ছত্তিশগড়কে পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করার কারণগুলি কী কী? এই অঞ্চলের উন্নতির জন্য কী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ছত্তিশগড়কে পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তির কারণ

[1] আদিবাসী বা উপজাতি এলাকার উন্নয়ন : ছত্তিশগড় একটি আদিবাসী বা উপজাতি অধ্যুষিত রাজ্যে। সারা রাজ্যে কমবেশি উপজাতি জনগণের বণ্টন লক্ষ করা গেলেও বস্তার এবং সুরগুজা জেলা দুটিতে মােট জনসংখ্যার 50% ই উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। এই উপজাতি জনসাধারণের উন্নতির জন্য ছত্তিশগড়কে পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


[2] খনিজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার : ছত্তিশগড় রাজ্যটি খনিজ সম্পদে (কয়লা, আকরিক লােহা) সমৃদ্ধ। খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পোন্নয়ন ঘটানাে হল অন্যতম কারণ।


[3] কৃষির উন্নতি : অসমতল ভূপ্রকৃতি, অনুর্বর মৃত্তিকা এবং পর্যাপ্ত জলের জোগানের অভাবে এখানে কৃষির উন্নতি তেমন ঘটেনি। তাই কৃষির উন্নতির জন্য পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তি একান্ত প্রয়ােজন।


[4] শরণার্থী সমস্যার সমাধান : দেশ বিভাগের পর জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন জেলায় প্রবেশ করে। এইসব উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন এবং উন্নতির জন্য ছত্তিশগড়কে পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


[5] পরিকাঠামোর উন্নয়ন : সামগ্রিক পরিকাঠামাে যেমন -পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রভৃতি দিক থেকে ছত্তিশগড় অন্যান্য রাজ্যগুলি থেকে অনেক পিছিয়ে। এইসব পরিকাঠামাের উন্নতির জন্য পরিকল্পনা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তির প্রয়ােজন হয়।


ছত্তিশগড় অঞ্চলের উন্নতির জন্য গৃহীত পদক্ষেপ


ছত্তিশগড় অঞ্চলের উন্নতির জন্য বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যেমন一


  • ভূমিসংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিহীনদের জমি প্রদান।

  • গৃহহীন জনগণের জন্য গৃহ নির্মাণ।

  • জলসেচ ব্যবস্থার প্রসারের জন্য জলাধার তৈরি ও খাল কাটা।

  • পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য রাস্তাঘাট ও রেলপথ নির্মাণ করা।

  • শিক্ষার প্রসারের জন্য স্কুল ও কলেজ স্থাপন।

  • চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামাের উন্নতি ঘটানাে।

  • বৃহৎ শিল্পের সাথে সাথে ক্ষুদ্র শিল্পের ও কুটির শিল্পের উন্নতি সাধন।

  • আদিবাসী জনসাধারণের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ।

  • ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও সম্প্রসারিত করা।

  • বিদ্যুৎ সংযোেগকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া।

  • বিভিন্ন পরিবার কল্যাণমূলক কর্মসূচির গ্রহণ, পােলিও টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা ইত্যাদি।