মুক্ত শিক্ষার সুবিধাগুলি কী কী?

মুক্ত শিক্ষার সুবিধা

যে সমস্ত সুবিধাগুলির জন্য মুক্ত শিক্ষা বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তা হল一


(১) প্রবেশের ক্ষেত্রে নমনীয়তা: মুক্ত শিক্ষার একটি বিশেষ সুবিধা হল ভরতি হওয়ার সময়ে শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট কোনাে পূর্বযােগ্যতার প্রয়ােজন হয় না। এক্ষেত্রে বয়সের কোনাে উর্ধ্বসীমা নেই। যে-কোনাে বয়সের ব্যক্তিরাই এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।


(২) সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষাগ্রহণ: মুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থী নিজের ক্ষমতা এবং সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষা অর্জনের সুযােগ পায়।


(৩) স্বাধীনতা ও সার্বিক নমনীয়তা: মুক্তু শিক্ষায় যে-কোনাে কোর্স নির্বাচন করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতা পায়।


(৪) ক্রেডিট স্থানান্তর: মুক্ত শিক্ষায় কোনাে একটি শাখার ক্রেডিট বা প্রাপ্ত নম্বর অন্য শাখায় স্থানান্তরের সুবিধা থাকে। এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ক্রেডিট স্থানান্তর করা যায়।


(৫) গৃহনির্ভর শিক্ষা: মুক্ত শিক্ষায় পঠনপাঠনের জন্য কোনাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা থাকে না। গৃহে বসেই শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করতে পারে।


(৬) যােগাযােগ প্রযুক্তির সুবিধা: মুক্ত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা শিখনের জন্য শিক্ষকের ওপর নির্ভর না করে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির সাহায্য গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে। টেলিফোন, বেতার, দূরদর্শন, টেপরেকর্ডার এবং ক্ষেত্রবিশেষে কম্পিউটারের সাহায্য নেওয়া হয়।


(৭) শিখনের উন্নত মান: মুক্ত শিক্ষার ক্ষেত্র শিখনের গুণগত মান সাধারণভাবে উন্নত।কারণ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার কর্মসূচি এবং শিখনের বিষয়বস্তু (study materials) দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা প্রস্তুত করানাে হয়।


(৮) অন্যান্য কর্মসূচির সুবিধা: মুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে কেবলমাত্র ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সের ব্যবস্থা করা হয় না। এসবের পাশাপাশি এক্সটেনশন এবং কন্টিনিউইং শিক্ষার ব্যবস্থাও থাকে।


(৯) স্বল্পব্যয়ের শিক্ষা: এই শিক্ষাব্যবস্থায় পুরাে সময়ের পরিবর্তে আংশিক সময়ের জন্য শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়ােগ করা হয়। সেজন্য বেতন ও অন্যান্য সুযােগসুবিধার ক্ষেত্রে অর্থব্যয় অনেক কম হয়।


(১০) কর্মরত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ: মুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে কর্মরত শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযােগ পায় এবং নিজেদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করে।


ওপরের আলােচনা থেকে বলা যায়, মুক্ত শিক্ষায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন—ভরতি, শিক্ষাগত যােগ্যতা, বয়স, বিষয় নির্বাচন, কর্মসূচি শুরু এবং শেষ করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে একটা নমনীয় মনােভাব প্রকাশ পায়।


নিয়ন্ত্রিত বা প্রথাগত বা বিধিবদ্ধ শিক্ষার ত্রূটি বা সীমাবদ্ধতাগুলি আলােচনা করাে।


প্রথাবদ্ধ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিদ্যালয়ের ভূমিকা আলােচনা করাে।


বিদ্যালয়ের ত্রূটি বা সীমাবদ্ধতাগুলি আলোচনা করাে।


বিদ্যালয় ও সমাজের মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ?


প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা কাকে বলে? প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি বিস্তারিতভাবে আলােচনা করাে।


দূরাগত শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।


দূরাগত শিক্ষার সুবিধাগুলি আলােচনা করাে।