বয়সসীমাসহ জীবনবিকাশের স্তর ও প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

জীবনবিকাশের স্তর ও প্রথাগত শিক্ষাস্তর

শিক্ষার স্তর অনুযায়ী জীবনবিকাশের ধারাকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা一


(১) প্রাকৃবিদ্যালয় স্তর: শিশুর তিন বছর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল প্রাকৃবিদ্যালয় স্তর হিসেবে চিহ্নিত। এই স্তরে শ্রেণি হল নার্সারি, কেজি ১ এবং কেজি ২। এখানে উল্লেখ করা প্রয়ােজন, অধিকাংশ সাধারণ ঘরের শিশুরা ক্লেশে যায় না।


(২) নিম্নপ্রাথমিক শিক্ষাস্তর: শিশুর 6+ বছর থেকে 9+ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল নিম্নপ্রাথমিক শিক্ষাস্তর হিসেবে চিহ্নিত। এই ক্ষেত্রে শ্রেণি হল প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ।


(৩) উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষাস্তর: 10' বছর থেকে 13 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষাস্তর হিসেবে চিহ্নিত। এতে শ্রেণি ধরা হয় পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম।


(৪) নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষান্তর: 14+ বছর থেকে 15+ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল নিম্নমাধ্যমিক শিক্ষাস্তর হিসেবে চিহ্নিত। এক্ষেত্রে শ্রেণি হল নবম এবং দশম।


(৫) উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষান্তর: কৈশােরের 16+ বছর থেকে 17+ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাস্তর হিসেবে চিহ্নিত। এক্ষেত্রে শ্রেণি হল একাদশ এবং দ্বাদশ।


প্রাক্‌প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব


প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা কীভাবে শিশুর শারীরিক, সামাজিক, বৌদ্ধিক, মানসিক ও প্রাক্ষোভিক বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা নীচে আলােচনা করা হল


(১) শারীরিক বিকাশ: কিন্ডারগার্টেন, মন্তেসরি, প্রাকবুনিয়াদি প্রভৃতি প্রাকৃপ্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় সুচিন্তিত এবং শিশুর মনস্তত্ত্বভিত্তিক শারীরিক কার্যাবলির ব্যবস্থা রয়েছে। এই শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত সমস্ত কাজে শিশু স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং আগ্রহ সহকারে অংশ নেয়। যার ফলে শিশুর ইন্দ্রিয়গুলি তীক্ষ্ণ হয় এবং অস্থি ও পেশির বৃদ্ধি ঘটে ও শক্তিশালী হয়।


(২) সামাজিক বিকাশ: বিদ্যালয়ে এসে শিশু তার সমবয়সিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা ও মেলামেশার সুযােগ। পায়। শিক্ষকের কাছ থেকে শিশু সামাজিক আচার-আচরণ, রীতিনীতিগুলি শেখে।


(৩) বৌদ্ধিক বিকাশ: যদিও এই স্তরে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের অনুশীলন করা হয় না, তবু সব কিছুর প্রতি শিশুর কৌতূহলকে শিক্ষক উৎসাহিত করেন। শিশুর নানা প্রশ্ন, সব প্রশ্নের বােঝার মতাে করে উত্তর দিয়ে শিশুর জ্ঞানের প্রসারে শিক্ষক সাহায্য করেন। এই ধরনের সুযােগ। প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।


(৪) মানসিক বিকাশ: প্রাকৃপ্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা নানারকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শিশুর সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানাের চেষ্টা করা হয়।


(৫) প্রাক্ষোভিক বিকাশ: প্রাকৃপ্রাথমিক স্তরের শিক্ষামূলক কার্যসূচি বলতে বােঝায় শিশুর প্রতি যত্নমূলক এবং বিকাশমূলক কর্মসূচি গ্রহণ। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শিশুর মানসিক ও সামাজিক চাহিদা পূরণ হয়। এই চাহিদা পূরণের ফলে শিশুর প্রাক্ষোভিক বিকাশ সুসংহত হয়।


প্রারম্ভিক বাল্য বলতে কী বােঝায়? প্রারম্ভিক বাল্যের বৈশিষ্ট্য কী? প্রারম্ভিক বাল্যের চাহিদাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করাে।


প্রান্তীয় বাল্যের বিকাশগত বৈশিষ্ট্য ও চাহিদাগুলি সম্পর্কে যা জনি লেখাে।


কৈশাের বা বয়ঃসন্ধি বলতে কী বােঝ? বয়ঃসন্ধিকালের বিকাশগত বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে। ওই সময়ে কী কী চাহিদা দেখা দেয়?


কৈশােরে ছেলেমেয়েদের চাহিদাপূরণের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত তা লেখাে।


কৈশাের কাকে বলে? কিশাের-কিশােরীদের ব্যক্তিগত অভিযােজনে মাধ্যমিক শিক্ষা কীভাবে সহায়তা করে?


কৈশােরকালকে ‘ঝড়-ঝঞ্ঝা ও দুঃখ-কষ্টের কাল’ বলা হয় কেন? 

অথবা, যৌবনাগম ‘ঝড়-ঝক্ষ্মা, পীড়ন ও কষ্টের কাল’ কেন? বয়ঃসন্ধি বা কৈশাের-এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা সম্পর্কে লেখাে।


প্রাপ্তবয়স্ক কাদের বলে? প্রাপ্তবয়স্কদের বিকাশ বিশেষ করে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক বিকাশ সম্পর্কে আলােচনা করাে।