ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা এবং তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক আলােচনা করাে।

ভাষাবিজ্ঞানের মূল আলােচ্য বিষয় হল মানুষের ভাষা এবং ভাষার সঙ্গে মানবজীবনের বিভিন্ন দিকের পারস্পরিক সম্পর্ক। তাই ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান শাখা দুটি- (১) প্রধান ভাষাবিজ্ঞান এবং (২) ফলিত ভাষাবিজ্ঞান। 


প্রধান ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার কেন্দ্রীয় চরিত্র, বিন্যাস এবং ভাষার গঠনপ্রণালী আলােচিত হয়। এটি- (১) ধ্বনিবিজ্ঞান, (২) ধ্বনিতত্ত্ব, (৩) রূপতত্ত্ব, (৪) বাক্যতত্ত্ব এবং (৫) শব্দার্থতত্ত্ব-এই পাঁচ ভাগে বিভক্ত। বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে কীভাবে বাধ্বনি উচ্চারিত হয়, তা আলােচিত হয় ধ্বনিবিজ্ঞানে। ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনিসমূহের বিচারবিশ্লেষণ করা হয় ধ্বনিতত্ত্বে। রূপ (Morph) এবং পদের গঠন ও কার্যাবলি আলােচিত হয় রূপতত্ত্বে। বাক্যের সামগ্রিক আলােচনা ও বিচারবিশ্লেষণ করা হয় বাক্যতত্ত্বে। আর, শব্দার্থতত্ত্বে করা হয় শব্দের অর্থের পর্যালােচনা।


ভাষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক এবং ভাষার সঙ্গে অন্যান্য বিদ্যার সম্পর্ক বিচারবিশ্লেষণ করা হয় ফলিত ভাষাবিজ্ঞানে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাষার অবদান ও প্রয়ােগ আলােচিত হয় এখানে। এই ভাষাবিজ্ঞান (১) সমাজ-ভাষাবিজ্ঞান, (২) মনােভাষাবিজ্ঞান, (৩) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান, (৪) নৃভাষাবিজ্ঞান, (৫) শৈলীবিজ্ঞান এবং (৬) অভিধান বিজ্ঞান— এই ৬টি শ্রেণিতে বিভক্ত সমাজের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক হল সমাজ-ভাষাবিজ্ঞান। মানবমনের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক হল মনােভাষাবিজ্ঞান। মানব-মস্তিষ্কের গঠন ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ভাষার সম্পর্কই হল স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান। নৃতত্ত্বের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক হল নৃভাষাবিজ্ঞান। শৈলীবিজ্ঞানে সাহিত্যিক ভাষার নান্দনিক দিকটি আলােচিত হয়। অভিধান রচনা ও সংকলনের বিজ্ঞানসম্মত চর্চা করা হয় অভিধান বিজ্ঞানে।


সমাজভাষাবিজ্ঞান বলতে কী বােঝ? সমাজভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


মনােভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


নৃভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


শৈলীবিজ্ঞান কাকে বলে? শৈলীবিজ্ঞান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


শৈলীবিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ প্রকরণের নাম লেখাে এবং নির্বাচন প্রকরণ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 


অভিধান বিজ্ঞান কাকে বলে? অভিধান কত রকমের হতে পারে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। 

অথবা, অভিধান বিজ্ঞান কী? বিষয়টি ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে ব্যাখ্যা করাে। 


ধ্বনিমূল সম্পর্কে তােমার ধারণাটি সংক্ষেপে স্পষ্ট করাে। 


ধ্বনিমূলের স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য (Distinctive feature) উদাহরণ সহযােগে বুঝিয়ে দাও। 


ধ্বনিতত্ত্বে ন্যূনতম শব্দজোড়ের (Minimal pair) ভূমিকা সবিস্তারে লেখাে। 


সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে। 


বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে।