কৈশাের কাকে বলে? কিশাের-কিশােরীদের ব্যক্তিগত অভিযােজনে মাধ্যমিক শিক্ষা কীভাবে সহায়তা করে?

কৈশাের

কৈশাের হল এমন একটি বয়ঃস্তর, যে সময়ে ছেলেমেয়েরা মানসিক, প্রাক্ষোভিক, সামাজিক এবং দৈহিক বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্য দিয়ে বাল্য থেকে প্রাপ্তবয়স্ককালের দিকে এগিয়ে চলে। মনােবিদ হারলকের মতে, 12 থেকে 21 বছর পর্যন্ত সময়কাল হল কৈশােরকাল।


কিশাের-কিশােরীদের ব্যক্তিগত অভিযােজনে মাধ্যমিক শিক্ষা


মাধ্যমিক শিক্ষা হল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষান্তর। এই শিক্ষান্তরটি কিশাের-কিশােরীদের ব্যক্তিগত অভিযােজনে নানানভাবে সহায়তা করে।


(১) গণতান্ত্রিক নাগরিকতার বিকাশে সহায়তা: মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সু-অভ্যাস, সুমনােভাব গড়ে তােলে। এ ছাড়া তাদের চারিত্রিক গুণাবলির বিকাশেও সাহায্য করে। ফলে তারা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।


(২) ব্যক্তিসত্তার বিকাশে সহায়তা: মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ক্ষমতার বিকাশে সহায়তা করে। কর্মশিক্ষা, সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিসত্তার বিকাশ ঘটে।


(৩) যৌনজীবন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা: মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা জীবনবিজ্ঞান পড়তে গিয়ে মানুষের যৌন-জীবন সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়।


(৪) শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতার চাহিদাপূরণে সহায়তা: মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযােগ করে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতার চাহিদাপূরণের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।


(৫) প্রক্ষোভিক বিকাশে সহায়তা: মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুর মতাে বা সহায়কের মতাে ভূমিকা পালন করলে, শিক্ষার্থীদের প্রাক্ষোভিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। এ ছাড়া খেলাধুলা এবং সহপাঠক্রমিক কাজের মাধ্যমে তাদের সুসংহত প্রক্ষোভিক বিকাশে সহায়তা করা যায়।


(৬) জ্ঞান আহরণের চাহিদাপুরণে সহায়তা: মাধ্যমিক শিক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আহরণের সুযােগ ঘটে। ফলে শিক্ষার্থীদের কৌতূহল ও অতিরিক্ত জ্ঞানার্জন চাহিদা পূরণ হয়।


(৭) জীবনাদর্শের চাহিদাপূরণে সহায়তা: প্রতিটি কিশাের শিক্ষার্থীর জীবনদর্শনের চাহিদা থাকে। বিভিন্ন উপায়ে বিশেষ করে জীবনীপাঠের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনদর্শনের চাহিদাপূরণের চেষ্টা করা হয়।


(৮) দলবদ্ধভাবে থাকার চাহিদাপূরণে সহায়তা: মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন বিষয়ের প্রকল্প রূপায়ণের কাজে দলগতভাবে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়। দলবদ্ধভাবে কাজ করতে গিয়ে তাদের দলবদ্ধভাবে থাকার চাহিদা কিছুটা পূরণ হয়।


(৯) নৈতিক চাহিদাপূরণ: বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের মধ্য দিয়ে এই বয়সের কিশােরকিশােরীদের নৈতিক ও দায়িত্বগ্রহণের চাহিদাপূরণ হয়।


মানবশিশুর জীবনবিকাশের পর্যায় বলতে কী বােঝায়? এইরূপ পর্যায়ের গুরুত্ব বা তাৎপর্য লেখাে।


শৈশবের বিকাশমূলক বৈশিষ্ট্যগুলি লেখে। ওই সময় শিশুর মধ্যে কী কী চাহিদা দেখা দেয়, তা আলােচনা করাে।

অথবা, শৈশব বলতে কী বােঝ? শৈশবের বিকাশমূলক বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে।


বাল্যকালের পর্যায় বলতে কী বােঝায়? বাল্যকালের বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে। এই স্তরের শিশুদের শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলি বর্ণনা করাে।


প্রারম্ভিক বাল্য বলতে কী বােঝায়? প্রারম্ভিক বাল্যের বৈশিষ্ট্য কী? প্রারম্ভিক বাল্যের চাহিদাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করাে।


প্রান্তীয় বাল্যের বিকাশগত বৈশিষ্ট্য ও চাহিদাগুলি সম্পর্কে যা জনি লেখাে।


কৈশাের বা বয়ঃসন্ধি বলতে কী বােঝ? বয়ঃসন্ধিকালের বিকাশগত বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে। ওই সময়ে কী কী চাহিদা দেখা দেয়?


কৈশােরে ছেলেমেয়েদের চাহিদাপূরণের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত তা লেখাে।