রাশিতথ্যের (Data) শ্রেণিবিভাগ আলােচনা করাে।

রাশিতথ্যের শ্রেণিবিভাগ

বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে রাশিতথ্যের যে শ্রেণিবিভাগ করা হয় তা নিম্নে আলােচনা করা হল一


(১) সংগ্রহের উৎস অনুযায়ী


  • প্রাথমিক রাশিতথ্য (Primary Data): তথ্য সংগ্রহকারী সরাসরি অনুসন্ধান ক্ষেত্র (Field) থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করে তাকে প্রাথমিক রাশিতথ্য বলে।


  • গৌণ বা অপ্রাথমিক রাশিতথ্য (Secondary Data): যেসব তথ্য অনুসন্ধান ক্ষেত্র (Field) থেকে সরাসরি সংগ্রহ না করে প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত উৎস (পত্রপত্রিকা, বই, অফিস ইত্যাদি) থেকে সংগ্রহ করা হয় তাকে গৌণ রাশিতথ্য বলে।


(২) পরিমাপের পদ্ধতি অনুযায়ী


  • স্থিতিমাপক রাশিতথ্য (Parametric Data): যেসব রাশিতথ্য পরিমাপের সংখ্যাগত মান দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাদের রাশিবিজ্ঞানে স্থিতিমাপক রাশিতথ্য বলে। এটি দুধরনের হয়—(i) ব্যবধান রাশিতথ্য (Internal Data) এবং (ii) অনুপাত রাশিতথ্য (Ratio Data).


  • অস্থিতিমাপক রাশিতথ্য (Non-Parametric): যেসব রাশিতথ্য কোনাে সংখ্যাগত মান দ্বারা প্রকাশিত হয় না কেবলমাত্র গুণগত মান দ্বারা প্রকাশিত হয় তাদের একত্রে অস্থিতিস্থাপক রাশিতথ্য বলা হয়। এই প্রকার রাশিতথ্য দুধরনের হয়- (i) নমিনাল রাশিতথ্য (Nominal Data) ও (ii) অর্ডিনাল রাশিতথ্য (Ordinal Data).


(৩) বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী


  • গুণগত রাশিতথ্য (Qualitative Data): এসব রাশিতথ্যকে সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। যেমনকোনাে ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের আচরণ বিশ্লেষণ।


  • সংখ্যাগত রাশিতথ্য (Quantitative Data): এই ধরনের তথ্যকে সংখ্যার মাধ্যমে পরিমাপ করা যায়। যেমন—মানুষের বয়স, উচ্চতা, ওজন, দৈর্ঘ্য ইত্যাদি।


  • সময়ভিত্তিক রাশিতথ্য (Temporal Data): এক্ষেত্রে সংগৃহীত তথ্যসমূহকে সময়ের নিরিখে প্রকাশ করা হয়। যেমনপ্রতি দশ বছর অন্তর দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ।


  • দৈশিক রাশিতথ্য (Spatial Data): গ্রাম, শহর, রাজ্য বা দেশ ইত্যাদি ভৌগােলিক স্থানের সংগৃহীত রাশিতথ্যকে বলে দৈশিক রাশিতথ্য। যেমন-রাজ্যভিত্তিক খাদ্যশস্য উৎপাদন।


(৪) বিন্যাসের প্রকৃতি অনুযায়ী


  • আসজ্জিত রাশিতথ্য (Raw Data): যেসব রাশিতথ্যে চলকের মানসমূহ কোনাে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে সাজানাে থাকে না তাকে অসজ্জিত রাশিতথ্য বলে। প্রাথমিক রাশিতথ্যের ক্ষেত্রে এই প্রকার বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।


  • সজ্জিত রাশিতথ্য (Array Data): যেসব রাশিতথ্যে চলকের মানসমূহ একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানাে থাকে তাদের সজ্জিত রাশিতথ্য বলে। এক্ষেত্রে সাধারণত চলকের মানগুলি উর্ধ্বক্রম অথবা অধােক্রম অনুসারে সাজানাে থাকে।


(৫) পরিসংখ্যা বিভাজন অনুযায়ী


  • অশ্রেণিবদ্ধ রাশিতথ্য (Ungrouped Data): যখন সংগৃহীত রাশিতথ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন প্রসারের মধ্যে অবস্থিত মানগুলিকে কোনাে শ্রেণি ব্যবধানের অন্তর্গত না করে অবিন্যস্ত অবস্থায় রাখা হয় তখন তাকে অশ্রেণিবদ্ধ রাশিতথ্য বলে।


  • শ্রেণিবদ্ধ রাশিতথ্য (Grouped Data): যখন সংগৃহীত প্রাথমিক রাশিতথ্যকে সংক্ষিপ্ত করার জন্য ও হিসেবের সুবিধার জন্য সারণির আকারে অনেকগুলি দলে ভাগ হয় তখন তাকে শ্রেণিবদ্ধ রাশিতথ্য বলে।


জীববৈচিত্র্যের জিনগত বা জন্মগত বৈচিত্র্য | জীববৈচিত্র্যের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য | ব্রাজিলে রবার শিল্প গড়ে ওঠার সমস্যা


পরিসংখ্যা বহুভুজ ও পরিসংখ্যা রেখার পার্থক্য | মৌসুমি বায়ুর ওপর জেট বায়ুপ্রবাহের প্রভাব | আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহের প্রভাব


শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি | পরিসংখ্যা বিভাজনের গুরুত্ব | অন্তর্ভুক্তিকরণ পদ্ধতি | বর্জন পদ্ধতি | হিস্টোগ্রাম বা আয়তলেখের গুরুত্ব ও ব্যবহার


Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)