মুক্ত শিক্ষার উদ্দেশ্য লেখাে।

মুক্ত শিক্ষার উদ্দেশ্য

(১) সার্বিক সমাজকল্যাণ: সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে শিক্ষার সুযােগসুবিধাগুলিকে পৌঁছে দেওয়া এবং সার্বিক সমাজকল্যাণের লক্ষ্য পূরণ করা।


(২) দূরাগত শিক্ষাব্যবস্থার সহযােগিতা ও সমন্বয়- সাধন: দূরাগত শিক্ষাব্যবস্থাগুলিকে সহযােগিতা করা এবং তাদের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা।


(৩) অনগ্রসর শ্রেণির মানুষকে শিক্ষাদান: সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে শিক্ষার আলাে পৌঁছে দেওয়া। শিক্ষাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলে, সাধারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে আরও বিস্তৃত করা।


(৪) বিদ্যালয়ছুট ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষাদান: বিদ্যালয়ছুট এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের কাছে শিক্ষার সুযােগ পৌঁছে দেওয়া।


(৫) ব্যক্তিসত্তার বিকাশ ও জাতীয় সংহতিতে সহায়তা: প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিসত্তার যথাযথ বিকাশে সহায়তা করা এবং শিক্ষার সর্বাঙ্গীণ প্রসারের মাধ্যমে জাতীয় সংহতি স্থাপন করা।


(৬) প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদান: শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষ, যারা প্রথাগত নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে না তাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা।


(৭) সকলের জন্য উচ্চশিক্ষা: মুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযােগসুবিধা আপামর জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই শিক্ষাব্যবস্থায় বয়স্ক মানুষের পক্ষেও বেশি বয়সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।


(৮) জীবনব্যাপী শিক্ষা অর্জন: হবি বা শখ হিসেবে বহু মানুষের মধ্যেই সারাজীবন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ দেখা যায়। জনগণের এই আগ্রহপূরণ মুক্ত শিক্ষার বিশেষ উদ্দেশ্য।


প্রথাবদ্ধ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিদ্যালয়ের ভূমিকা আলােচনা করাে।


বিদ্যালয়ের ত্রূটি বা সীমাবদ্ধতাগুলি আলোচনা করাে।


বিদ্যালয় ও সমাজের মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ?


প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা কাকে বলে? প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি বিস্তারিতভাবে আলােচনা করাে।


দূরাগত শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।


দূরাগত শিক্ষার সুবিধাগুলি আলােচনা করাে।


মুক্ত শিক্ষার সুবিধাগুলি কী কী?