মনােভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

মনােবিজ্ঞানের আলােকে ভাষাবিজ্ঞানচর্চাই হল মনােভাষাবিজ্ঞান। মনােবিজ্ঞান বা মনস্তত্ত্ব মানুষের মনের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ে যেমন আলােচনা করে, তেমনই ভাষা সেই মানসিক ক্রিয়াকলাপেরই বহিঃপ্রকাশ। তাই মানবভাষা ও মানবমনের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা ও গবেষণা করেন মনােভাষাবিজ্ঞানীরা। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের পরই ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখার উদ্ভব ঘটেছে।


মনােভাষাবিজ্ঞানই প্রথম বিশ্লেষণ করার চেষ্টা শুরু করে শিশুরা কীভাবে কথা বলতে শেখে—সে বিষয়টি। মনােভাষাবিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল যে, মানবশিশু ভাষিক পরিবেশ থেকে অনুকরণের মাধ্যমেই ভাষা আয়ত্ত করে। কিন্তু নােয়াম চমস্কি প্রথম জানান যে, মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যেই থাকে ভাষা শেখার সামর্থ্য। চমস্কি তাই মানবমস্তিষ্ককে বলেন ভাষা শেখার ব্যবস্থা (Language Acquisition System) প্রথমে অবশ্য ব্যবস্থার বদলে যন্ত্র (Device) কথাটি তিনি ব্যবহার করেছিলেন। যাইহােক, তাঁর মতে মানবমস্তিষ্কের প্রথমাবধিই থাকে এক ব্যাকরণ, যাকে তিনি অভিহিত করেন। সর্বজনীন ব্যাকরণ (Universal Grammar)-রুপে। এই LAS-এর মাধ্যমেই শিশুরা ভাষাশিক্ষার ক্ষেত্রে অনুকরণধর্মিতা থেকে সৃষ্টিশীলতায় উন্নীত হয়। মনােভাষাবিজ্ঞান ভাষাশিক্ষার নানা দিক সম্পর্কে আলােচনা করে। এর পাশাপাশি মানসিক পশ্চাদ্পরতাও ভাষার ওপর প্রভাব ফেলে নানারকমভাবে। ভাষার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে ভাষাভাষীর স্মৃতি, বুদ্ধি, মনােযােগ, উদ্বেগ, প্রণােদনা। তাই, মানুষের ভাষাগত ভ্রান্তি তাঁর কোনাে-এক মানসিক সমস্যারই ফলশ্রুতি। মনােভাষাবিজ্ঞানের সঙ্গে স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, যেহেতু উভয় বিষয়ই মানব মস্তিষ্ক কেন্দ্রিক। ভুল শব্দের ব্যবহার, স্পুনারিজম, শব্দের বিপর্যাস- প্রভৃতি ভাষাগত-পশ্চাদপরতা (Language Disorder), স্মৃতির অবনতি প্রভৃতি বিষয় তাই যুগপৎ মনােভাষাবিজ্ঞান ও স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের আলােচ্য বিষয়।


স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


নৃভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


শৈলীবিজ্ঞান কাকে বলে? শৈলীবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


শৈলীবিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ প্রকরণের নাম লেখাে এবং নির্বাচন প্রকরণ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 


অভিধান বিজ্ঞান কাকে বলে? অভিধান কত রকমের হতে পারে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। 

অথবা, অভিধান বিজ্ঞান কী? বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে ব্যাখ্যা করাে। 


ধ্বনিমূল সম্পর্কে তােমার ধারণাটি সংক্ষেপে স্পষ্ট করাে। 


ধ্বনিমূলের স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য (Distinctive feature) উদাহরণ সহযােগে বুঝিয়ে দাও। 


ধ্বনিতত্ত্বে ন্যূনতম শব্দজোড়ের (Minimal pair) ভূমিকা সবিস্তারে লেখাে। 


সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে। 


বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে। 


উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে। 


কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে। 

অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে।