মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে হান্টার কমিশনের সুপারিশসমূহ লেখাে।

মাধ্যমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে হান্টার কমিশনের সুপারিশসমূহ

হান্টার কমিশন প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষার পুনর্গঠন সম্পর্কেও কতকগুলি সুপারিশ করেন। নীচে হান্টার কমিশনের কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ সুপারিশ উল্লেখ করা হল一


(1) মাধ্যমিক শিক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টা


  • মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্ব ধীরে ধীরে বেসরকারি কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

  • মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির উন্নতির জন্য অধিক পরিমাণে সরকারি অর্থ ব্যয় করতে হবে।

  • সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির মতো বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিকেও সমান মর্যাদা দান করতে হবে।

  • বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতি জেলায় সরকারি অর্থে এবং উদ্যোগে একটি করে আদর্শ বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

  • অনগ্রসর অঞ্চলের জন্য সরকারি উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

  • বেসরকারি প্রচেষ্টায় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, তার জন্য স্থানীয় পরিচালন সমিতিগুলিকে নিজেদের বিদ্যালয়গুলিতে বেতন নির্ধারণের স্বাধীনতা দিতে হবে।


(2) পাঠক্রমে A কোর্সও B কোর্সের প্রবর্তন: কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমকে A কোর্স এবং B কোর্স—এই দু-ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করেন। A কোর্সের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রস্তুতির জন্য তত্ত্বমূলক শিক্ষা গ্রহণ করবে। আর B কোর্সের শিক্ষার্থীরা ব্যাবহারিক বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করবে। অবশ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একই সাধারণ শিক্ষা লাভ করবে। তারপর তারা A কোর্স এবং B কোর্স গ্রহণ করবার সুযােগ পাবে। যেসব শিক্ষার্থী A কোর্স নেবে, তাদের কলেজীয় শিক্ষা পাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষা হবে। কমিশন আশা করেছিলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী B কোর্স তথা ব্যাবহারিক শিক্ষা বেছে নেবে। বাস্তবে কিন্তু তা ঘটেনি। অধিকাংশ শিক্ষার্থী A কোর্সের প্রতিই আকৃষ্ট হয়েছিল।


(3) নিম্নমাধ্যমিক স্তরে মাতৃভাষাকে স্বীকৃতিদান: কমিশন নিম্নমাধ্যমিক স্তরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা অনুসারে ইংরেজি অথবা শিক্ষার্থীর মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার মাধ্যম কী হবে সে বিষয়ে হান্টার কমিশন কোনাে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেনি। এর ফলে সেখানে ইংরেজিকেই শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ফলে নিম্নমাধ্যমিক স্তরে মাতৃভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা কোনাে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষেই সম্ভবপর হয়নি।


(4) শিক্ষক-শিক্ষণ: কমিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি করে সরকারের কাছে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়—শিক্ষণ বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা না থাকলে কোনাে ব্যক্তিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়ােগ করা যাবে না। শিক্ষক নিয়ােগ করার আগে, শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষগতত্ত্ব সম্পর্কে পরীক্ষা গ্রহণ করা প্রয়ােজন।


ইসলামিক শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসার ভূমিকা লেখাে।


1813 খ্রিস্টাব্দের চাটার অ্যাক্টের পটভূমি লেখাে। ওই অ্যাক্টের শিক্ষা বিষয়ক এবং মিশনারি- সংক্রান্ত ধারা দুটি লেখাে। ওই ধারা দুটি কতটা কার্যকরী হয়েছিল?


1813 খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্টের বিষয়বস্তু আলােচনায় প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদীদের মতামত লেখাে। ওই চার্টার অ্যাক্টের গুরুত্ব ও তাৎপর্য লেখাে।


উড-এর ডেসপ্যাচের পটভূমি আলােচনা করাে।


উড-এর ডেসপ্যাচের বৈশিষ্ট্য ও সুপারিশগুলি লেখাে।


উড-এর ডেসপ্যাচ বা উড-এর প্রতিবেদন কী? উড-এর ডেসপ্যাচের গুরুত্ব ও তাৎপর্য লেখাে।


প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে হান্টার কমিশনের সুপারিশগুলি লেখাে।