচ্চপদ লাভে বঞ্চিত হয়।


পাকিস্তানি শাসনকালে পূর্ববঙ্গের কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।

পাকিস্তানি শাসনকালে পূর্ববঙ্গের উল্লেখযােগ্য কয়েকজন নেতা ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন, মহম্মদ আলি বগুড়া, হােসেন শহীদ সুরাবদি, শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।


২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি স্মরণীয় কেন?

বাংলা ভাষা রক্ষার দাবিতে পূর্ববঙ্গে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত আন্দোলন হয়। এই আন্দোলনে পাক পুলিশের গুলিতে মহম্মদ সালাউদ্দিন, আব্দুল জব্বার, আবুল বরকত ও রফিকুদ্দিন আহমেদ নিহত হন।


লাহোর প্রস্তাব কি?

আলিগড় আন্দোলনের নেতা স্যার সৈয়দ আহমদ খান ভারতে দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা ছড়িয়ে দিয়ে বলেন—হিন্দু ও মুসলিম দুটি পৃথক জাতি, যাদের একত্রে সহাবস্থান সম্ভব নয়। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগ লাহাের অধিবেশনে মুসলিমদের জন্য পৃথক পাকিস্তানের দাবি জানায়, যা লাহাের প্রস্তাব নামে পরিচিত।


আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কী?

পাক সরকার ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জন নেতার বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে। এই মামলায় অভিযােগ করা হয় যে, ভারতের সঙ্গে মিলে এই অভিযুক্ত নেতারা আগরতলায় পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত।


পাকিস্তান পিপলস পার্টি কে গঠন করেন?

জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তান পিপলস পার্টি গঠন করেন।


পূর্ব পাকিস্তানে কারা রাজাকার নামে পরিচিত ছিল?

পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে পূর্ববঙ্গে আল-বদর, আল-সামস প্রভৃতি মৌলবাদী সংগঠন-সহ বেশ কিছু মানুষ স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরােধিতা করে পশ্চিম পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরােধী এবং পশ্চিম পাকিস্তানপন্থী এইসব মানুষ রাজাকার নামে পরিচিত।


ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার কবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই সরকারের দায়িত্বে কারা ছিলেন?

ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ।


১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পাক ও ভারতীয় বাহিনীর সেনাপ্রধান কারা ছিলেন এবং কে, কবে, কার কাছে আত্মসমর্পণ করেন?

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পাক বাহিনীর সেনাপ্রধান ছিলেন এ. এ. কে. নিয়াজি এবং ভারতের সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরােরা। পাক সেনাপ্রধান নিয়াজি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার সৈন্য- সহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ভারতের সেনাপ্রধান জগজিৎ সিং অরােরার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন।


স্বাধীন বাংলাদেশ কবে সৃষ্টি হয়?

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়।


স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা কাকে বলা হয়?

স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা মুজিবুর রহমানকে বলা হয়।


বাংলাদেশের প্রকৃত ও নিয়মতান্ত্রিক শাসক কে?

বাংলাদেশের প্রকৃত শাসক হলেন—প্রধানমন্ত্রী ও নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন রাষ্ট্রপতি।


ভারতীয় গণপরিষদের সভাপতি কে ছিলেন এবং ভারতের সংবিধান কবে গৃহীত ও কবে প্রবর্তিত হয়?

ভারতীয় গণপরিষদের সভাপতি ছিলেন ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ। ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয় এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি প্রবর্তিত হয়।


ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আদর্শ কী?

ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আদর্শ হল সুবিচার, স্বাধীনতা ও সাম্য।


ভারতের নিয়মতান্ত্রিক ও প্রকৃত শাসক কারা?

স্বাধীন ভারতে নামসর্বস্ব বা নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রকৃত শাসক হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।


ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা কয়টি কক্ষবিশিষ্ট ও কী কী?

ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা বা পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। এর উচ্চকক্ষের নাম রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষের নাম লােকসভা।


ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারায় মৌলিক অধিকার ও নির্দেশমূলক নীতির উল্লেখ আছে?

ভারতীয় নাগরিকদের জন্য মৌলিক অধিকার সংবিধানের ১২ থেকে ৩৫ নং ধারায় এবং নির্দেশমূলক নীতি ৩৬ থেকে ৫১ নং ধারায় উল্লেখ আছে।


পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কত?

পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য সংখ্যা যথাক্রমে ২৯৪ ও ৬০।


রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক ও প্রকৃত শাসক কারা?

রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক শাসক হলেন রাজ্যপাল এবং প্রকৃত শাসক হলেন মুখ্যমন্ত্রী।


কে, কাকে অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়ােগ করেন?

কোনাে রাজ্যের রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের নেতা বা নেত্রীকে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়ােগ করেন।


ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে মূলত কয় ধরনের ক্ষমতা বণ্টিত হয়েছে ও কী কী?

ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে মুলত তিন ধরনের ক্ষমতা বণ্টিত হয়েছে। যথা- [i] আইন-সংক্রান্ত ক্ষমতা, [ii] শাসন-সংক্রান্ত ক্ষমতা এবং [iii] অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা।


আইন-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় সংবিধানে কয়টি তালিকা রয়েছে ও কী কী?

আইন-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় সংবিধানে তিনটি তালিকা রয়েছে। যথা—[i] কেন্দ্রীয় তালিকা, [ii] রাজ্য তালিকা ও [iii] যুগ্ম তালিকা।


আইন রচনার বিষয়ে রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রের প্রাধান্য রয়েছে এমন দুটি উদাহরণ দাও।

আইন রচনার বিষয়ে রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রের প্রাধান্য রয়েছে এমন দুটি উদাহরণ হল—[i] দেশে জরুরি অবস্থা থাকলে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি থাকলে, আন্তর্জাতিক সন্ধি বা চুক্তির শর্ত পালনের প্রয়ােজন থাকলে, দুই বা ততােধিক রাজ্যের আইনসভার অনুরােধ করলে, সংশ্লিষ্ট রাজ্য-তালিকাভুক্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনসভা আইন পাস করতে পারে। [ii] যুগ্ম-তালিকাভুক্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য-আইনসভার আইনের বিরােধ বাধলে কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর হয়।


'পাকিস্তান পিপলস' পার্টি কে প্রতিষ্ঠা করেন?

'পাকিস্তান পিপলস পার্টি' প্রতিষ্ঠা করেন জুলফিকার আলি ভুট্টো।


পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আইনসভা কয়টি কক্ষবিশিষ্ট এবং কী কী?

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। এর উচ্চকক্ষের নাম সিনেট এবং নিম্নকক্ষের নাম জাতীয় পরিষদ।


পাকিস্তানের নিয়মতান্ত্রিক ও প্রকৃত শাসক কারা?

পাকিস্তানের নিয়মতান্ত্রিক বা নামসর্বস্ব শাসক হলেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রকৃত শাসক হলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।


কোন্ দেশের সংবিধানের অনুকরণে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয় এবং কবে এই সংবিধান কার্যকরী হয় ?

ভারত ও ব্রিটেনের সংবিধানের অনুসরণে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়। বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকরী হয় ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ নভেম্বর।


স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের প্রকৃত শাসক কে ছিলেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক ও প্রকৃত শাসক কারা?

স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের প্রকৃত শাসক ছিলেন রাষ্ট্রপতি। পরবর্তীকালে সংবিধান সংশােধনের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক বা নামসর্বস্ব শাসক হলেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রকৃত শাসক হলেন প্রধানমন্ত্রী।


বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম লেখাে।

বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দল হল বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বি. এন. পি., জামাত ইইসলামি, জাতীয় পার্টি প্রভৃতি।


স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লিখিত কয়েকটি মৌলিক অধিকার উল্লেখ করাে।

স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লিখিত কয়েকটি মৌলিক অধিকার হল [i] আইনের দৃষ্টিতে সাম্য। [ii] সরকারি পদে নিয়ােগে সমান সুযােগ। [iii] আইনের দ্বারা সকলের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার। [iv] জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার। রক্ষণ প্রভৃতি।


স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন কবে হয়েছিল?

স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পর ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উল্লেখ করাে।

স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পর ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ছিল—খাদ্য সংকট, অর্থনৈতিক দুর্দশা, উদ্বাস্তু সমস্যা, বেকারত্ব, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাব, কাশ্মীরে পাক আগ্রাসন প্রভৃতি।


ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশন কবে গঠিত হয়?

পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশন বা যােজনা কমিশন গঠিত হয়।


স্বাধীন ভারতের প্রেক্ষিতে মিশ্র অর্থনীতি বলতে কী বােঝ?

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সহাবস্থানের নীতি মিশ্র অর্থনীতি নামে পরিচিত। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতে রেলব্যবস্থা, আণবিক শক্তি, অস্ত্রশস্ত্র প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগ চালু হয়। ফলে স্বাধীন ভারতে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।


ভারতে কে, কবে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।


প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কাল লেখাে।

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কাল হল ১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।


ভারতের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করাে।

ভারতের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান লক্ষ্য ছিল—[i] ভারতে যুদ্ধ ও দেশভাগের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট দূর করা। [ii] উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা এবং ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন ঘটানাে।


প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি ত্রুটি লেখাে।

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান ত্রুটি ছিল- [i] এই পরিকল্পনায় ২,৩৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পুরাে টাকা কাজে লাগানো যায়নি। বাস্তবে ব্যয় হয় ১,৯৬০ কোটি টাকা। [ii] কৃষির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার ফলে শিল্পের অগ্রগতিও আশানুরূপ হয়নি।


প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি গুরুত্ব লেখাে।

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি গুরুত্ব ছিল- [i] প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতিতে দীর্ঘকাল ধরে চলা স্থিতাবস্থার অবসান ঘটে। [ii] প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারতে পরিকল্পিত অর্থনীতির পথচলা শুরু হয়।


'নেহরু-মহলানবিশ' মডেল কী?

১৯৫০-এর দশকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সামাজিক কল্যাণসাধন এবং বেসরকারি উদ্যোগ উভয়ের ওপর গুরত্ব দেন। তার আদর্শকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে পরিসংখ্যানবিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার একটি রূপরেখা বা মডেল তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী নেহরু কিছু সংশােধনের পর এই মডেল প্রয়ােগ করেন। এটিই 'নেহরু-মহলানবিশ মডেল' নামে পরিচিত।


দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি লক্ষ্য উল্লেখ করাে।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান লক্ষ্য ছিল- [i] জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানােন্নয়নের উদ্দেশ্যে জাতীয় আয় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা। [ii] ভারী ও যন্ত্রপাতি নির্মাণশিল্পের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিল্পায়নের গতি বৃদ্ধি করা।


দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি ত্রুটি লেখাে।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান ত্রুটি ছিল—[i] মুদ্রাস্ফীতি ও অন্যান্য কারণে এই পরিকল্পনার মাঝপথে ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে ৪,৬০০ কোটি টাকা করা হয়। [ii] কয়লা এবং ইস্পাত উৎপাদনও তার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম ছিল।


দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি গুরুত্ব লেখাে।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান গুরুত্ব ছিল—[i] এই পরিকল্পনায়, শক্তি উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। [ii] অন্তত ৯০ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছিল।


তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কাল উল্লেখ করাে এবং এই পরিকল্পনার দুটি লক্ষ্য উল্লেখ করাে।

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়কাল ছিল ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ। এই পরিকল্পনার দুটি প্রধান লক্ষ্য ছিল—[i] প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে জাতীয় আয় বৃদ্ধি করা। [ii] খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়া।


তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি ব্যর্থতা উল্লেখ করাে।

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দুটি প্রধান ব্যর্থতা ছিল- [i] জাতীয় আয় ও মাথাপিছু আয় তার লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়। [ii] কৃষিক্ষেত্রে শােচনীয় ব্যর্থতা দেখা দেয়।


তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ফলাফল কী হয়েছিল?

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান ফলাফলগুলি ছিল—[i] এর দ্বারা ঔপনিবেশিক আমলের স্থবিরতা কেটে গিয়ে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হয়। [ii] জাতীয় আয় ৬২.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। [iii] শিল্পক্ষেত্রে নানা বৈচিত্র্য আসে।


চতুর্থ থেকে অষ্টম পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাগুলির সময়কাল উল্লেখ করাে।

চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়সীমা ছিল ১৯৬৯-৭৪ খ্রিস্টাব্দ, পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়সীমা ছিল ১৯৭৪-৭৮ খ্রিস্টাব্দ, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়সীমা ছিল ১৯৮০-৮৫ খ্রিস্টাব্দ, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময়সীমা ছিল ১৯৮৫-৯০ খ্রিস্টাব্দ।


ভারতে গড়ে ওঠা দুটি ভারী শিল্পের নাম লেখ।

ভারতে গড়ে ওঠা দুটি ভারী শিল্পের নাম হল হিন্দুস্থান মেশিন টুলস (HMT), ভারত হেভি ইলেকট্রিক লিমিটেড (BHEL)।


সবুজ বিপ্লব কী?

সবুজ বিপ্লব বলতে বােঝায় ভারতে সার ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়ােগ করে উচ্চ ফলনশীল শস্য উৎপাদন এবং তার দরুণ উৎপাদন বৃদ্ধিকে। সবুজ বিল্পবের ফলে গমের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, এই বিপ্লব ‘গমের বিপ্লব’—নামেও পরিচিত।


ভারী শিল্প কাকে বলে?

যে শিল্পের মাধ্যমে ওজনে ভারী বা বিপুল পরিমাণ মূলধন বিনিয়ােগ করে পণ্য উৎপাদিত হয়, তাকে ভারী শিল্প বলে। বৃহৎ নির্মাণশিল্প, রাসায়নিক শিল্প, লৌহ ইস্পাত শিল্প, ক্রেন বা বুলডােজারের মতাে বড়াে আকারের যন্ত্রপাতি নির্মাণশিল্প প্রভৃতিকে ভারী শিল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


কার উদ্যোগে, কবে এবং ভারতের কোথায় প্রথম আই. আই. টি. প্রতিষ্ঠিত হয়?

ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের উদ্যোগে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভারতের খড়গপুরে (পশ্চিমবঙ্গ) প্রথম আই. আই. টি. প্রতিষ্ঠিত হয়।


হোমি জাহাঙ্গির ভাবা কে ছিলেন?

জওহরলাল নেহরুর শাসনকালে হােমি জাহাঙ্গির ভাবা ছিলেন ভারতের পরমাণু গবেষণার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা। তার সভাপতিত্বে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।


দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বারা কোন্ কোন্ ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে?

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বারা তিনটি ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে। এগুলি হল—[i] রাউরকেল্লা স্টিল প্ল্যান্ট, [ii] ভিলাই স্টিল প্ল্যান্ট এবং [iii] দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট।


স্বাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি উল্লেখযােগ্য লৌহ-ইস্পাত কারখানার নাম লেখাে।

স্বাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি উল্লেখযােগ্য লৌহ-ইস্পাত কারখানা হল- রাউরকেল্লা, ভিলাই, দুর্গাপুর, বােকারাে, সালেম, বিশাখাপত্তনম, বিজয়নগর প্রভৃতি।


প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ কে ছিলেন?

প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ছিলেন ভারতের এক বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্যতম এক সদস্য।


ভারতের প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিজ্ঞানীর নাম লেখাে।

ভারতের প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিজ্ঞানী ছিলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ, হােমি জাহাঙ্গির ভাবা, ড. বিক্রম সারাভাই এবং শান্তিস্বরূপ ভাটনগর প্রমুখ।


কাকে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচী’র জনক বলা হয়?

ভারতের মহাকাশ কর্মসূচীর জনক বলা হয় পদার্থবিদ ড. বিক্রম সারাভাই-কে।


ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান দুটি প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করাে।

ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান দুটি প্রতিবন্ধকতা হল- [i] দেশে ব্যাপক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিজ্ঞানের অগ্রগতির পরিবর্তে বর্ধিত জনসংখ্যার অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সুব্যবস্থা করতেই সরকারকে বেশি নজর দিতে হয়। [ii] অর্থনৈতিক, সংকটের ফলে সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে পারছে না।


ভারতবর্ষে কবে দুরদর্শন সম্প্রচার শুরু হয়?

ভারতবর্ষে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দুরদর্শন সম্প্রচার শুরু হয়।


কবে কোথায় প্রথম ভারত পারমাণবিক বােমার বিস্ফোরণ ঘটায়?

১৮ মে, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের পাোখরানে প্রথম পারমাণবিক বােমার বিস্ফোরণ ঘটে।


সমাজতান্ত্রিক আদর্শের সমর্থক ছিলেন কংগ্রেসের এমন দুজন নেতার নাম লেখাে এবং নেহরু কবে, কোন্ সম্মেলনে ভারতে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নীতি তুলে ধরেন?

কংগ্রেসের সুভাষচন্দ্র বসু এবং জওহরলাল নেহরু সমাজতান্ত্রিক আদর্শের সমর্থক ছিলেন। নেহরু ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের আবাদী অধিবেশনে ভারতে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নীতি তুলে ধরেন।


ভারতে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়, এমন দুটি উদ্যোগের নাম লেখাে।

ভারতে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়, এমন দুটি উদ্যোগ ছিল— [i] জমিদারি প্রথার অবসান। [ii] ব্যক্তিগত জমির মালিকানার উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ।


কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কারা, কবে ভারতকে দেউলিয়া রাষ্ট্র বলে ঘােষণা করে?

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ-সহ বেশ কয়েকটি আন্তজার্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের অর্থনীতি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থায় আন্তজার্তিক অর্থভান্ডার (international Monetary Fund) ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ভারতকে দেউলিয়া রাষ্ট্র বলে ঘােষণা করে।


অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি কার সময়ে প্রবর্তিত হয়?

১৯৯০-এর দশকে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী পি. ভি. নরসিমা রাও-এর আমলে অর্থমন্রী মনমােহন সিং-এর নেতৃত্বে ভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি প্রবর্তিত হয়।


মনমােহন সিংহের উদারীকরণ কর্মসূচির দুটি পদক্ষেপ উল্লেখ করাে।

মনমােহন সিংহের উদারীকরণ কর্মসূচির দুটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল—[i] শুল্ক এবং সুদের হার হ্রাস করা। [ii] বিভিন্ন একচেটিয়া অর্থনৈতিক কাজকর্মের অবসান ঘটানাে হয়।


অর্থনৈতিক উদারীকরণ কী?

ভারতের অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে ভারতকে দেউলিয়া রাষ্ট্র বলে ঘােষণা করে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও পরবর্তীকালের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমােহন সিংহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এই কর্মসূচি সাধারণভাবে অর্থনৈতিক উদারীকরণ নামে পরিচিত।


অর্থনৈতিক উদারীকরণের দুটি সাফল্য উল্লেখ করাে।

অর্থনৈতিক উদারীকরণের দুটি উল্লেখযােগ্য সাফল্য হল—[i] অর্থনীতিতে উদারীকরণের ফলে ভারতে মুক্ত বাজার অর্থনীতি গড়ে ওঠে। [ii] দেশের দারিদ্র্যের হার যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পায়।


ভারত সরকারের বরাদ্দ অর্থকে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য কীভাবে ভাগ করা হয়?

ভারত সরকারের বরাদ্দ অর্থকে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য তিনভাগে ভাগ করা হয়- [i] সমন্বয় তহবিল (Consolidated Fund), [ii] আপতকালীন তহবিল (Contingency Fund) এবং [iii] সরকারি তহবিল (Public Fund)।


সার্ক (SAARC)-এর পুরাে নামটি কী?

সার্ক (SAARC)-এর পুরাে নামটি হল- South Asian Association for Regional Co-operation বা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযােগিতা সংস্থা।


সার্কের উদ্ভাবক কে ছিলেন?

সার্কের উদ্ভাবক ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।


সার্ক (SAARC) কী?

দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযােগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলের [i] ভারত, [ii] বাংলাদেশ, [iii] পাকিস্তান, [iv] নেপাল, [v] ভুটান, [vi] শ্রীলঙ্কা ও [vii] মালদ্বীপ—এই সাতটি দেশ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সহযােগিতা সংস্থা গড়ে তােলে। এটি দক্ষিণ এশীয় আঞলিক সহযােগিতা সংস্থা বা সার্ক নামে পরিচিত।


সার্ক (SAARC)-এর দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করাে।

সার্কের প্রধান দুটি উদ্দেশ্য ছিল—[i] সদস্য রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়ন ঘটানাে। [ii] দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জনগণের কল্যাণসাধন এবং তাদের জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন ঘটানাে।


সার্ক (SAARC)-এর দুটি সাফল্য উল্লেখ করাে।

সার্কের দুটি সাফল্য হল—[i] সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক আদানপ্রদান ও বাণিজ্যিক সহযােগিতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। [ii] সন্ত্রাসবাদ প্রতিরােধেও মােটামুটি সন্তোষজনক সাফল্য এসেছে।


সার্ক (SAARC)-এর দুটি সমস্যা উল্লেখ করাে।

সার্কের দুটি সমস্যা হল—[i] বিভিন্ন সময়ে ভারত-পাক বিরােধ সার্কের অভ্যন্তরীণ কাজে বাধার সৃষ্টি করেছে। [ii] শ্রীলঙ্কায় তামিল জঙ্গি কার্যকলাপের ফলে ভারত- শ্রীলঙ্কা সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তা সার্কের কার্যাবলিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।


সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাম কী?

২০১৮-তে সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল—[i] ভারত, [ii] বাংলাদেশ, [iii] পাকিস্তান, [iv] নেপাল, [v] ভুটান, [vii] শ্রীলঙ্কা, [vii] মালদ্বীপ এবং [viii] আফগানিস্তান।


রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে, কার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল?

১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ফজল আলির সভাপতিত্বে ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়।