উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে।

ধ্বনিমূলের অবস্থান

কোনাে শব্দে ধ্বনিমূল তথা ধ্বনির অবস্থান তিন জায়গায় হতে পারে—শব্দের শুরুতে, মাঝে কিংবা শেষে। এই শুরু (Initial), মাঝ (Medial ) ও শেষ (Final)—তিনরকম অবস্থানের সবগুলিতেই সব ভাষার সব ধ্বনি বসে না। এক্ষেত্রে সব ভাষারই কোনাে-কোনাে ধ্বনি সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিয়মবিধি আছে। আবার এই নিয়ম প্রত্যেক ভাষায় খানিকটা আলাদা।


বাংলায় প্রায় সব ধ্বনি আদি-মধ্য-অন্ত—এই তিন অবস্থানে বসতে পারে। কেবল দু-একটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ লক্ষ করা যায়। যেমন- বাংলায় ‘ঙ/g' ধ্বনিটি শব্দের মাঝে ও শেষে বসলেও (যেমন রঙিন, রংচঙে) কখনও শব্দের প্রথমে বসে না। 'ঙ' ধ্বনির অবস্থানের এই বৈশিষ্ট্য অধিকাংশ ভাষায় লক্ষ করা যায়। যেমন—ইংরেজিতে 'g' ধ্বনিটি শব্দের মাঝে এবং শেষে (bank, bang) বসলেও শব্দের প্রথমে এর ব্যবহার নেই। নীচে কিছু ব্যঞ্জনধ্বনির বিভিন্ন ভাষায় তুলনামূলক অবস্থান দেখানাে হল -


হ/h : ধ্বনিটিকে বাংলায় শব্দের শুরুতে ও মাঝে পাওয়া যায় (যেমনহােম, মহান)। কিন্তু শব্দের শেষে হ' ধ্বনির ব্যবহার খুবই কম। ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় 'h' ধ্বনি শব্দের শুরুতে থাকলে উচ্চারিত হয় (ইংরেজি home, জার্মান—haus)। কিন্তু স্বরধ্বনির পরে 'h' ধ্বনি থাকলে তা উচ্চারিত হয় না। যেমন, ইংরেজি—ah-a, জার্মান nehmen-nemen ইত্যাদি।


ড/d: বাংলায় এই ধ্বনিটি শব্দের শুরুতে বসে (যেমন-ডাব), মাঝখানে যুক্তব্যঞ্জন হিসেবে পাওয়া যায় (যেমন—মণ্ডল, বড্ড)। কিন্তু শেষে ‘ড' এর ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।


ড/rh : ধ্বনিটি শব্দের প্রথমে কখনও বসে না, তবে মাঝে ও শেষে বসলেও (যেমন রাশি, আষাঢ়) এর উচ্চারণ বাংলায় প্রায় নেই।


এইভাবে শব্দে ব্যঞ্জনধ্বনির অবস্থান ও উচ্চারণের ব্যাপারে কিছু বিশেষ নিয়ম থাকলেও স্বরধ্বনির অবস্থানের বিষয়ে বাংলায় বিধিনিষেধ খুবই কম। কারণ বাংলায় সব স্বরধ্বনি শব্দের সব অবস্থানে বসে। কেবল বাংলায় অ' ধ্বনিটি জার্মান ও ফরাসি ভাষার মতাে শব্দের প্রথমে ও মাঝে বসে (যেমনঅল্প, সৎ) কিন্তু শব্দের শেষে বসে না।

এই আলােচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, ধ্বনির অবস্থানের ব্যাপারে প্রত্যেক ভাষার নিজস্ব নিয়ম আছে এবং এটা প্রত্যেক ভাষার স্বাতন্ত্রের চিহ্ন।


কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে। 

অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে। 

উদাহরণসহ ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 


দুটি করে উদাহরণ-সহ গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি-র পরিচয় দাও। 


অবিভাজ্য ধ্বনি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ অবিভাজ্য ধ্বনিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

অথবা, অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। 


উদাহরণসহ গুচ্ছ ধ্বনির পরিচয় দাও। 


যুক্ত ধবনি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, উদাহরণসহ যুক্ত ধ্বনির পরিচয় দাও। 


বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনিগুলির উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে। 


জোড়কলম শব্দ সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


সমাস বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। সমাসবদ্ধ পদের গঠনবৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাসের ভাগগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করাে। 


মুণ্ডমাল শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও। 


ক্লিপিংস ও ক্র্যানবেরি রূপমূল কাকে বলে তা উদাহরণ-সহ আলােচনা করাে। 


রূপ এবং দল-এর সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য আলােচনা করাে।