শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি | পরিসংখ্যা বিভাজনের গুরুত্ব | অন্তর্ভুক্তিকরণ পদ্ধতি | বর্জন পদ্ধতি | হিস্টোগ্রাম বা আয়তলেখের গুরুত্ব ও ব্যবহার

শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয়ের পদ্ধতি

পরিসংখ্যাকে কতগুলি শ্রেণিতে বণ্টন করা হবে তা নির্ণয় করা কঠিন। তবে শ্রেণিসংখ্যা খুব কম বা খুব বেশি হওয়া বাঞ্নীয় নয়। পরিসংখ্যাবিদদের মতে শ্রেণিসংখ্যা 6 থেকে 20-এর মধ্যে থাকা উচিত। তবে সাধারণভাবে Sturge-এর সূত্র অনুযায়ী শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় করা হয়। সূত্রটি হল-


শ্রেণিসংখ্যা, C = 1+ 3.322 log N [যেখানে, C = শ্রেণিসংখ্যা, N = মােট পরিসংখ্যা ]

ধরা যাক, কোনাে বণ্টনে 100 টি পরিসংখ্যা আছে। তাহলে শ্রেণিসংখ্যা হবে-

C =1+3.322 log 100 

=1+ 3.322 x 2.00000

=1+ 6.64400

= 7.64400 = 8


পরিসংখ্যা বিভাজনের গুরুত্ব


  • পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে কোনাে তথ্যকে সংক্ষেপে প্রকাশ করা যায়।

  • বিভিন্ন তথ্যের অন্তর্নিহিত অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

  • পরিসংখ্যা বিভাজনের সাহায্যেই প্রাপ্ত তথ্যকে লেখচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা সহজ হয়।

  • পরিসংখ্যা বিভাজনের মাধ্যমে সুন্দর ও সংঘবদ্ধভাবে তথ্য পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং গবেষণার কাজ সহজ হয়।


অন্তর্ভুক্তিকরণ পদ্ধতি


এই পদ্ধতিতে শ্রেণির বিস্তারের নিম্নসীমা ও ঊর্ধ্বসীমার মানদ্বয়কে শ্রেণি ব্যবধানে অন্তর্ভুক্ত বা সংযােজন করা হয়। শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয়ের এই পদ্ধতিতে কোনাে একটি শ্রেণির উর্ধ্বসীমার মান ও ঠিক তার পরবর্তী শ্রেণির নিম্নসীমার মান ভিন্ন হয়। বস্তুত, এক্ষেত্রে শ্রেণি সীমা (Class Limit) দিয়ে শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয় করা হয় এবং এ ধরনের শ্রেণি সীমাকে ব্যক্ত শ্রেণি সীমা (Stated Class Limit) আখ্যা দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয়ের পর প্রত্যেক শ্রেণি সীমাকে শ্রেণি সীমানায় (Class Boundary) পরিবর্তিত করে অর্থাৎ নিরবচ্ছিন্ন শ্রেণিতে (Continuous Series) পরিণত করে পরিসংখ্যা বিভাজন করা হয়।


বর্জন পদ্ধতি


এটি প্রকৃতপক্ষে একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রকৃতির শ্রেণি ব্যবধান নির্ণয় পদ্ধতি। এক্ষেত্রে একটি শ্রেণির উর্ধ্বসীমার মান ঠিক তার পরবর্তী শ্রেণির নিম্নসীমার মানের সমান হয়, অর্থাৎ শ্রেণি সীমানা গঠিত হয়। প্রতিটি শ্রেণির উর্ধ্বসীমার মান প্রকৃত শ্রেণি সীমা (Actual Class Limit) নির্দেশ করে। এখানে যেটি প্রকৃত শ্রেণি সীমা সেটিই শ্রেণি সীমানা। এ ধরনের শ্রেণি ব্যবধানের ক্ষেত্রে কোনাে শ্রেণির উর্ধ্বসীমার মানকে পরিসংখ্যা বিভাজনের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। যদি কোনাে চলকের মান কোনাে শ্রেণির উষ্ধ্বসীমায় অবস্থান করে তাহলে পরিসংখ্যা বিভাজনে তাকে পরবর্তী শ্রেণির মধ্যে ধরা হয়।


হিস্টোগ্রাম বা আয়তলেখের গুরুত্ব ও ব্যবহার


  • আয়তলেখ থেকে চলকের বণ্টনের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

  • আয়তলেখে চলকের সমগ্র বণ্টন বিভিন্ন শ্রেণি অনুযায়ী বণ্টিত হয় এবং এই বন্টন পরিসংখ্যান দ্বারা ক্ষেত্রফল নির্ণয় করা যায়।

  • ইহা সাধারণত Mode-কে লৈখিকভাবে প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।

  • কেন্দ্রীয় প্রবণতার তিনটি পরিমাপককে (Mean, Median ও Mode) লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।


ভারতে তৈরি পােশাক শিল্প উন্নতি লাভের কারণ


জীববৈচিত্র্যের জিনগত বা জন্মগত বৈচিত্র্য | জীববৈচিত্র্যের প্রজাতিগত বৈচিত্র্য | ব্রাজিলে রবার শিল্প গড়ে ওঠার সমস্যা


পরিসংখ্যা বহুভুজ ও পরিসংখ্যা রেখার পার্থক্য | মৌসুমি বায়ুর ওপর জেট বায়ুপ্রবাহের প্রভাব | আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহের প্রভাব


Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)